( নবীন ডাক্তারদের নিরব করুন আর্তনাদের এক অজানা বাস্তব জীবন কথা )
  
আমি বলবো আজ, সত্য বলতে কিসের লাজ, জীবনের গল্প আমার ॥
দেখে মনেহয়,
সেতো আসলে আর কিছু নয়,  
কষ্টের বাস্তব প্রমাণ চিত্র অদক্ষতা অবিচক্ষণতা ব্যর্থতা ও অক্ষমতার ॥      
তবু কেন সরকার,
প্রতি বছর বানাচ্ছে বেকার,
জেনেবুঝে ইচ্ছে করে নবীন ডাক্তার,
অনটন আর অশান্তির ঘরে, দেশটারে অস্থীরতায় ভরে হাজার হাজার ॥  
করেছে আপাদশির তল,
দায়দেনা সমস্যা অপমান ও অশান্তির ঢল,
এ কি তবে সেই রাজ ভিতরে শূন্য বাহিরে সাজ, মসনদ পোড়াবে যেই দূরন্ত দাবানল,
অনেক লেখাপড়া করে,
শত প্রতিযোগিতা এ শিরে ধরে,
ঘাটে ঘাটে জীবন গড়ার শক্ত কঠিন পাঞ্জা লড়ে,
যে ভাগ্যটার জুড়ি নেই, হয়েছি আমি সেই অবহেলিত ডাক্তার, কোন গতি নাই যার ॥
এ কোন নির্ম্মম নিষ্পেষণ কঠিন ভার,
পেলাম আমি একটা বড় সার্টিফিকেট উপহার,
হয়েছি আজ অনিয়ম দূর্নীতি আর অবিচারের শিকার,
নেই কোন বল বড়ই অসহায় নিরুপায় তাই মেনে লয়েছি হার,  
তবুও এখন সান্তনার পরিচয় আমার, আমি একজন পাসকরা বড় ডাক্তার ॥
নেই কোন রোগী,
শুধু ঐ মর্ম যাতনায় ভোগী,
মাঝেমাঝে ভাবি হয়ে যাবো নাকি সন্নাসী যোগী,
সরমে মরে যাই মরমে, ষ্টেথোসকোপ ও এপ্রোন তাই করিনা কখনো ব্যবহার ॥
আমার মত রয়েছে এমন,
ঘরে কি বাহিরে নেই কোন আসন,
অখ্যাত অজানা অচেনা নাম না জানা অগনিত জন,
ডাক্তার আছে রোগী নাই সে যাতনায় কষ্ট পাই, ভেবে মরি কই আমার চেম্বার ॥
কাজ নাই চাকরী নেই,
কত সাধ আছে কোন সাধ্য নেই,
মন আছে তবে হেথা কেনরে এতটুকু সুখ নেই,
এত লেখাপড়া করে, কেন ঘরে ঘরে আজ তারা দিশেহারা অসহায় ও বেকার ॥
আমার মতন,
হতভাগা কতজন,
কতযে হায় রয়েছে এমন,
নেই হাতে টাকা নেই কোন উপার্জন,
আঁধারের কালিমায় যেন ঢাকা হরষের এ জীবন,
কে তার রাখে খবর,
সবে ব্যস্ত পেরেশান লয়ে আপন ঘর,
কেমনে গদি সামলায় আর আপনার আখের গুছায়, শতশত নয় অগনিত বেশুমার ॥
ক্লান্তি ক্ষুধা আর তেষ্টা,
এত মেধা এত পড়া ও এত চেষ্টা,
মলিন বদন ও বসন, এই বুঝি তার শেষটা,
অবসাদ আর বিষন্নতা ভরা যাযাবর মুসাফির এ বেশটা,
কবে হবে অবসান, ক্লেশ আর হতাশার বিরস ও বিব্রতকর এ রেশটা,
এ জীবন নশ্বর ও ভংগুর তবু মনেহয় কতনা রঙীন মধুর, ছাড়া না পাওয়ার ঐ ক্ষুদ্র নিমেষটা,
দুনিয়ার দুদিনের এ সফর, কবে তারা বাধিবে ঘর, পরম মধুর মহাশান্তিপুর খুঁজে পাবে ঐ সে দেশটা,
কে দেবে কেমনে হবে, তা পাবো কবে জীবনের সব পার্বণ স্নিগ্ধতা আর প্রসন্নতাটা উপহার ॥
