কতদিন পর তোমায় পেয়েছি ফাগুন
সমীরের বধির হাওয়ায়; অনুভবে,
তবে কি তুমি এসেছ নীরবে; গোপন
প্রবাহে হৃদয়ের নিলয়ে; নিজ নিমন্ত্রনে,
এসেছে কোন সুর শ্রাবনের মেঘে, পুণ্য ধারায়
পূর্ণ ভিজিয়ে ভিতরে বাহিরে,
হৃদয়তরী উঠল ভেঁসে এমন সাগরের মাতাল-
ঢেউয়ে, মোহনায় হারাতে।
কত পথে কত ঘাটে ঘুরেছি অভিমানে,
এসেছে অহংকার শুদ্ধ প্রেম দাহে পুড়ে,
আর তুমি যখন দিলে আঘাত সীমানা ছাড়িয়ে,
ঝরে গেল তাপ প্রেমেরই স্পর্শে,
ফুটে উঠেছে মালতি, মাধবী, হৃদয়কাননে-
কুসুমের দলে সবুজের আবিরে,
তোমারই প্রেমের চরম আঘাতে এসেছে
কুঁড়ি দহিত শাঁখের শেষ ডালেতে।
যে সবুজ গেছিল উড়ে ধূসর গোধূলির রিক্ত-
বাতাসে, তোমার সাথে বেদনাতে,
ঝরঝর ঝরেছে হৃদয়ের ধারা গোপন
বেদনায় নীরব রোদনে দিবস-রাতে,
কুহেলিকায় ছেয়ে গেছিল সকল আকাশ-
গহন কালোয়, পথ হারিয়ে মরুঝড়ে,
আজ আবার হেসেছে রবি আমার আকাশে
দীপ্ত জ্যোতির অরুণ আভাতে ভেসে,
এসেছ হে পথিক করুণানিদানে, তোমারই-
আশিসে ফুল ফুটিয়ে, বসন্তে,
কোথায় আর জমেছে এত পুণ্য হে,
বিকেছি নিজেরে সকল দরে, তাপে; পাপে;
অনাচারেতে, এ কেমন দানেতে হে পথিক;
করে দিলে প্রেমী আমায়, যার নামে অবুঝও হাসে,
অসীম করুণার সিক্ত সাগরে হৃদয় আমার
প্রাণেতে ভরে অসীম স্পন্দনে,
করলে নন্দন, চন্দনে পুষ্পে গোপন হারে,
কলঙ্কদাগে প্রেমের স্পর্শে;
অপরাধের অনুভূতিতে।