জীবন ॥
কেমনে সে কবে,
এসেছিল কেন এ ভবে,
হয়ত ধারনা আমার ভূল হবে,
মনেহয় যেন অচেতন উদাসীন সবে,
তাই বলতে পারোকি ভাই, হয়েছিল আগমন ॥
কবে তার শুরু,
কে তার কারিগর গুরু,
কেমনে হবে তা সার্থক পূরু,
মনামার জানিতে চায়, কেন কবে বিধাতায় মানুষ করেছিল সৃজন ॥
কোন না কোন কারণে,
হয়ত কিবা কোন কারণ বিনে,
একদিন হয় এ জীবনের অবসান,
সে তো নহে সংহার জীবের প্রাণ,
বয়ে নিয়ে চলে উত্তরাধিকারী হয়ে তার সন্তান,
মন্দ কি ভালো সৃষ্টির প্রতি রেখে যাওয়া দায় কিবা অবদান,
বারমাস সারাবেলা আজীবন এই খেলা সাজানো মেলার ভাংগন গড়ন ॥
যার মালিকানা তার ইশারায়,
মহান দাতার গোপন ফরমান পায়,
একদিন, লয়ে দায়ঋন তার আপন মাথায়,
অজানায় আপন নিবাসে সবে চুপচাপ চলে যায়,
এই আগমন আর প্রস্থান,
জীবন নামক কিছুকাল সময়ের হঠাৎ অবসান,
অ ভাইবন্ধুগন জীবনের নয়, মানুষেরও কভূ হয়নারে মরন ॥
একটুখানি বায়ু ভিতরে বাহিরে টানা,
কার আয়ু কতদিন নাই তা কারোই জানা,
আছে বিদ্যা ও ধন ঢের অগনন রয়েছে সবার দুখানা,
কেন ভাই তবু সবাই এমন মূর্খ কানা ও বোঁকা অহরহ খায় ধোকা থেকেও নয়ন ॥
কত ব্যাস্ত,
দেখি সবে অবিরত,
ভরেনা মন,
তেষ্টা ও চেষ্টা প্রাণপণ,
পেরেশান আজীবন সারাক্ষন পেতে আরও ধন আর ভোগ বিলাস বিনোদন ॥
এই আসা আর যাওয়ার,
ঐ ঠিকানা ভেদ জানা আছে কার,
এ বিশ্ব জগত ভূবন মায়া যাদুর সংসার,
এক আজব সফর,
ক্ষেতি বানিজ্য বসতি ধনজন হবে পর,
ভরিবে আঁধারে এত সুন্দর ভালো আর আলোতে পসর,
টলমল নড়বড় পলকের তান্ডব ঝড়, ঐ সে অজানা একখানা সমন ॥
কত তার,
করুনা আর,
মহিমা ও ক্ষমতা অপার,
জাহানের সৃষ্টিরে তার দেখাবার শিখাবার তরে বারবার করিছে তা প্রদর্শন ॥
দুনিয়ায়,
সুখে দুঃখে হায়,
কেউ বেশী কেউ কম পায় খায়,
কি বাদশা ভিখারী গোলাম কোনমতে দিন চলে যায়,
মরন পিছনে ধায়, হায়রে জীবন প্রতিক্ষনে চুপিসারে গোপনে যাচ্ছে কমে ॥
কে তার হিসাব করে আর খবর লয়,
যাই হোক আর যা বলে বলুক লোক লাভক্ষতি জয়পরাজয়,
জানেনা কেহ এ দেহটা খাচ্ছে ঘূনে ধীরে কিবা দ্বিগুনে হচ্ছে নিরবে ক্ষয়,
এ জীবনটা, আছে যার অদেখা জোয়ার ভাটা, কারো সরস কপাল কারোটা ফাটা, কমছে দমেদমে ॥
অজানায়,
বাড়িছে লোকের দায়,
প্রতি পদে প্রতিটি কাজে ও কথায়,
অদেখায় একটা বিশাল বোঝা লয়ে মাথায়,
কোথায় কে জানে কোন লোকে বা মহাজনে কে কত পায়,
