জীবনে কি আছে কি নেই প্রয়োজন ॥
পিনোন্নত মাঝারি স্তন,
পুলকিত এক আহ্বান শিহরণ,
পড়ন্ত নয় যেন টানটান উঠতি যৌবন,
সে কিরে দোষের যদি চাহে কারো তৃষিত মন,
হোক বা নাহোক পাওয়া, জীবনের এমন মধুর লগন,
পাপ নহে চাওয়া বন্ধুর পূণ্যময় মধুর পরশ চুম্বন ও আলিংগন ॥
ফর্সা লম্বা গড়ন,
নাক ভ্রু ঠোট ও নয়ন,
এক কথায় সুন্দরী ও সুদর্শন,
প্রায় সবখানা নগ্ন পিঠ কেনযে তারা করে প্রদর্শন,
সেযে আহবান চাহিলে মন ওরে করো এসে চুম্বন,
প্রশান্ত মন, অশান্ত রসিকা হতে চায় পলকে তার বদলে ধরণ,
কম্পমান নিতম্ব দুখান দেয় সুড়সুড়ি ঝাপটে ধরে দুষ্টুমিতে ভরে দিতে চায় মন,
কিছু কিছু অংগ যেন ডাকে করিতে রংগ চোখ পড়িলে যেথা হয় সাধনা ভংগ লাজভয় করে হরণ ॥  
জড়িয়ে বুকে,
পরম আমোদে ও সুখে,
লেগে পা হতে মাথায়,
দুজনে দুজনার বস্ত্রহীন গায় গায়,
এমন বন্ধু একজন,
দুঃখে সুখে পাশে রবে যে সারাক্ষণ,
দেহমনে মিশে এক ঘরে এক বালিশে প্রতিদিন আজীবন রসনার রাত্রী যাপন ॥
বয়স তার সাইত্রিশ,
এখনও দেখতে কত সুন্দর ইস,
দোচুখে তার অপার মায়ার নেশার মোহবিষ,
গরম ভাতে মচমচে এখনই ভাজা যেন তরতাজা এক টুকরা পদ্দার ইলিশ,
সারা দেহে তার সে কোন ক্ষুধার অস্ফুট হাহাকার দূর্বার যাদুর মধুর আকর্ষন ॥
বাহিরে যতই তিলোত্তমা,
বিবাহযোগ্যা দুই কন্যা ও এক শিশু পূত্রের মা,
অভাবের সংসার, ঘরে অশতিপর শ্বাশুড়ী আছে তার, মনে কত কষ্ট জমা,
বউ শ্বাশুড়ী বুঝি তাই হয়,
মন থেকে আসলে যেন কেউ কারো নয়,
দুজনেই দুজনার পরম আপন চলছে এমনই এক অভিনয়,
পেতে স্বামী ও শ্বাশুড়ীর মন দুঃক্ষ বেদনার কত চড়াই উৎড়াই হয় করিতে জয়,
তবু থেমে নেই চলছে তাদের জীবন নিত্য সারাক্ষণ কত অনটন অঘটন আর টানাপোড়ন ॥
শ্বশুড় গেছে তার বিয়ের আগে,
এখন সব অনটন জ্বালাতন ঐ ছেলেবৌ আর শ্বাশুড়ীর ভাগে,
স্বামীর কোন ভাই,
তার নিজেরও আপন কেহ নাই,
ছোট্ট শিশুটি তার এখনও বুকের দুধ খায়,
গর্ভে রেখে স্ট্রোক করে মারা গেছে তার জুয়ান বাবায়,
অভাগা এতিম ছেলে,
যার বাবা চলে গেছে তাকে সাগরে ফেলে,
জীবনের মহাভূল,
এক সাগর অকূল এখন দিচ্ছি তার মাসুল,
ন্যূনতম শিক্ষাটাও কেন হয়নি তখন সুযোগ ছিল যখন ঢের করা সমাপন ॥
বন্ধু পেতে বন্ধু হতে,
মন চাহে ঐ রুপসীর হাত ধরিতে,
জড়িয়ে ধরে কাবু করে আঁচল টেনে খুলে নিতে,
তারপর নাক ডুবিয়ে আড়ালে বসি ঐ রুপসী বধুয়ার মধু পান করিতে,
সব আবেদন আহ্বান শুধু আমাকে চান, আর কিছু নয় মনেহয় আমার দেহটাই তাদের প্রয়োজন ॥
তা কেমনে হয়,
বিয়ে করে দায় নিতে নয়,
নেইকি তাদের পাপের কিবা মরণের ভয়,
বন্ধু বলে বলে,
নানা ছলে ও কৌশলে,
