ভোগ বিলাস বিনোদন,
কিবা শুধু অনটন আর টানাপোড়ন,
এমন জীবনতো আসলে কভূ আমি চাইনি ॥
আমিকি তবে ছিলেম কানা,
ক্ষুদ্র সীমানা আমার দেখাজানা,
আমি চিনেও তারে এখনও হয়নি চেনা,
কতকিছু আমি আজও দেখিনি, নাহি জানি ও পাইনি ॥
কোন সে ঘোর মোহের,
আহারে চারিধারে মোর পঞ্চনেশার ঘের,
চোখেতে চূড়,
সারাটা মন ভরপূর,
নহে বেশী দূর, মাঠের ঐপার হতে মায়াযাদুর হাতছানি ॥
আমারে লয়ে কেন,
হাতের পুতুল কিবা খেলনা যেন,
সারাবেলা জানিনা কেন তামাশার এই খেলা আর টানাটানি ॥
ছোট্ট এ মাথাভরা,
এলোমেলো তাড়া করা,
কত স্বপ্ন আশা আর কত কল্পনা,
জানা আর অজানা কত ভাবনা পেরেশানি তাড়না,
মন শোনেনা মানা, এত বলি এড়িয়ে চলি ওসব এবার তবে ছাড়না,
আর যদি নাহয় ভোর, পাইনা সান্তনা মোর, যখন দেখি শূন্য এ হাত দুখানি ॥
এই ঢাকার ভিতর আছে ঢাকা,
কত অলীক আশার মিথ্যে জীবন ফাঁকা,
দূরন্ত চলায় ঘূরপাক খায় চলন্ত ঐ গাড়ীর চাঁকা,
অঁচল রথ অচিন পথের বাঁকে, হঠাৎ থমকে দাড়িয়ে থাকা,
মাথায় ভারী বোঝা ঋন, এক পথিক সংগীহীন, বুঝি গোঁধূলী ঢাকিতে চায় তার চেনা প্রেমেতে কেনা ধরাখানি ॥
আঁকাবাঁকা পথ, বুঝি যেতে হবে বহুদূর,
কে জানে হায়, দেখা নাহি যায়, কোন দূর সীমানায় ঐ সে অচিনপুর,
কে আছো ভাই, আমারতো গাওগেরাম পথঘাট কিছু চেনা নাই, দাওনা আমায় ছোট্ট একটা বাতি আনি ॥
বুঝিলাম আজি হারিয়ে ঠিকানা,
আমি নহে গাজী, আসলে এক নির্বোধ পাজী ও কানা,
লোভ কামনা মোহ বাসনা আমারে করেছে ছোট, কেমনে বলে ফুল হয়ে ফোট, দিয়ে বারবার হানা,
মিছে তার অনেকটা ই ফাঁকি, দেখাশেখা চেনাজানা যেন আজও শতগুন রয়েছে বাকী আমি তার যেটুকু জানি ॥
একেলা আমি জোছনা ভরা যে রাতে,
বেলি হাস্নাহেনা জুই চামেলি রজনীগন্ধা যখন মাতে,
নিরব কষ্টের গল্পগুলি, লোহাড় শিকল খুলি যা ছিল মম স্মৃতির পাতে,
অবশেষে বারবার, ঢেউয়ের পাহাড় এসে কূল ভাংগে তার, নিষ্ঠুর নির্মম আঘাতে আঘাতে,
সোনালী বালুচর চিকচিক,
মনেহয় যেন ষোড়ষী রুপসীর হাসি ফিক,
আপনার মাঝে, আমি কি আমার সকল চিন্তা কাজে আছি ঠিক,
এই বুঝি সেই, ঠিক আমি দেখেছিনু যেই, কল্পলোকের স্বপ্নপুরীর নিথর ছলছল শান্ত টলমল ঝিলের পানি ॥
জমিগুলি তার,
তবে ফসল পূরোই আমার,
সারাক্ষন পিছে লাগানো এমনই এক গুপ্তচর,
মহারাজ সিংহাসন, বিশ্বময় যার একক প্রশাসন দপ্তর,
অদৃশ্যমান সপ্তজমিন সাত আসমান এক ভগবান চীর অক্ষয় অবিনশ্বর,
চুপকরে থাকিও আছে তার, এ বিশাল জগত সংসার, বিশ্বজোড়া এক পরিবার, বিরাজমান তীক্ষ্ন সজাগ নজর,
বিশ্বময় নাহি হেন কোন বল,
কভূ হয়না হবেনা এ বানিজ্য বসতি সফর সফল,
দিয়ে ফাঁকি, শাক দিয়ে মাছ ঢাকি, যতই লুকিয়ে থাকি করে নানা কৌশল,
তব এক অধম গোলাম,
আমি নাহি চাই, নাই কোন দাম,
বয়ে বেড়াই, শূন্যে ছড়াই, আমি যেটুকু জানি বক্ষে ও শিরে লয়ে তাই, চীরসত্য তব অমর সে মহান বাণী ॥
