মনে পড়ে?
তখনও এই আমিই ছিলাম, তবে আমি-র সাথে তোমার নামের অস্তিত্বের এক সংযোগ ছিল দারুণ রকমের।
সংযোগের যোগচিহ্ন ছিল প্রেম, ভাগ ছিল ভালোবাসার আর গুণ ছিল মায়ার।
এখনো আমাদের সংযোগ!
তবে এখন আর সংযোজন নেই, চলে বিয়োজনের পর বিভাজন।
এত সূক্ষ্মভাবে বিভাজিত হলাম আমরা!
—কীভাবে, কেন?
তুমি নানান বাহানায় সাজিয়ে নিলে বিয়োগফল।
আমার ভাগশেষ শূন্য।
যোগ-বিয়োগ, গুণ-ভাগ কোনো হিসেবেই আমার ফল হলো না -তুমি আমার, আমারই।
সমাধানের উত্তরপত্রটা তোমার কাছে পড়ে আছে; আমার কাছে রয়ে গেছে একগাদা প্রশ্নপত্র।
মনে পড়ে?
তুমি বলেছিলে, আমৃত্যু পাশে রবে!
"আমৃত্যু পাশে রব" কথাটাই যেন আমার মৃত্যুর দলিল লিখছে।
হঠাৎ একদিন মিলে যাবে সমস্ত অসমাপ্ত প্রশ্নের জটিল সমাধান।
জটিল নাকি সহজ?
আচ্ছা, শেষ বিদায় কি সত্যিই সহজ?
কী এক গোলকধাঁধা!
আলোছায়াময়ী অনূঢ়া রেখেছে আমায় ভৎসনায়। আমি নির্মোহ ও নিঃসংকোচিত হয়েছি।
গন্তব্যে নেই ঠাঁই—কোথায় যাই?
বলনা, কোথায় যাই।
তুমি আমায় নেবে, ভেবেভেবে ঘুমিয়েছি গভীর ঘুমে।
তুমি আমায় নেবে তো?