কত ভাবে কত ভাষায় প্রেম নিবেদন করছে এসে কত মনোহর মধুকর জন ॥
আমারে বলে ছাড়িতে আমার ঘর,
বুকের মানিক নাড়ীর ধন আত্বীয় স্বজন সবারে করিতে পর,
হেথা সুখ না পেলে, সেজন বন্ধু আপন না হলে শেষে যাবো কোথায় কি উপায় হবে তারপর,
বেশী সুখের আশায়,
অবলার জাত কূল মান সব যদি যায়,
স্বপ্ন আশা ভালোবাসা সবই হয় বিফল আর সংগী হয়ে রয় চোখের জল ও দুঃক্ষবেদন ॥
মনতো কত কিছুই বলে,
তবে মনের কথায় কি সবাই চলে,
যারা গা ভাসিয়ে হাল ছেড়ে দেয় জোয়ারের জলে,
বলো আমি কেমনে হইগো এমন, কিছুতেই নই তাদের সে দলে,
বুড়ো শ্বাশুড়ী ও সন্তানদের ছেড়ে যাই মন করেনা তাই আমারে একবারও তা সমর্থন ॥
এ জগতে বড় দায় মানুষ চেনা,
ঠকে গেলে একবার আর কভূ তার পূরণ হয়না,
বড়ই কঠিন পদেপদে কত দায়ঋন, লাভক্ষতির এক আজব বেঁচাকেনা,
কেজানে শেষে যদি হায় কৌশলে নিয়ে যেতে চায় জায়গাটুকু অভাগীর সন্তানের সম্বল সামান্য নগদটাকা ও সোনা,
জানিনা এ যূগে আছে কি নাই,
আগের দিনের সেই বিশ্বাসের ভালবাসা ও শান্তিসুখের ঠাই,
সেই বন্ধন যেই নিগুম নেশায় আজীবন কেটে যায় দেহমন দুনয়ন মায়াতে জড়াই,
মধু খাই এক বিছানায় শুই,
আজকাল মানুষ ভিতরে বাহিরে দুই,
মনের যত ইচ্ছে সাধ সব গহীনে লুকিয়ে থুই,
বলছি আমি ভালো ও সত্য কথা বিধির চরণ কপালে ছুই,
সুবদন সুবেশ সুবচন,
হলেই সেজন ভাই নহে সুজন,
আমার কপালে যদি কেহ আসেরে এমন,
সব বিশ্বাস ও আশা শেষে হয়ে যায় একেবারে ঠনঠন,
যদিরে সে শেষে পালিয়ে যায়,
কপোট অভিনয় মিথ্যা আর ধোকা প্রতারণায়,
এমন হলে আহারে ধরে আনবে কে তারে পাবো কোথায়, সম্ভ্রম দেহমন অবলার সবধন করে হরণ ॥
মন আমার কতকিছু চায়,
অবসরে মনের ঘরে ভাবনায় স্বপ্ন আশায়,
মালা গেঁথে বুক বাধিতে ক্ষতি কি তা সে পায়কি না পায়,
দোষ দেবো কার নিভৃতে বালুচর করে হাহাকার ঐ সে গোপন পিপাসায়,
অদেখা অনলে এ বুক পুড়ে খাক হয়ে যায়, তা আরও উছলায় মোর বেহায়া লোভী মন ও নয়ন ॥
এমন অনেক কথা আছে,
যা কভু বলা যায়না কারো কাছে,
না পেলে পেতে তাই এই মন কখনোবা এলোমেলো চলে,
না বলে পাওয়া যায় বুঝে শুধু একজন তার সে কঠিন প্রয়োজন মুখোমুখি হলে,
আছে প্রয়োজন তবু যায়না কহন,
চোখে জল নেই কান্নারও সাড়া নেই আছে এমন কত কষ্ট আর অস্ফুট তার ক্রন্দন ॥
মনটার কতরকম বায়না,
সে যাহা চায় কেন তা বলো পায়না,
রাতভর এ দেহটার ভিতর ছটফট বহে ঝড় ঘুম আসেনা,
নিদহীন কত রাত হয় কষ্টে প্রভাত তবু কেন হয়না তার কোন সমাধান কিবা সমাপন ॥
উদার মহৎ বিশাল বড় মন,
বেশ স্মার্ট ফিটফাট এলো একজন,
কাছের মানুষ ছিল সে চেনাজানা ও আপন,
