সবই ছেড়ে যেতে হবে
মিছে মায়া কেন তবে,
না, না, না, এ মায়া নয় মিছে
নিশ্চয় এর মানে আছে।
তবু যত শক্ত কর বাধন
যত শক্ত কর মনোবল,
ভুলে যাবে সবাই সবই
ছিড়ে যাবে শিকল।
যদিও হৃদয়ে দোলা দেয়
তবুও তারে মানিতে যে হয়,
চিরদিন রহিবার সাধ না পুরায়
                           বিদায়।


আজি, দুঃখ ভারাক্রান্ত মন
চোখে শুধু জল,
জিগায়েছিল পথিমাঝে
পথিক কেবল।
আজি,  গুপ্ত মনের সুপ্ত হাসি
বাধা পেল তাই
শক্ত ক্ষণে, স্তব্ধ সেও
হাসি যার কভু থামে নাই।
হাসিয়াছল কত সে
চিনিবার কালে
কেন সে স্তব্ধ আজ
সাঙ্গের তালে।
কি জানি কি
পড়ে গেল মনে
কি জানি কি
ঘটিয়াছিল কোন ক্ষনে।
যখন যাহা ঘটিয়াছিল হায়
সবাইকে জানাতে হবে
                       বিদায়।


মহাগুরু, মোর গুরু
জ্ঞানবৃক্ষ, অতি উচ্চ, শিক্ষাগুরু।
পিতা হইতে নহে কিছু কম
প্রলয় শিখা প্রজ্জলিত, প্রদীপ সম।
দিবা অন্ধকার ঘুচায়ে যে
ছায়ায় জ্বালে প্রদীপ
তারই পদে মোর জ্ঞান
সে ছায়ারই প্রতীক।
হে গুরু, না জানি তব কাছে
কত পাপ রয়ে গেছে
সব পাপ, করিবেন মাফ
               পরম করুনায়,
              প্রিয় গুরু, বিদায়।


হে মোর বিদ্যালয়,
সুষম জ্ঞানছায়াময়
আমায় তুমি করিও মাফ
যদি দয়া হয়।
তোমারি সে মিনারে
কত কুসুম আজ উচ্চ শিরে।
         আমারে রাখিও না দূরে হায়!
হে প্রিয়,     বিদায়।


যেতে হবে চলি যাব
            দ্বন্দ কি-বা তাহে
মনের বিপরীতে মন আজ
             যেতে নাহি চাহে।
জীবন নামক মহাগল্পের এক অধ্যায়ে
সমাপ্তির রেখা এঁকে
চলে যাব আমি স্মৃতিটুকু রেখে
চিনিবেনা তুমি দূর হতে দেখে।
হাজার বছরের চেনা পথ যখন অচেনা
সে ব্যাথারই আঁধারে মিলিছে জোছনা।
   জানি,             সে জ্যোতি আর মিলিবেনা কোথাও
তারই ঘ্রাণ নিমিষেই উধাও।


হে অভভিমানিনী,
মমতা জাগবেনা আর জানি
নব-নব প্রেমিকাহ্লাদে পুর্ণ তব বক্ষখানি।
হারিয়ে যাবে তুমি শিশিরভেজা ঘাসে
তপ্ত রৌদ্রে পাইবেনা আমায় পাশে।
অন্ধকারে না পাইলে
আলোয় খুঁজিও না আর
কক্ষে-বক্ষে মাঠের তরুতলে
পাইবে না আমায়, পাবে স্মৃতি আমার।
বলি গেলাম আজ কন্ঠে দৃঢতা আনি
লিখে রেখ তব পদে মোর
আক্ষেপ-বাণী।


ভালোবাসে ভালোবাসা
                   মন শুধু ধায়
জমে ওঠে প্রীতি বিদায়বেলায়।



বি দ্রঃ স্কুল জীবনের বিদায়ে আমার স্কুলকে উতসর্গ করা একটি কবিতা।