হায়রে এই অগ্নিগ্রাসী ত্রাসে,
আজ সব সান্ত্বনা, সমবেদনা
থমকে গিয়েছে মৃত্যুপুরী
চকবাজারে এসে।


দাউ দাউ সেই অগ্নিশিখার
চরম নিষ্ঠুরতা,
সান্ত্বনার বাণী আজ নিরর্থক,
নিঃশব্দে আনে নিস্তব্ধতা।


হায় রে অগ্নীশিখা,
অসহ্য তোর দহন জ্বালা
সয়ে কি নিয়েছে অদৃষ্টের
এই নিষ্ঠুরতম লেখা?


হায় প্রাণসংহারী,
সবকিছু যেন ম্লান হয়ে গেছে,
বিয়োগ গাঁথায় নাম লিখে কত
প্রিয়জন গেছে ছাড়ি।


আমরা যে দিশেহারা,
মৃত্যু মিছিলে কত যোগ হলে
শোক সাগরের দুঃসহ স্মৃতি
আজ শুধু করে তাড়া।


নিমতলী আর তাজরীনের ঐ
আর্তনাদের হাহাকার ভাসে মনে,
কে জানে কত যে মৃত্যুর বাণ
লিখিয়াছে কোন অট্টালিকার কোণে।


ক্রন্দনে-শোকে নির্বাক মনে
চকবাজারের বাতাস হয়েছে ভারী,
অগ্নিদহনে এ পাপ মুলুক ছেড়ে চলে গেছে
আলোর দিশারী অন্তসত্ত্বা নারী।


হায় লেলিহান শিখা,
চোখের অশ্রু শুকিয়া গিয়াছে
ঐ নবজাতকেরা পাবে কি কভু
মমতা মেশানো পিতৃস্নেহের দেখা?


অপমৃত্যুটা আর কত হলে
নিজেকে সহিতে পারি,
নগর জুড়ে ইট-পাথরের দালানগুলো যে
এখনো মৃত্যুপুরী।


সবকিছু চলে
মুনাফা লোভীর নির্মমতম মোহে,
সহ্যের সীমা লঙ্ঘিত আজি
সর্বশুচির নির্মম তাপদাহে।


ঢাকার চকবাজারে নির্মম অগ্নিকান্ডের প্রেক্ষিতে গত ২৩-০২-২০১৯ তারিখে লিখিত।