শিক্ষিত তবে সাদামাটা ও ধনে নগন্য সাধারণ,
এক পোষাকী সফল পুরুষ কালো তবু সুদর্শন,
আমি এক অসহায় বিধবা পারি কি করিতে মোরে সমর্পন,
নেই তার কোন পিছুটান,
আগ্রহটাও ছিল আনচান টানটান,
শুধু এই যা, দুজনার বয়সে পঁচিশ/তিরিশের ব্যাবধান,
আমার অবস্থানেই রেখে আমায় ,
ভালোইতো ছিল গোপনে সে মোরে বিয়ে করিতে চায়,
নিতে চায় সবটুকু দায়ভার,
আমার ও আমার অবুঝ এতিম শিশুটার জীবন গড়ার,
শেষে কি হলো হায় তার ঐ আগ্রহটায় জানা হলোনা কেন ভাটা পড়ে যায় কোনদিন আর সে আসেনি বাসায় ॥
কিছুদিন তার ঘন ঘন আসা আর যাওয়া,
জবাবের আশায় হয়ত মোর মোখপানে তার বারবার চাওয়া,
একটু সুখের ঠাই যার তুলনা নাই সেকি ছিল কম, শান্তির এমন এক ঠিকানা পাওয়া,
মাঝেমাঝে নাক ডুবিয়ে খাওয়া,
আস্থা আর নির্ভরতার ঝিলে ডুবিয়ে নাওয়া,
আহারে উল্টো পথে তারে জানিনা শেষে কে করিল ধাওয়া,
থেকে আপন ঘরে সবার সনে,
মাঝে মাঝে মধুপান যখন যার চাহিবে মনে,
কি আসে যায় কে কি বলে, লোকের নিন্দা রটনা কিবা গুঞ্জনে,
ছিল মোর আরতি কেনো হলোনা গতি তার সুমতি, তা কি ছিল অন্যায় কিছু ঠকে কিবা হেরে যাবার মতন ॥
সুজন পতি,
তাতে ছিল কি ক্ষতি,
এক অসহায় অবলার গতি,
কি হলো তার জানা হলোনা,
কেন কভু সে আর সামনে এগিয়ে এলোনা,
আমার সাড়া পেলোনা বলে নাকি ছিল তাতে শ্বাশুড়ীর মানা,
ঐ বিয়েটা কেনযে আর হলোনা শেষটায়,
আহা খুঁজে তারে ধরে আনিতে মোর ঘরে আজও মন চায়,  
ভালো লাগা আর প্রবল একান্ত ইচ্ছার হায় তার চোখেমোখে বচনে ইশারায় ছিল কত  আবেদন নিবেদন ॥
আপন ভূবনে আমি এক অসহায় বন্দি,
দিন যায় দুঃখের সনে গোপনে করে মিতালী ও সন্ধি,
বিধাতা তুমি ছাড়া আর,
কেউ নাই কিছু নাই এ জগতে আমার,
নাই গতি, তাই নিদান ও নিয়তির কাছে মানিলাম হার,
রাখিলাম দরবারে তোমার এই আরজি মিনতি ও নিবেদন আমার,
স্বামীর বিকল্প নয় তবু কিছু যদি হয় করো উদ্ধার, হয় পুরণ কিছু প্রয়োজন ঐ কষ্টবেদনার উপষম প্রসমন ॥  
কি আছে উপায় তার,
দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাবার,
নহে তা পাপেভরা অবৈধ যৌনাচার,
হে বিধাতা দাওগো মোরে এমন দেহমন পুরস্কার,
না যেন হয় হার, ইন্দ্রিয় আর রিপুগুলিরে করিতে পারি শাসন ও দমন নিয়ন্ত্রণ ॥
আছে তা নিশ্চয়,
সবে করিতেই হবে তা জয়,
যদি পাপ নয় কিবা কোন কলংকও নয়,
তবে আর কিসের লজ্বা কিসের ভয়, কেনইবা হবে পরাজয়,
স্বাস্থ্যের লাগিও ক্ষতিকর না হয় থাকে এমন কোন উপায় তবে তা কেন নয়,
সত্যাশ্রয়ী ও বাস্তববাদী হও মন, কিসের বাধা তা করিতে গ্রহণ, করো তাহা গবেষণ ॥
চল্লিশ হতে পঞ্চাশ বয়সী,