প্রবীণের চেয়ে নহে কম যাই কম কিছু পারি,
মেধা শিক্ষা আত্ববিশ্বাসে ও সেবায় সবার পাশে মোরা কভু নাহি হারি,
নিজেদের মাঝে করেছে বিভেদ,
অন্তরালে মনে জমেছে গোপনে কত কষ্ট খেদ,
জেনেবুঝেই কি হয়ত ইচ্ছে করেই সুনিপূন সরকার,
তবেকি পাঁকাতে কোন্দল বানিয়েছে এক শিক্ষার এত দলভাগ মুক্তিযোদ্ধা, ক্যাডার ও নন-ক্যাডার ॥
শুধু পড়া লেখা আর পরীক্ষা,
কবে কখন হবে সমাপন এই সকল শিক্ষা,
সরকার প্রশাসন নাকি বিধাতার, মাগিব কার করুণা ভিক্ষা,
পাবো কিনা ঠাই নাকি বাদ পড়ে যাই, আর কত মম এ বাছাই তিতিক্ষা,
এখন সময় ও প্রয়োজন সরেজমিনে, বাস্তব কর্ম্ম সম্পাদনে শানিত করে লওয়া তীক্ষ্ণ দীক্ষা,
কি মূল্য দিয়ে কি বিনিময় পেলাম তার,
ভাবনা ও উৎকন্ঠার ডাক্তারি পড়ায় জীবনের সাতটি সোনালী বছর কোন্ ফাঁকে হয়ে গেলো পার ॥
তারাতো সফদার ডাক্তার নয়,
টোটকা বা হাতুড়ে ডাক্তার হলে নানা ভয়,
বিনা পরীক্ষায় লক্ষণ দেখে রোগীর রোগ নির্নয়,
দক্ষতার এ পরীক্ষায় ডাক্তারের ধারণা যদি সঠিক হয়,  
এসেছে পার হয়ে অনেক পথঘাট, অনেক বড় মাঠ করে জয়,
আধুনিক বিজ্ঞানের বড় বড় বই পড়া আর রয়েছে গবেষণার ঢের পরিচয়,
সে ইতো হয়েছে সফল বড় ডাক্তার,
হাতেকলমে ও সরেজমিনে লয়ে অভিজ্ঞতা কাজ করার,
সহনের কঠিন পরীক্ষায় পাশ করা বিদ্যায় ভরা তবু কেন তারা আধমরা যারা সুদক্ষ ও সুপেশাদার ॥
ছোট্ট এ জীবনটারে গড়তে,
জানিনা আর কত হবে মোদেরে পড়তে,
গোপনে নিরবে আর কত হবে ভাগ্যের সনে রণে লড়তে,
সোনার হরিণ কিবা ঐ সুখ পাখীটা ধরতে, হন্তে দন্তে অসীম দিগন্তে কত মোরা দৌড়াব আর ॥
যদি মাত্র তিন লাখ টাকা করে,
বিনা সুদে ঐ ক্ষুদে কারিগর শুধু তিন বছরের তরে,
নবীন বেকার ডাক্তারেরা পেতো এমন সামান্য ধার,
অসীম সম্ভাবনা ছিল মিলেমিশে তারা ছোটখাটো বহু হাসপাতাল গড়ার,
যাহা পরে চাকরী হবার পর সরকার,
পরবর্তী তিন বছরের ছত্রিশ কিস্তিতে বেতন হতে কেটে নিয়ে করিতে পারিত উদ্ধার,
তবে স্বস্তি পেতো ঐসব পরিবার ও কিছুটা লাঘব হতো আমারও সকলের মত বহা ঐ কষ্টের ভার ॥
গাঁধার নাকের ডগায় যেন ঝুলছে মূলো,
চতুর পালক ও চালক যেন দিয়েছে নাকে তেল ও কানে তূলো,
পিঠে তুলে দিয়ে ভার সবগুলো বোঝা তার,
গঞ্জে গিয়ে ধরতে নতূন ভাড়া শুয়েশুয়ে তাই অতি দায়সারা মাঝেমাঝে দিচ্ছে তাড়া হেঁকে চিৎকার ॥
মহামান্য সদয় ও বিচক্ষন সরকার,
নিশ্চিত আছে তার সেদিকে খেয়াল ও ষোলআনা দায়ভার,
নেই কোন মাথা ব্যাথা,
ভাবেনা শোনেনা ও বলেনা কথা,
নেই কোন শলা কিবা আলোচনা ও সমঝোতা,
