জীবন যখন যায় থেমে স্রোতহীন বন্ধ্যা
পলীর অনুর্বরায় মিছে তাপের প্রবাহে,
যখন আকাশ ডেকে যায় মেঘের কালো
আবরনে, শূন্যতায় গোধূলীর বিষাদ,
জমে যায় প্রান যখন জীবনের খুঁজে
শ্রাবনবিহীন দগ্ধ পাথরের কঠিন শিলায়,
পাখিরা, ফুলেরা, ঝর্নার গীতিরা চলে গেল
যখন নীরব পথে, তখন গভীর কোন বেদনায়,
হৃদয়ে আমারে দিল সংগীত ঐ চৈত্রে,
বরষার মেঘে প্রেমের সলিলে ভিজিয়ে,
দাঁড়িয়ে একা এ নগরে কোন মাধবীর মরমী-
স্পর্শে, এসেছে নাহি প্রাণ মৃত হৃদয় পৃষ্টে,
জীবনসরিতা বইল স্রোতে কোন-
অনুশাসনে, কূল ভেঙে দুয়ারে দুয়ারে নিমন্ত্রণে,
যত কোটি লহরী উঠত এ হৃদয়ে কামনার
পিপাসায় মত্ত প্রমাদে অসীম তারা ছাড়িয়ে,
কেমনে সব ঢেউ গেল হারিয়ে জীবনের গতিতে,
তোমার অভিসারে নির্মোচনে,
সকল পিপাসা, সকল তিয়াসা গেল যে
হারিয়ে তোমারই প্রেমের অরুন পরশে,
হে গীতিকা তোমার অঙ্কুরে এসেছে যূথিকা,
মধুমালতীর মধুর মালতীতে,
কুয়াশার চাদর গেল সব সরে চাঁদনী রাতের
শুভ্র কিরণে অনুরণে, অনুরাগেতে,
ক্রম আমার গেল কেমন মিলে, পাবোকি তোমায়
গোধূলীর শেষে অন্ধকারে কোন বিধানে,
মধুর স্রোতের জোয়ার ভাঁটায় দোলে দোলে
মনেরই কাননে, তোমার আগমনে।
এসেছে গতি হারানো শ্রাবনের মৃত নদীতে,
তরঙ্গে তরঙ্গে ঢেউ তুলে অমৃত পার্বনে,
বিদেহী যত্রার গোপন পথে অর্ঘ্য নিবেদন
নিবিড় রোদনে, তিমির রজনীর অবসানে।