লাইন ধরেছে যেন পিছনে আসি,
আমিতো নহে বেশী ভোগ বিনোদন বিলাসী পিয়াসী,
কোন মধুকর পুরুষের উপর হলে ষোলআনা নির্ভর ও বিশ্বাসী,
বেশী সুখের আশা মোহের জোয়ারে ভাসা বানাবে পাপী ও সর্বনাশী,
পরমুখাপেক্ষিতা ও পরনির্ভরশীলতা বেশী প্রাপ্তির বদলে গলে যদি পড়ায় ফাঁসী,
সব বাঁধা পেরিয়ে খাঁচা হতে বেরিয়ে বেশী হারিয়ে শেষে মর্মাহত হয় কত উচ্চাভিলাষী,
শুধু ঠকেনা হারেনা যে বেশী সয় বেশী ভার বয় কখনও অধীর নয় এমন আলো ও ভালোর চাষী,
হায় আশেপাশে যায় আর আসে মধু পানের আশে বলে ভালোবাসে করে ঘুরঘুর মধুর গুনগুন ভনভন ॥
মম অন্তরের ঘরে,
প্রাণগুলি সব গুমরে কেঁদে মরে,
না পাওয়ার হাহাকার যে কান্নার জল চোখে নাহি ঝড়ে,
মূর্খ অর্বাচীন মাথায় লয়ে ভারী বোঝার দায়ঋন কেমনে ঐ শূন্যে বিচড়ে,
ডোর ছিড়ে একদিন ঐ ঘূড়ি ক্লান্ত যখন গগনে উড়িউড়ি ধপ করে শেষে মাটিতে পড়ে,
মাতৃ হৃদয় কেমনে হতে পারে হয় এত নিষ্ঠুর ও পাষান ছেড়ে স্বামী ও সন্তান সবারে পর করে,
কত ঝড় আসে প্লাবনে ভাসে, সুখেদুঃখে আপদে নিদানে সর্বনাশে বাঁচে বিধাতার একটু করুনার আশে এইতো জীবন ॥
ছেলেমেয়েরা সবাই বড় হয়েছে,
যতই থাকুক বাসনা সাধ কিবা প্রয়োজন আমার ওতো চক্ষু লজ্বা আছে,  
তা কেমনে হয়, বিয়ে করে এক ঘরে বসত করে কেমনে মোখ দেখাবো আমি তাদের কাছে,
সাবেক স্বামীর সন্তান ও ঘর সংসার সব ঠিক রেখে,
সুন্দর কোন পথ খোলা আছে কি নাই ভালো করে তাই ভেবে সবদিক দেখে,
গোপনে বিয়ে ও সে সম্পর্ক অপরাধ নয় বরং তা পুণ্যময় তবু যেন মানুষে আমা হতে ভালো কিছু শেখে,
দোষ কি নাহয় সপ্তাহে শুধু ১/২ দিন নাই কোন দায়ঋন অপরাধ ভয়,
একটু সুখ ভরে পেটবুক হাতের নাগালে পাওয়া কব্জি চুবিয়ে নাক ডুবিয়ে চুষে চেটে খাওয়া যদি হয়,
সে কি নয় ছোট্ট এ জীবনের এক পরম পাওয়া অপার সুখের ঝিলে ডুবিয়ে নাওয়া ও বিশাল এক সাফল্য বিজয়,
মেনে লয়ে তাই মনেরে মানিয়ে বুঝাই সাধ্য আর আপন যোগ্যতার সীমানায় উচিৎ তারে করা অন্বেষণ ॥
নহে এমন এক বল্গাহীন হরিণের মত,
মুক্ত স্বাধীন একেবারে বাধাহীন যা চাহে মন যখন যেভাবে যেমন যত,
নয় অপরাধী মন,
যার সন্তান আর নেই প্রয়োজন,
পা হতে মাথায় শত নোনতা চুম,
অন্তরালে খুশীর মাতন উঞ্চ শিহরণ উল্লাস ধূম,
নগ্ন গায় ক্লান্ত বিছানায় হাতপা ছড়ায় বাকী রাত অচেতন ঘুম,
যত যেমন খুশী মনে চাওয়া শুধু আরাম আর আরাম পেলে এমন সাম ভোগ ও বিনোদন ॥
ওরে মন সুখ কহে কারে,
ঐ সোনার হরিণ কিবা সুখ পাখীটারে,
কেউকি জানে কেমনে ধরে আনে কোথায় পাবে তারে,
সে কোথা লুকিয়ে আছে কুড়ে ঘরে প্রাসাদে নাকি গহীন বনে কিবা নদীটার ঐ পারে,