ঠিক নহে ঐ ধারণা ও বারতা, নহে সরকার হেন র্নিলিপ্ত উদাসীন ও একেবারে র্নিবিকার ॥
মনেহয় যেন তারা উদ্বৃত্ত,
ঘূর্নিপাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘূরছে নিত্য,
হয়েছে সব রোগ আরোগ্য, স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে দেশজুড়ে সবার,
কে বলিবে তবে তাই কি সঠিক, বুঝি এখন দেশে আর নতুন ডাক্তারের নেই কোন দরকার ॥
দেশে রয়েছে নব্বইটি মেডিকেল কলেজ,
তদন্ত হলে হয়ত যাবে জানা কোনটি কানা কোনটির নেই মাথা কোনটির লেজ,
সে কি তবে হয়ত শেষে পরিচিত হবে দেশে-বিদেশে বেকার ডাক্তার বানাবার কারখানা কিবা খামার ॥
সবাই আজ রোগ ও তার ঔষধ চিনে,
রোগীরা সবাই ঔষধ খায় তাই নিজেরাই কিনে কিনে,
রোগ হয়েছে যার কম নহে কেউ কার, সে ও যেন হাফ ডাক্তার ঔষধ বেঁচে যে দোকানদার ॥
রয়েছে চিকিৎসা বনাজী,
সমাজে কত আছে যারা সকল কাজের কাজী,
এমন দিগ্বিজয়ী সব জানা কভূ কারো কাছে হার না মানা শত গাজী,
হোমিওপ্যাথীর অবাধ প্রসার,
ছোটখাট রোগে অল্প খরচে নাকি হয় বেশী উপকার,
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন তাই বুঝি শুনি চীরদিন রয়েছে তার জয় জয়কার,
আদি কাল থেকে রয়েছে তাদের,
দৃঢ় আস্থার শক্ত আস্তানা ও এক প্রভাবের ঘের,
ক্ষুদে কবিরাজ ও ডাক্তার যারা এ সমাজের নিয়েছিল চিকিৎসার ভার,
আধূনিক চিকিৎসা বিঞ্জান,
করেছে সেদিনের সেই ধারনার অবসান,
সময় বুঝেছে তাই বুঝি চুপকরে রয়েছে করেনা অস্বীকার,
কি তার প্রয়োজন অবদান বিকল্প নেই যার এমবিবিএস-বিসিএস বৈঞ্জানিক ডাক্তার ॥
কেমনে হয় একজন ডাক্তার,
অঞ্জ অনভিঞ্জ অমানুষ ও অপেশাদার,
হতে হবে তাকে পেশাদার ও সেবক মানবতার,
যারা লোভী অপরাধী মানুষ নামের অমানুষ পশু বা চামার,
তার উপর আবার খর্গ কিবা ক্ষত হয়ে আছে কিছু অসাধু ডাক্তার,
তা যে হবে হোক সে রাজসভার লোক হওয়া দরকার সব অপরাধীর বিচার,
রোগী গেছে কিবা যায় মরে,
সেই মৃত রোগীরে আইসিইউতে নিয়ে ভরে,
কেমনে তারা স্বজনের অমতে অজানায় ও অগোচরে,
কারচুপি লুকোচুরি, সেই অজুহাতে অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা আদায় করে,
এই যদি হয় এ পেশা ও ব্যাবসার আয় উপার্জন,
কেমনে ছাড়া পায় ঐ নষ্ট হাসপাতাল ও অসাধু ডাক্তারগন,
তড়িৎ তদন্ত, তাৎক্ষনিক বিচার ও তার সঠিক সাজা হওয়া প্রয়োজন,
তা না হলেতো বলতেই হয়, হয়ত নিশ্চয় মরে গেছে রাজার অসার অচেতন প্রশাসন ॥
মাঝেমাঝে পাওয়া যায় হেন ভন্ড ডাক্তার যার,
কোন লেখাপড়া নাই তবে আছে সে সার্টিফিকেট তার,
