পর্ব -০১


এলোমেলো রঙগুলো করা ভাজ,
দেখানো সবারে করে সুন্দর এই সাজ সে এক নিখুঁত কাজ বয়ন ॥
কল্পনার অনুভবে ও চেতনায়,
দূর বিজনে নিরবে গোপনে ঘুরে বেড়ায়,
অথই জলে, গহীন বনে ও নীল দিগন্তে দেখিতে পায়,
যে নয়ন, তা বলো আছে কিবা পায় কয়জন, তার নামই তৃতীয় নয়ন ॥
এ চুখে দেখা যায়না,
ব্যস্ত লোকালয়ে তা কেউ পায়না,
না পেলে খুঁজে ওরে আজব ঐ আরশিখানা,
হতে পারে বৃথা এ জীবন, হয়না সাধন বিফল সাধনা,
সত্য বলা সুপথে চলা জীবন সুফলা, মানুষেরে যা বানায় মানুষ সুজন ॥
নিঝুমে একা,
নাহিলে পাবেনা দেখা,
হওয়া চাই চেনাজানা দেখা ও শেখা,
এ জগতে যারা বাকহীন ভাষাহীন,
ঐ দুঃখী মানুষগণ যাদের মনটা ভার ও বদন মলিন,
তাদের জীবন গল্প কথা, নাবলা কষ্ট-ব্যথাগুলি নিয়ে মহারাজার কাছে পত্র লেখা,
সে দেখার লাগি নিশীথে জাগি নাহলে নয়, করিতে হয় গহীনে অন্বেষণ ॥
কম কথা বলা,
নিভৃতে বিজনে একেলা চলা,
সত্য বলা ও সুপথে চলা, এ জীবন ভুবন করে সুফলা,
করা কম ভোজন,
দানিবে এক মহৎ ও উদার মন,
যারা খায়নি, কিছু পায়নি, বড় অসহায় জীবন,
কেউ নাই কিছু নাই এমন যে মানুষগণ,
তাদেরে লয়ে দরদী হয়ে, গোপনে নিরবে একটু ভাবা কিছুক্ষণ,
কম নিদ যাপন,
দিবে একটু বেশী সময় জাগরণ,  
লয়ে বেঁচে যাওয়া ঐ ধন ও সময় কিছুক্ষণ সে জগতে রহা প্রয়োজন ॥
বিদ্যা ও ধন ওরে ভাই,
তার কাছে কতটুকু কি আছে কিবা নাই,
কায়ঃমনে অকাতরে দিয়ে বিসর্জন করে নিজেরে সমর্পন তাই,
যার দান তারে দিয়ে ধন্য হয় গোলামের জীবন মনিবের সামাণ্য করুণা পাই,
মনন ও গবেষণা বিণা মানুষ রয়ে যায় কানা, কেউ কভু পায়না তার দরশন ॥


পর্ব -০২


চলি যেদিকে চোখ যায়,
তাই যদি করি এই মন যখন যাহা চায়,
আমি ঘুরে বেড়াই,
আর কোন মোর কাজ নাই,
যেখানে যাহা আমি দেখিতে পাই,
দুঃক্ষ-কষ্ট বিলাস বড়াই লোকের অনটন ও সুখ-বেদন,
কাগজে কলমে আমি তার বাহার সমাহার করে যাই জীবনের ছবি অংকণ ॥
এ সাগর পাহাড় নদী ঝর্না ও বিলঝিল,
মাছ ও পাখীদের কোলাহল কলরব ও কিলবিল,
মেঘের রথে মহাশূন্যের ঐ আকাশ পথে যেথা নীল আর নীল,
ফুলেফলে ভরা পাখীদের নাঁচন করা সাতরঙে গড়া গহীন বিজন বন ॥
এক তাঁতি ভাই,
তার জাতি পেশা ছাড়ে নাই,
সে কিরে খোটা নাকি ওরে তার বড়াই,
যদিও তার কোন বাড়ীগাড়ী জীবনের রঙ ও জৌলুস নাই,
নিঁপুণ কারিগর, দিনভর রাতভর, করিছে দেশ-জনতার লাগি বস্ত্র বয়ন ॥
যেজন ঐ শিল্পী কবি,
লিখেন নাবলা কথা এঁকে মনের ছবি,
মেঘের ভেলায় বসি করে ভ্রমন ঐ তারকা ও শশী রবি,
দুঃক্ষ কষ্ট ও অনটন ভরা অতি সাধারণ আধমরা মানুষের জীবন সবই,
পরের তরে যার ক্ষুদ্র অবদান, সেইতো মহান ও মহাভাগ্যবান ও ধন্য তার জীবন ॥
সূতোর ফাঁকে সূতো দিয়ে,
তার সনে চোখ রাঙানো মন ভরানো রঙ মাখিয়ে,
চিকন হাতের নকসি করা,
মাটির হাড়ি বাসন কলসী ও সড়া,
বাঁশ ও বেতের নানা আসবাব ও তৈজষ গড়া,
শীতল চিকন পাটি মায়ার যাদুর মধুর শীতল পরশ ভরা,  
মোটা চালের ডালভাত খাই, মাটির মেঝেতে ঘুমাই, করে বাঁশের চাটাইয়ে শয়ণ ॥
আগামীর ভাবনা বসে করা আজ,
সত্য বলার কাঁধে যে দায়ভার ঐ সাহসী কাজ,
নেই তার কোন সংকোচ, দ্বিধা-ভয়, সংসয় ও মোহ কিবা লাজ,
নহে বেশী ধন ও ভোগ বিনোদন, শুধু আলো ও ভালোর লাগি হই ও রহি মোহতাজ,
কার কি নাই কার কি প্রয়োজন চাই, সবার স্বজন নাবলা কষ্ট-বেদন দেখার ঐ একটাই নয়ন ॥
মম পঞ্চ রিপু সপ্ত হৃদয়,
অপার ঐ রুপ দেখে তার বিমোহিত হয়,
নিরব ইন্দ্রিয়গুলি সব সকল জানালা দুয়ার খুলি মজে রয়,
শত রঙ তার মাখিয়ে ভরায়,
সারা দেহমন করেছে তা গ্রহন রেখেছে বিভোর প্রেমেতে জড়ায়,
মোর বলন চলন সহন বহন লিখন ও গাহন,
সকলই আমার, মন পেতে ঐ নিরাকার দয়াময় বিধাতার, করি তার চরণে নিবেদন ॥
পূঁজি বিনা ব্যবসা,
হয়না পূরণ কোনই স্বপ্ন আশা,
লেনদেন, প্রতিদান ও বিনিময় ছাড়া কিসের ভালবাসা,
গোলামী বিনা হয়কি রুজি ও জীবন খাসা, সাধনা বিনা ও কিছু বিসর্জন ওরে মন কভু হয়না সাধন ॥