রাখে কফোটা শিশির কফোটা বৃষ্টির জল বাদল ঝড়,
গাছের একটা পাতা ঝড়ার ও সব জীবের দমের হিসাব সব খবর,
মিতালি করিলে হয় আপনজন, নাহলে হলেও হতে পারে দূষমন কিবা অচেনা পর,
জানিনা কারে বেশী আমি ভালবাসি,
কার লাগি নিঝুম ক্ষনে এতদূর আমি গোপনে হেটে আসি,
নাংগল জোয়াল, গরু মহিষের পাল, কিছুই আমার নয়, তবু পরিচয় আমি রাজার চাষী,
হাল নাগাদ খাজনা কর, নাই ধরপাকড়, নিরবে সব নিলাম, অধম গোলামের কমে যায় দাম, তা সর্বনাশী,
আলো ও ভালোর বানে সকল জায়গাজমি না গেলে ভাসি, নিশ্চিত ঐ বকেয়া খেলাপী ঋনের সাজাটা ফাঁসী,
আমি তাই থেমে নাই, তব পরিচয় সবখানে গেয়ে বেড়াই, যেটুকু শিখেছি বুঝেছি চিনেছি দেখেছি ও জানি ॥
ভালবাসি,
উড়ে সে আসি,
চোখেমোখে ঝিলিক হাসি,
বসতে চায় যেন হায় গায়েতে ঘেষি,
তার কাছে হেরে যায় চীর পরম আপন ভাইবোন মা মাসী,
কোন সে সুখের নেশায় কি আশায় যেন মন হয়ে যায় উদাসী ভোলা, পরশে সেবাদাসী হয় রাক্ষুসী ডাইনী ॥
অভিনয়ে ছলনায়,
বারবার যেন সে হতে চায়,
কেউবা পায়ে মাটি নাহি লাগে যেন মাটিতে দাড়িয়ে হাটিতে হাটিতে চাঁদ ছুতে পায়,
পথচারী ভিখারীনি কিবা মালীর ছেলে তার কাস্তে ফেলে, ভাংগা কপাল পাখনা মেলে হয়ে যায় রাজারানী ॥
আবার কত রাজার ছেলে,
বিনাদোষে কতজনার জীবন কেটে যায় জেলে,
আপন দোষে কিবা নিজের ভূলে সব হারিয়ে পালায় সব ফেলে,
সন্নাসী বেশে ঠাই মেলে শেষে, আশ্রমে পোড়াবনে কিবা কোন অশ্বথ গাছের তলে,
জীবনটা যেন হায় বদলে হয়ে যায় আধো অচল, টানতে মহিষের লাগে বেশী বল, চিটচিটে তেলের ঘানী ॥
সত্য তোমার,
কভূ যার নাহি পরাজয় নাহি মানে হার,
সৃষ্টির দায়, গোলামের ভালো চায়, লালন পালন সার্ব্বিক সেবা উপকার,
মনে কত সাধ, ভান্ডারে মজুদও আছে,
সাধ্য নাহি কিছু করিবার, চেয়ে না পেলে রাজার কাছে,
নিবেদন আছে কোন অভিযোগ নাই,
না হয়ে অভিমানি তবু আমি নিরবে সয়ে তাই,
জানি আমি তা নহে হার,
নিশ্চয়ই একখানি ক্ষুদ্র বিজয় আমার,
আমার অলিখিত এ আপোষ সন্ধিখানি দিয়েছে খুলে দ্বার, তোমার ইচ্ছাটাই যখন আমি নিয়েছি নিলাম মানি ॥
এই দীনতা, নয় হীনতা যাদের অনেক কিছু নাই,
অস্থীর পেরেশান, চেষ্টা আপ্রাণ, পেতে নাইগুলি আর নিরাপদ ঠাই,
তুমি পালক তুমি দাতা হে বিধাতা, কার কি প্রয়োজন সবই জানো তাই,
আমিও মিশে তাদের দলে, তব প্রাসাদ ছায়াতলে, ক্ষমা ও করুনার আশ্রয় চাই,
তেমন কিছু নাথাক অামার, গোলাম হলাম বিশ্বরাজার, সেইতো আমার চরম পাওয়া পরম বড়াই,
মম সবর শোকর,
হোক সে যতই বাদল ঝড়,
যদিও হয় সাতহাত পানি মাথার উপর,
তুমি সহায় হলে জানি নেই কোন ভয়,
যদি সাগর শুকিয়ে কভূ মহা বালুচরও হয়,
বিষন্নও নহে, তা নয় কোন পরাজয়, সেইতো আমার তোমার প্রেমের খুশবো ছড়ানো বাঁধনে জড়ানো আসল ফুলদানী ॥