প্রেমের খাতায় নাম লিখিয়ে
মিছেই কেন মিথ্যে বলো,
তোমার প্রেমের প্রমোদ তরী
স্রোতের টানে ভাসিয়ে চলো।
মন হরিয়ে মনের গলায়
বিচিত্রতার পরিয়ে মালা,
তোমার চোখের পত্র রেখায়
এটাই তোমার আসল ছলা।
কত রঙ্গীন স্বপ্ন বুনে
প্রাণপনে সে চায় তোমারে,
তুমিও হলে মনের দাসী
তোমার মনে চায় যে কারে।
তার চাওয়াটা সাঙ্গ করে
প্রেমের রণে ভঙ্গ দিলে,
শূন্যতাকেই সঙ্গী করে
শূন্য মনেই গেছে চলে।
যাহোক, এবার কাব্যছলে
তোমার প্রেমের গল্প বলি,
নতুন প্রেমের উদ্দীপনায়
অন্তরে যে পরবে ঠুলি।
তোমার মনে চায় যাহারে
সেই তোমাকে বাসিয়ে ভালো,
করবে চারণ সর্বখানে
হোক সে আঁধার কিংবা আলো।
প্রেমটা যত গভীর হবে
ততই যেন দৈন্যে ভেসে,
মনের ‍যত সুপ্ত চাওয়ায়
ব্যাকুল হয়ে উঠবে শেষে।
দৈন্যতার ঐ শূন্য কোটা
করবে পূরণ অর্ঘ ঢেলে,
সবটা উজাড় করিয়ে তারে
বাইবে তরী অথই জলে।
তোমার তরীর দাঁড় টেনে সে
তীরে এসেই হাফিয়ে উঠে,
জিরিয়ে নিবে একটু তুমি
প্রেম সাগরেই সাঁতার কেটে।
অথই জলে ডুববে না'ক
ভাসবে তোমার প্রেমের তরী,
শুষিয়ে নিয়ে প্রেমের মধু
পরান পাখি যাবে উড়ি।
প্রেমের মধু মিষ্টি বটে
চলবে যতই শুষতে রবে,
শেষের স্বাদে বুঝবে তুমি
স্বাদটা যে তার তিক্ত হবে।
এই প্রেমেরই মিষ্ট রসে
পান করিবে মুখ পুরিয়ে,
হিসেব খাতা চুকিয়ে দেখ
আসছে আঁধার এই ঘনিয়ে।
আপন মনেই ভাববে শেষে
বাঁচবে বুঝি মরার পরে,
নিভৃতে বিষ করবে রে পান
নইলে যাবে বেঁচেও মরে।
নিঃস্ব মনের যন্ত্রণাটা
যখন তোমার জমবে বুকে,
কেউ নেবে না কষ্ট তোমার
মরবে যেন বেঁচেও থেকে।
প্রেম যে এটা আত্মঘাতী
মিষ্টি স্বাদে কেউ বোঝে না,
পান করে যে সেইতো জানে
প্রেমের বাঁধা কেউ মানেনা।
মন যা চাহে তাই করে সে
করবে না সে ইচ্ছে দমন,
নিজের করা তৈরি ফাঁদেই
করবে জারি আপন সমন।
ভুল করেও এই ভাবিনি
এই কবিতা লিখব আমি,
আমার প্রেমের কাব্য-গাথায়
অমর হয়েই রইবে তুমি।
এই প্রেমেরই কাব্যখানা
সঁপিয়ে দিলাম তোমার পানে,
যদি তুমি মিল খুঁজে পাও
পড়িয়ে নিবে সংগোপনে।


তারিখঃ ০৭/০২/১৪২৬ বঙ্গাব্দ, কুড়িগ্রাম।