বাপের মতো ব্যাটা হলে
মায়ের সমান ঝি,
গরম ভাতে বিলাই বেজার
পান্তা ভাতে ঘি।
আগের হাল যেবায়দি যায়
পিছের হাল সাথে,
বাড়ির ধারো কুত্তার বড়াই
উপাসী পেট ডাকে।
চোরের মায়ের বড় গলা
লজ্জা শরম নাই,
মাউগ‘র কথায় চলে যারা
ফকির তারা ভাই।
আমাই যেমন হয়ে থাকে
নাতিন জামাই তাই,
উচিত কথায় ভাত মিলেনা
সবুর করে খাই।
খালি দোয়ায় পুয়া ওয়না
কোমরের জোর লাগে,
যার বিয়া তার খবর নাই
পাড়া পড়শি আগে।
যে পাইলো পরার ধন
বাপে পুতে কীর্তন,
নয়া যুগী তাতে উঠলে
বালা অঙ্গে মর্দন।
গত বছর মরছিল রহমত
এবার কেন জিয়ারত,
অাঘাটে আজ ঘাট হয়েছে
আমানত হয় খেয়ানত।
চোরে চোরে বান্দে আলি
গলায় গলায় কুটুুমালী,
এক চোরে বিয়া করে
আরেক চোরের শালী।
চেঙ উজায় ব্যাঙ উজায়
খইয়া পুটির ছাট,
যে মুরগী ডিম পাড়েনা
কুরকুরানি তার ডাট।
হাওরে  পাইয়া মাগনা গরু
মামা শশুরকে দান,
অজ্ঞান যারা চিনবে কেমনে
কমলা লেবুর মান।
অমৃতের মার মুখটা মিঠা
গাল ভরা পান,
সারা দিনের কাজের শেষে
পিঠা দেয় আধখান।
সারা দিন থাকে বেটি
আনে আর বানে,
স্বামী যখন বাড়িতে আসে
বাড়া জুড়ে ধানে।


(বিঃ দ্রঃ সিলেট অঞ্চলের প্রবাদ-প্রবচন যা খনার বচন নামে পরিচিত। আমি কয়েকটিকে মুল ভাব ঠিক রেখে একটু মডিফাই করে নতুন ছন্দে লিখার চেষ্টা করেছি। কোন কোন জায়গায় সিলেটের কিছু আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার হয়েছে)।