কখন তুমি গান হলে; সুরের ধারায়
ভিজে শ্রাবন হৃদয়ের ভ্রমর গীতিকায়,
শুকনো ঐ তৃষিত পারে মিশেছে নদী কূল
ভেঙে, গোপন কোন জীবন সাথীতে,
বুঝিনি কখনো পবনে, যখন তুমি আসলে
চোখে ছবি হয়ে; স্বপন পেরিয়ে হৃদয় হতে,
জ্বালিয়ে দীপক পূজার থালের প্রদীপে;
অসীম প্রেমের আহবানে করেছ প্রেমিক হে।
যখন তুমি পাখীর ডানায় এলে উড়ে,
গোধূলির মেঘ সরায়ে নতুন ভোরে,
সূর্যোদয় রাঙিয়ে দিলে সকল কালো,
আলোর প্রভায় প্রেমের আবির মেখে,
গোপন কোন সীমাহীন বিনিময়ে এল গান-
ছন্দ হয়ে, সুরের হারের পরম কুসুম হয়ে,
তোমার ঐ সিক্ত রুপ ঝরনা ভিজাল আমার-
তৃষার মরু, এল জীবন সবুজের পেখম মেলে।
কখন তুমি এলে গানে, ভিতিরেরও আরও-
ভিতরে; নড়িয়ে আমায় প্রেমতরঙ্গ,
কোথায় ছিলে লুকিয়ে প্রেমিক, এতদিন;
এতকাল চুপটি করে নীরব কোন আকাশেতে,
বিরহব্যথার আনন্দেতে কাঁদনি কেন বৃষ্টি হয়ে,
আমার প্রাণেতে প্রাণ ছিটিয়ে,
বৃথা গেল কত যুগ, পাইনি ফাগুনে এমন রঙ;
তোমার পলাশের রাঙানো দলে অনুরাগ,
বেজে গেছি মিছে সুরে; দেখানো প্রেমের নাটকেতে;
মিছে হাসির রিক্ত অভিনয়ে,
কোন মোহনায় নিলে ভাসিয়ে প্রেমসলিলে,
ভাঙা তরীতে প্রাণের হাওয়াতে।
বাজুক সে প্রেমের মাদল অসীম সুরেতে,
তোমার হৃদয়ে অমৃত পানে দিকে দিকে,
বন্ধ চোখে যেন পাই তোমারেই শেষে, চরম-
লহরীর শেষ প্রবাহে প্রেমের হিল্লোলে।