কতনা মজার খেলা,
এ জীবন কিছুক্ষণ ক্রমশঃ দ্রুত পড়িছে বেলা,
রঙের বাজারে তার সে এক অপার সাতরঙে সাজানো মেলা,
দারুণ মজার খাবার দেহমন পেটভরে ঠিকমত খেলে তা সাতদিনে একবেলা,
কখনো তিক্ত বিরস কখনো সরস মজার খেলা যেথা কেউ জেতে কেউ হারে,
আলোতে আঁধারে ডুবে ভেসে রয়েছে সাঁতারে তবুও সবাই দায়দেনার ভারে কাতরে দাড়ায়ে তার দুয়ারে,
প্রয়োজন বন্ধন বিধির বিধান মানা যেজন নহে কানা হাল নাহি ছাড়ে সুজন সংগী এমন চাহে একজন ॥
শুধু নিজে পাওয়া নয়,
জীবন হতেই হবে আলোকিত ও পুণ্যময়,  
সকল দানেরই তাই কিছু মূল্য যথা প্রতিদান সংগীরে সবাই দিতে হয়,
সে ইতো সেরা ও উত্তম যদিও তার সবকিছু কমকম মেনে লয় সব সয় ভার বয় সেইতো বন্ধুর পরিচয়,
একজন সুস্থ্য সুজন ভালো মানুষ হলেও সে বুড়ো স্বামী,
যূবক পরকীয়া প্রেমিকের চেয়ে অনেক বেশী ভালো অনেক মজার অনেক সুখের অনেক দামী,
ওরে অবুঝ মন,
আপন দোষগুলি সব করে নিরসন,
অসীম স্বপ্ন আশার পাখনায় লাগিয়ে লাগাম বাঁধন,
সাধনা বিনা হয়না কিছুই চেনাজানা ও সাধন, তাই সবার আগে মানুষ হতে করো গবেষন ॥
অ কষ্টে কাতর মন,
পেয়েছ তুমি যেটুকু সুখ শান্তি ও ধন,
তাই নিয়ে সাদরে সারা গায় মাখিয়ে ভরাও দেহমন,
দেখিবে বাসন্তি মৌরসে শোভা আর সৌরভে ভরিবে তোমার ভুবন,
যদি আর নাহি পাও, যেটুকু আছে তা থেকেও আবার কিছুটা হারাও ভাবোতো তবে কি হবে তখন ॥
তোমার ঘরে ও হাতের কাছে,
অমূল্য অফুরন নেয়ামত ধন যাহা আছে,
না হলে করা তার দানের শোকর ও যথা মূল্যায়ন,
একটু ভুলে সামান্য গলদ মূলে হতে পারে দিতে তার খেসারত আজীবন,
জীবনের গল্প করিনু অল্প তার সহস্র রুপ কত সুখ ও কত দুঃখ যখন যেখানে ওরে যেমন,
হতে পারে এ জীবন কানন ধূ ধূ বালুচর এক দহনের ঘর কোন চিতাখলা হোকবা নাহয় দাবানলে পোড়াবন ॥
সেইতো ঢের এক কাতরা জল,
পিপাসায় কাতর প্রত্যাশা ভীষণ প্রবল,
প্রাণ নাশে ছুটে আসে পাহাড় সমান প্লাবন ঢল,
সেতো সুপেয় নয় বুকভরা এত জল সাত সাগর অতল,
ভাসিয়ে নেয় ডুবিয়ে দেয় লোকালয় বসতি জনপদ করে তল,
অতী লোভে তাতী নষ্ট,
বেশী সুখের বেশী আশায় শেষে পায় অনেক কষ্ট,
লোভে পাপ আর পাপেতে হয় মরন, কহে গুনীজন এ বচন প্রতিপদে প্রতিক্ষণ কথায় ও কাজে রাখিও স্বরন ॥
উঞ্চ ভাষাহীন,
কত সাধ মধুর বাসনা রঙীন,
শুকিয়ে ঝড়ে পড়ে যায় হয়ে বিরস মলিন,
কালের বুকে এমনি হারায় কে তা খুঁজে পায় আর মনে রাখে চিরদিন,
নেই কোন সম্বল ফেরারী মুসাফিরের দল, জানা নাই কারো ঠিকানা কার কত দায় কিবা ঋন,
সহন আর সুখের অভিনয় সেও এক পরম পাওয়া মহাবিজয় বিষন্ন হলেও তাই মন সদা রাখা চাই সহাস্য প্রসন্ন বদন ॥