পাশ করা নয় তবু কোথা হতে তারা পায় বৈধ অনূমতি ছাড়,
শোনা যায় নাকি রয়েছে এমনি কত ভন্ড মুক্তিযোদ্ধা আমলা ও ইঞ্জিনিয়ার,
আর্মি পুলিশ ও ব্যাঙ্ক অফিসার,
এমবিএ সিএসই পিএইচডি ও ব্যারিষ্টার,
ধরা পড়ে, তারপরে আবার,
কেমনে তারা জানিনা পেয়ে যায় পার,
কেন হয়না সেসব ধোকা প্রতারণার কোন বিচার,
কতজনে পায়না নায্য পাওনা তার,
আবার কতজনে ভোগ করে অবৈধ সুযোগ ও অধিকার,
আজব আইন এ কোন প্রশাসন ও সরকার,
ভয়ংকর অপরাধী, শত শত খুনের আজও কেন বিচার হয়নি তার,
অপরাধী আদালতে বিভৎস্য খুনের বর্ননা দেয় ও করে অকপটে তার আপন দোষ স্বীকার,
কোন নজির নেই হয়না বলে খুনী কিবা অপরাধীর তড়িৎ সঠিক বিচার,
তারা দুঃসাহসী বেপরোয়া ও অকূতোভয় তাইতো মনেহয় এ সমাজে শিকড় ও ছায়ার প্রভাব গেড়েছে তার ॥
বছরের পর বছর যূগযূগ হয়ে যায় পার,
তারপরও হয়না কেন হয়না রায় হয়না তার বিচার,
কেমন আইন বিচারকের কি দরকার ঐ দা ছুড়ি কিবা পিস্তলটার,
হয়ত যা এখন পড়ে আছে তলে কাপ্তাই রাঙ্গামাটির লেক কিবা ঐ নদী যমূনার,
তবে কি এমনই হবে হয়ত আসামী খালাসই পাবে, না হলে কভূ আর ঐ অস্ত্রটা উদ্ধার,
সে কি তবে বিড়ালের ইদুর নিয়ে খেলা এক অদৃশ্য চক্র নানা বাহানায় শুধু অসৎ টাকা রোজগার,
তবে আর কে দায়ী হবে, এ সমস্যার সমাধান কবে, কে ইবা লবে তার দায়ভার,
পুলিশ উকিল ও বিচারক কার বেশী লাভ কার ইবা ঠক এ ভেদটা সরকার জানা দরকার,
সে কি নয় তবে, অপরাধ আর অপরাধীর কাছে আইন আদালত ও সভ্যতার অপমানজনক হার ॥
কেন এত অবহেলা,
তা সরকারী নাকি খোদ আমলাদের খেলা,
সেবা ও সুবিধা পায় জনগন, তবু কেন এত অবমূল্যায়ণ যেন মাটির ঢেলা,
ঐ ডিগ্রী ও পেশাটার,
কেন নাই সুযোগ সুবিধা উন্নতি ও প্রসার,
আধূনিক বিঞ্জানে ভরা উচ্চ ডিগ্রীর পাশকরা ঐ ডাক্তার,
নেই কেন সামান্য সহানূভূতী বলো তারা করেছে কি ক্ষতি কবে কার,
অতিশয় গন গুরুত্বপূর্ণ কেন তবু তাদের আশাগুলি হয় চূর্ণ এ পেশাটা ও তার সঠিক মর্যাদার ॥
দেখি তারা ভোগে হতাশায়,
গুড়ে বালি আর যেন ছাই পড়েছে আশায়,
ভেবে মরে কারে বলে কাকে ধরে, কি করে কই যায়,
কবে চাকুরী হবে আর কবে ইবা বিয়ে, নাহলে কে দিবে লাগাম এই বয়সটায়,
এ ভবে কে ভাবে কার তরে,
কি হাল কষ্ট কিবা অনটন জঞ্জাল কার ঘরে,
কার কি আসে যায় অন্য সবার আপদে নিদানে ও করুন দশায়,
কেমনে ধরে সোনার হরিণ, হাতে কত দায়ঋন, সোনালী জীবন কেমনে কোথা পায়,
গন প্রশাসন,
তাদের যেন নাই তৃতীয় নয়ন,
বুদ্ধি বিবেক মানবতা বিবেচনা ও উদার সদয় মন,
