বুঝেছি আমি, জেনেছি আমি তাই ॥
তুমি যে চাও,
আমাকে দিয়ে করাও,
তবে তাই হোক, তুমি যদি খুশী হও সুখ পাও,
বাইব নাহয় আমি, এমন ছোট্ট একটা পূরাতন নাও,
ভাংগা যার গলই, নাই তার পাটাতন ছই, বৈঠা পাল কিছুই নাই ॥
তব শত রুপের ছবি আঁকি,
তাই লয়ে আমি নিগুঢ় নেশায় মজে থাকি,
ভিতরে বাহিরে লালন করি রেখে ঢাকি, তাতে শুধু রঙ মাখি মাখি,
সবারে এনে ডাকি, দেহমন তৃতীয় নয়ন রাঙিয়ে দেই আমি তাতে সে রঙ ভরাই ॥
রিপুর তাড়না যেন আমি যাই ভূলি,
দাও খুলি সব অসার অচেতন মোর ইন্দ্রিয়গুলি,
তাই যেন করিতে পারি,
কভূ আমি কোথা না যাই হারি,
মানূষ হওয়া আর,
যে মানূষ খলিফা তোমার,
মাটির দুনিয়ায় করিতে তব দাদনের চাষ ও কারবার,
না পেলেও তার কোন পূরস্কার,
তাতেই পাই তোমার প্রিয় গোলাম হবার কিছুটা সহায় ও ছাড়,
আদর কদর যতন ও মূল্যায়ন, শেষ হিসাব ও পরীক্ষায়, নিমন্ত্রন আর যথা তার মূল্যটুকু পাই ॥
করেছ কত দান, করেছ সৃজন,
হে প্রভূ, হে মহান, হে বিশ্ব মহাজন,
তুমি দাতা তুমিই মালিক হে বিধাতা এ জীবন ও মরন,
দিয়ে সব প্রয়োজন, শত ভোগ বিনোদন, করছ আজীবন লালন পালন,
সকলই তোমার এ বিত্তবেসাত ও সম্পদ ধন,
আসলে সকলই তোমার, দুদিনের ধার, এত প্রিয় এত আপন বিবি বাচ্চাগন,
পেয়ে নানা ধন, ক্ষমতার আসন, দুদিনের এ জীবন মাটির ভূবন, সব ভূলে যায়, তবু করে বড় হবার বড়াই ॥
জানি সে তোমার পছন্দ,
আলো আর ভালোয় ভরা, নাই মিথ্যা ও মন্দ,
আমি বারবার চেয়ে চেয়ে,
তবু তা পাইনি, দিয়েছ মোরে শুধু ফিরিয়ে,
কারন, জানি আমি চেয়েছে তোমার মন, করাবে তুমি আমায় দিয়ে ঐ কাজটাই ॥
কেমনে তব গুনগান,
করি অস্বীকার শত নেয়ামত দান,
আমি তাই সামান্য যেটুকু জানি,
তোমার মহান চীর সত্য শান্তি সুখ বিজয়ের বাণী,
ঐ নীল আকাশে,
বিশ্বময় চীরকাল যেন বাতাসে ভাসে,
এই আশায় শুধু এই বিশ্বাসে তোমার নামে দিলেম চারদিকে ছড়াই ॥
আমার পূজার,
মম এ ক্ষুদ্র উপহার,
আস্থা নির্ভরতা ও অন্ধ ভালবাসার,
দাওনা মোরে এমন একটা বিশাল ইমারত গড়াই চূড়াটা যার,
তোমার চরন ছুতে পায়,
ঐ আলো আর ভালোতে শূন্যতাগুলি দেয় ভরায়,
মম অন্তর প্রাসাদে, যেন আমারে বাঁধে, সংগে থাকে সুখে বিষাদে, চীর জনমের মত রাখে জড়াই ॥