পূণ্য ঠেলে তারে পিছনে ফেলে পাপগুলি সব নিরবে পাহাড় সম উঠছে জমে ॥
চলছে পায় পায় পিছে পিছে,
হয়নি জানা জীবন কারে কয় কেন তা অলীক মিছে,
ওরে পার হবি আয় বেলা ডুবে যায় আমার নায়, কে যেন ডেকে বলছে,
মরন নহে বন্ধু নহে দূষমন, তবু সংগী একজন নিরব সহচর এই অদৃশ্য যমে ॥
ভেদ বুঝিনা তার,
মানুষ ও পাথর দোযখের খড়ি ও আংগার,
মালিক শাই,
কি মলম দিয়াছে লাগাই,
পুড়ে লাল হয় তবু কেন মরেনা হয়না হবেনা ছাই,
অল্প বিশ্বাস সামান্য দান একটু ভালো কাজে পাশ কত অধম দাস যাবে ছাড়া পাই,
দেখানো সরল পথ মাঠঘাট সব বাণী ও পাঠ ঐ পাঠশালে তব অতি কাছে বলা আছে ধর্ম্মে ॥
তোমার চীর সত্য বাণী,
বলে বেড়াই হে প্রভূ তা্মিই যেটুকু জানি,
নত শিরে তব চরনে পড়ে সিজদা করি নিজেরে গোলাম মানি,
যূলূম অত্যাচার পাষাণেরে মানিয়েছে হার পায়নি সামান্য ছাড় খোলেনি মমতার দুয়ার কেউই ভূলেনি সে গ্লানী,
আশ্রয় দাতা আর কেহ নাই, আরশের ছায়াতলে দিও ঠাই কঠিন নিদানে তুমি নিও টানি,
কত রাজারানী বাদশাহ বেগম খেদমতে ছিল শত পাইক পেয়াদা হরদম আজিকে তারা কেন অগ্নিকূপে টানিছে ঘানী,
খতিয়ানে সব লেখা আছে মহাবিচারকের কাছে, মুছে কিবা হারিয়ে যাবেনা পাপপূণ্য আর দেনাপানার ঐ সে বালামখানি,
কষ্ট যাতনা ও সুখ আরাম, বিনিময় প্রতিদান মিলে বিনামূল্যে কভূ অতি দাম, সবই অর্জন ও সাধন হবে আপন কর্ম্মে ॥
অ জীবন জীবনরে,
কত কাজ হযনি করা রয়েছে পড়ে,
তাই মরে আমি পড়েছি বিষম নিদানে ফেরে,
এত বিত্তধন প্রিয় আপনজন কেনযে হায় এলাম ছেড়ে,
নিলো কে মোরে জোড় করে ধরে, সব হারিয়ে বন্দি হয়ে আমি গেলাম হেরে,
দুনিয়ার মন্ত্রী বাহাদুর, এখানে নেই বাহাদুরি আছে কষ্ট যাতনা ভরপূর, একেবারে চরমে ॥
সাজানো এ ভূবন কাননে,
পাকা ছাত্র হয় যে শিখে লয় যেমনে,
দেমাগে মন ও মননে, কথায় কাজে ও চলনে,
দেয় ঐ দীক্ষা,
মজবুত ভীত শিক্ষা,
সে পায় যে কায়ঃমনে মাগে ভিক্ষা,
দেহমনে নিরবে গোপনে হরদম চলে সে পরীক্ষা,
বলো হায়,
থেকে এ মাটির দুনিয়ায়,
কজন আছে সে খবর জানিতে পায়,
অতি কাছে সংগী হয়ে সংগে আছে বিধাতায়,
মাটির মানুষ যে চিনেছে তারে আর মেনে লয়েছে তার দায়,
চলো ভাই ভর্তী হই ঐ স্কুলে যাই আমি,
পড়ি লেখি সব দেখি চরনে পড়ে ধন্য হই জেনে লই কে বেশী কেন দামী,  
কে পাশফেল কে অঁচল ঠেলাগাড়ী কে উড়ন্ত রেল, কে নগন্য অধম কার দাম অতি কম আর কে হলো আসামী ॥