তার সবই বুঝি এখন এ জগত সংসার থেকে লয়েছে স্বেচ্ছা নির্বাসন হয়েছে উজার ॥
কেউ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার,
কারো জোর আছে বড় আমলা মামার,
কেউবা টাকার জোরে গোপনে অতি ভোরে হয়ে যায় দরিয়া পার,
তাই যদি হয়, তারপরে শেষে আর কি থাকে কি পায়, মেধা যাচাইয়ের ইবা আর কি দরকার ॥
একটা বিরাট দল,
ভাগ্যের ফেরে যারা ঘাটে ঘাটে হয় বিফল,
যার বিদ্যাটা ছাড়া আর কেউ নাই কিছু নাই বুঝি তাই অক্ষম ও দূর্বল,
নিশ্চয়ই অবশেষে তারা হবেই সফল, যদি সহিতে আর রহিতে পারে অটল ও অবিচল,
ওরে তারাই পায়, যারা সয় হেরে নাহি যায় কভূ হার মানে হতাশায়,
চুপচাপ বসে রয় আর দিন গনে পথ চায়, মহান ঐ বিধাতার সামান্য একটু করুনার আশায় ॥
ভাবে এখন কত পরিবার,
ডাক্তারী পড়াবই না কাউকেই আর,
বানাবো না অপচয় করে মূল্যবাণ সময় ও টাকার,
অনেক সংসার হয়েছে ফতুর, বহিতে পারেনা আর ঐ সে কঠিন ভার,
এখনও চাকরী হলোনা ছেলেটার, বলি সবারে কারো সন্তান আর না যেন পড়ে হয় ডাক্তার ॥
তারাই হয় প্রতি বছর বছর,
একটা শাকের আঁটি ভারি বোঝার উপর,
আরও ভারি করে তোলে অগনিত বেকারের কষ্টের ঘর,
একেতো অভাবের সংসার,
বহিতে পারেনা আপন অনটনের দায়ভার,
অধীর ও হিমশিম খায় অসহায় ঐ বেকার চিকিৎসকের বড় পরিবার,
কি দশা কি উপায় যদি তার উপর আবার এসে যোগ দেয় নতূন ডাক্তার আরও তেরো হাজার ॥
বোঝার উপরে কে দিলো শাকের আঁটি,
তা এত ভারি হলে বলোনা তবে আমি কেমনে হাটি,
কতদিন খাইনা বড় মাছের পেটি দেখিতে পাইনা দুধের বাটি,
মাটির মেঝেতে পাতা বাঁশের চাটি সেইতো মোদের পরম সুখের শীতল পাটি,
তাহলে বলো নবীনের জীবন কেমনে চলে,
না সাহেব না চাষা একেবারে কোনঠাসা কেউ নাই যাদের দলে,
আমাদের নেই কাজ দেখি এ বাজার ও সমাজ যেন পূরোটাই প্রবীনের দখলে,
এ দায় সরকার না নিলে তুলে আপনার মাথায়, বলো হায় তা আর কে নেবে আমলে তাহলে ॥
জাগ্রত বিবেকের দায়,
পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের অনূভবে চেতনায়,
অবারিত দিগন্তের তৃতীয় নয়নের আকূল দেখায়,
যা জেনেছি যা পেয়েছি তাইতো এঁকে তুলে ধরেছি কাগজের গায়,
এ লিখন ও কহন,
তবে কি শুধুই হবে অরণ্য রোদন,
চীরদিন জনেজনে হতেই পারে ভিন নিরুপন ও দরশন,
হয় হোক তাতে কি আসে যায় যে লোক সুবোধ সুজন করিবেই তা অনূধাবন,
আর এ হার বড়ই লজ্জার শুধু আমাদের নয় সকল দেশ জনতার, মেধা মনন বিদ্যান ও বিদ্যার ॥
তবে শুধু কেন হবে ডাক্তার,
অনেক পথইতো আছে পূণ্য হাছেল করার,
