সৃজনশীল এই শিক্ষা রীতিটা
কোথা হতে জুড়ে এলো,
জাতির মুন্ডু চিবিয়া খাবে সে
অকপটে তাহা বলো।
এই শিক্ষাতে নিয়োজিত যারা
বেসাতি ছড়ায়ে তাতে,
কেহ বা অগ্রে গমন করেছে
কেহ পরে পশ্চাতে।
প্রতিযোগীতায় বহু পথে যারা
বিদ্যা গিলিছে কিনি,
কারও কাছে এটা প্রাইভেট আর
কারও কাছে টিউশনি।
শিক্ষার নামে বণিকেরা আজি
বসেছে দোকান খুলে,
চারদিকে কত ছড়িয়েছে আরও
ডালপালা গেছে মেলে।
বিদ্যার নামে ভড়ং দেখাতে
অর্জন করে যথা,
কারও কাছে এটা ফ্যাসন-ভূষণ
কারও কাছে ইহা প্রথা।
সৃজন এ শিক্ষা অদ্ভুত বটে
তবুও বাজারে চলে,
অবাক হবো নাতো
অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি হলে!
শিক্ষাকে যারা পণ্য করিয়া
শিক্ষক সেজে আছে,
যে শিক্ষাটাও অশিক্ষা বটে
সেটিও তাহারা বেচে।
এই শিক্ষা যে কিনিয়া ছাত্র
হইলো সর্বনাশী,
ছাত্রের পিতা মহা উল্লাসে
তবুও বেজায় খুশি।
কতটুকু তারা শিক্ষিত হলো
বিদ্যা বাড়িল কত?
জ্ঞানের পরিধি মাফজোখের
আজ সময়টা নেই অত।
একশোতে আশি! এত কম কেন?
চিন্তিত হলো তারা,
প্রতি শ'তে শত নম্বর পাবে
এমনি ভাবিল এরা।
ইহাতে হবে না আরও পড়া চাই
ভাবিয়া কহিল পিতা,
তাহলে এবার উপায় কি হবে;
বলিল তাহার মাতা।
এই ভেবে তারা পিতা-মাতা মিলে
ডিসিশন নিল কত,
ছেলে-মেয়ে গুলোকে বিদ্যা শেখাতে
কোচিংয়ে পড়ানো যেত।
এরপরে ঐ ছেলে-মেয়ে দুটো
কোচিংয়ে পড়িতে গেল,
বিদ্যার পরে বিদ্যার বোঝা
তাহারা কিনিয়া নিল।
হলফ করিয়া পিতা-মাতা বলে
ধন্য তো মোরা অতি,
ভাবিল, তাহারা কত যে পড়িল!
এভাবেই হল প্রীতি।
ছেলে-মেয়েরা বুঝি বিদ্যার নদী
সাঁতার কাটিয়া এলো,
এই ভেবে তারা পিতা-মাতা মিলে
কত যে তৃপ্ত হলো!
এত নম্বর পেয়েছে যে তারা
রাখিবে এগুলো কোথা,
পিতা-মাতা বলে নম্বর তোল
বিদ্যাটা হোক যথা।
মাস্টার বাবু বিদ্যা বিকিয়া
খুশিতে আত্নহারা,
ব্যবসাটা খুব সফলই বটে
কোন বিনিয়োগ ছাড়া।
এটা হাইব্রিড শেখা,
জানিনা জাতির নসিবে হেথা
কিযে আছে তবে লেখা।
পাঠক বন্ধু;
আমি তবে আজ হলফ করিয়া বলি,
শিক্ষার নামে মনশ্চক্ষে
পরিতেছে এরা ঠুলি।