শুনেছি পাশ করলেই নাকি চাকরী পায় হলে ইঞ্জিনিয়ার,
তবে কি প্রয়োজন এত কঠিন পড়া ও পেশার এক অনিশ্চিত জীবিকার,
কথায় কাজে ও সামান্য দানে সব পেশায়ই পূণ্য আছে যদি কারো মন থাকে তার,
সেবা করা যায় যত আর্ত পিড়ীত ও অসহায় জনতার করে ক্ষুদ্র কল্যাণ ও উপকার ॥
হোক দেশে ডাক্তারের আকাল,
হায় এ সবইতো নজির ও নমূনা আমার মন্দ কপাল,
এ দেশের দক্ষ ডাক্তার,
কেন বিদেশে পায়না খুঁজে সম্ভাবনাময় চাকরীর বাজার,
কে জানিত বলো হবে এমন হাল, হয়েছে যা হবার এখন আর দোষ দেবো কার ॥
সেবা করবে যে মূমূর্ষ আর্ত মানবতার,
দেখি হায় কাতর যেন সে নানা দীনতায় পায়ের নীচে মাটি নেই তার,
শক্ত একটা ভীত দরকার,
একতা নেই ও কোন সংগঠন যার,
বুকভরা শূণ্যতা ও না পাওয়ার শত হাহাকার,
সে করিবে এ জনতার কি সেবা দেশের কল্যাণ ও উপকার,
যে নাহি পারে শুধুই হারে করিতে আদায় নিজের নায্য পাওনা ও অধিকার,
কে দেবে তারে তা এনে তার ঘরে, যদি না থাকে তার কথা বলার উঁচূ মঞ্চ ও বুলন্দ ভাষ্যকার ॥
কেমনে দিন কাটে রাত যায়,
আশায় আশায় আর নতুন কত হতাশায়,
কেমন আছি আর ঝুলিতে আমার কি আছে কি নেই,
আপন অবস্থানে কে কার খবর রাখে জানে, তাই ভালো নেই কিছুতেই,
তবু পরের ধন পরের সুখ কেমনে করি হরণ, পারিনা কষ্টগুলিরে ঝেড়ে মুছে ফেলে দেই,
অনেক দুঃক্ষকষ্ট, পাওয়া না পাওয়া ও আশা নিরাশার,
বড় সাধ ছিল জীবনের ছবি আঁকার তীক্ত স্বাদ ও বিষাদে ভরা অপ্রিয় গল্পটার ॥
পুলিশ বিভাগে চলছে ডাক্তার নিয়োগ,
মনে বেকারত্বের চাপ ও চাকরী না পাওয়ার মোহ কিবা রোগ,
হলো প্রচার জনেজনে মোখেমোখে ও আকাশ জালের ব্যাপক যোগাযোগ,
চাহিদা নাকি ছিল সত্তরজন,
ছিল আবেদনের শেষদিন তার কারণ,
দরখাস্ত সমেত সাতশত জন প্রার্থী সশরীরে নিজেদের করলো সমর্পন,
লম্বা লাইন ধরেছেন প্রার্থী ডাক্তারগন,
আর পুলিশ সিপাহীরা করছে ঐ লম্বা লাইনের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন,
দেশের প্রথম শ্রেনীর নাগরিক যারা জাতীর চিকিৎসক,
চাকরী পেলে যারা হবে আগামী দিনের প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা ও প্রশাসক,
এই বুঝি তাদের প্রাপ্য মান,
কোন দোষে কি কারণে হলো তা খানখান,
তাতে কি বাড়ে নাকি কমে ও হারে সরকারের সম্মান,
এ খবর রটিলে বিশ্বে তা নহে কি দেশ ও জাতীর কলংক অপমান,
কেমনে বলো তবে বাঁচে জাতের মান,
অস্পৃস্য অসবর্ণের হাতে জাত ব্রাম্ননেরে করালে পৈতা পরিধান,
এই হলো ডাক্তার ও তার দেশজোড়া পেশা জগতের বিশদ সমাচার লেখা অবসান ॥