পর্ব - ০১


কিসের খোটা, ওরে ভাই চুরিতো নয়, একটা ভালো কাজ করেইতো খাই ॥
আমি ছিলেম নাহয়,
অতীতে কোন এক সময়,
ঐ মিয়াবড়ীর বড়মিয়ার বেটা,
নিয়তির নিদানে পড়ে লেগেছে এই লেটা,
পর হয়েছে সবাই ফুফুখালা ও যত চাচামামা জেঠা,
শিশুকালে যখন আমার বাবা গেলো মরে,
তারপরে দূর্দিন ডুবেছে মাথা ঋন, জায়গাজমি সব গিলেছে পরে,
আমার মা করেছে হায় আবার বিয়া, এক বরষায় তার বাপের বাড়ীতে যাই ॥
ঘটক আমি করি ঘটকালী,
ফুল বাগিচার যেন এক নিরলস মালী,
গিন্নী বলে কোথায় ঘুরে বেড়াও দিনভর খালিখালি,
নিত্য আমি দেই নিড়ানি ও তার গোড়ায় গোড়ায় পানিও ঢালি,
মাঝেমাঝে দেই তাতে, দ্রুত তারা বাড়ে যাতে, কিছু জৈব ও মনোসার,
আর এমনি করেই ঐ কাজটা যেন বাধিল আমারে হলো আমার দায় মরা গাছে ফুল ফুটাবার,  
চেষ্টা ও সাধনার বিরাম নাই,
সততা অভিঞ্জতা ও দক্ষতার এক বিশাল নিবিড় জাল ছড়াই,
কিবা ধনী কিবা গরীব সবারই জীবন গড়ি, রঙে ভরি দেই সাজাই এমনি করে অবিরত শতশত ফুল ফুটাই ॥  
যুগের এ কঠিন বাঁচার লড়াই,
সবাই কেবল বেশী আর সেরাটা চাই,
দেখি এ চেষ্টা ও সাধনায় কার আগে কে যাই,
কে বেশী পাই, ব্যস্ত পেরেশান হয়ে রয়েছে সবাই,
যেথা শুধু ভোগ, কোন জাত কুল মান কিবা ত্যাগ নাই,
সে এক মহারোগ, আছে শুধু প্রাপ্তি যোগ আপনার স্বার্থটাই,
বিদ্যান ধনবান ও ক্ষমতাবানেরা দেখি সবে সবই ফেলেছে হারাই,
হলেও অতি সাধারণ তবু ওরে বুকটান করে আমিই বরং শুধু বলতে পারি,
আদর্শগুলি দেইনি বিসর্জন, অনটন আর প্রতিযোগীতার দৌড়ে আজও যাইনি হারি,
সেতো আমার পুণ্যময় পেশা হালাল উপার্জন আর নিরেট খাটি সততার জীবিকার বড়াই ॥
আমি একজন ঘটক,
সারাদিন শুধু হাটি, বাড়ীবাড়ী যাই, করি বকবক,
লোকে বলে নাকি মোর পায়ে লক্ষ্ণী, নাই কোন লোকসান কিবা ঠক,
প্রস্তাব লয়ে যাই ও বিবাহ ঘটাই,
সবাই ডাকে সমাদর করে, চা-নাস্তা ও পান খাওয়াই,
রসের সংগী পেলে মনের জগতে রঙ ঢেলে আর নাই শূন্যতা ও বিষন্নতার কোন ঠাই,
ঘর বেধে দেই, জোড় বাধি ও সংসার সাজাই, পুণ্যময় কাজ, পূঁজি ছাড়া রুজি ও হালাল কামাই ॥  


পর্ব - ০২


বিদ্যা বুদ্ধি তেমন,
নাই বিত্তবেসাত পূঁজি ও ধন,
ছিল কত স্বপ্ন আশা ও সাধ ভরা মন,
কেমনে করি বেশী রুজি চলেরে কঠিন এ জীবন,
খোদায় কয় ডেকে ওরে দেখনা তুই করে গভীর গবেষণ,
তোর এই সুস্থ্য সবল দেহ আর মেধাটাইতো সম্বল ও এক অমূল্য রতণ,
সে হতে আর না থেকে বসে ঘরে,
পথেপথে ঘুরেঘুরে, এই দুইচাঁকার রথে চড়ে হাটে ও বাজারে,
দেখেছি বিচরে কে কেমনে বাঁচে ও কি কাজ করে খায়, খুঁজে ফিরেছি কোথায় কোন্ ভাল কাজটা  পাই ॥
জাগাজমি বেঁচাকেনার কাজটা ধরি,
একটা দলের সনে মিলেমিশে আমি সেটাই করি,
বড়ই ইচ্ছে হলো, ধুকেধুকে মরার আগে একটু নাহয় লড়িচড়ি,
মানুষতো বাঁচতে চায় ওরে, খড়কূটো দুহাতে আঁকড়ে ধরে যখন যায় সাগরে পড়ি,
কিছু সত্য কিছু মিথ্যায়, তেমন ছেলে যেমন পিতা ও গুরু যেমন শিখায়, সেটাই বলি ও করিও ঠিক তাই ॥
তারপর দিন যায় কায়ঃক্লেশে,
কোথায় নাওয়া খাওয়া সেইযে বাহিরে যাওয়া প্রত্যুষে,
নিদানে নহে আপন কেহ, বড়ই ক্লান্ত দেহ, সন্ধায় যখন ঘরে ফিরে এসে,
চলছে দিন বড়ই কঠিন অবসাদ আর অবসন্ন বেশে, ঘটকালী ধরি আমি সে কাজ ছেড়ে শেষে,
এখন দেখি লোকে ডাকে, কেউ কেউ বাড়ীতেও আসে, নগদ কিছু দিয়ে যায় হাতে তাতেই সংসার চালাই ॥
আমারতো ওরে ভাই,
গাছ নাই তবুতো আম-কাঠাল খাই,
জায়গাজমি ব্যবসা কিবা চাকরী কিছুইতো নাই,
নাই কোন বন্ধু আপনজন, বড় অসহায় অভাজন আমি তাই,
কেউ নহে কারো ভার বয়,
নিজেই নিজের সহায় হতে হয়,
এ জগতে কেউ নহে অসহায়, যার আছে দুটি হাত-পা চোখ, পরিশ্রম ও সততায় সুখের নাগাল পায় সত্যতো এটাই ॥  
কে কারে খাওয়ায় ওরে,
কে থাকে কার আশায় বসে ঘরে,
কত খাবার ছড়ানো ছিটানো এই ভূবন পরে,
শত কোটি তার ভিন্নরকম মজার আহার মাখলুকের তরে,  
কেউ রয়না কখনো ভুখা শুধু খুঁজে নিতে হয় ঘুরেফিরে একটু কষ্ট করে,
আমি কি বোঁকা নাকি খোড়া,
আমার ফাটা কপাল তবে বলো কে দেবে জোড়া,
নেই যার গরু কোন লাঙ্গল ও জোয়াল,
তার কি আছে কেউ আপন বন্ধু স্বজন যেজন কাঙাল,
হয়েছে বেহাল যেন ভেংগে পড়ে ডাল, কে ধরিবে তার এ সংসারের হাল আমি যদি ওরে ঘরে বসে খেতে চাই ॥


পর্ব - ০৩


তবু আমি খেলিনা জুয়া,
যেদিকে তাকাই শুধু কুয়াশা আর ধুয়া,
যদিও জীবন আমার, সম যেন এক অন্ধকার গহীন কূয়া,
মন বলেনা দেহটা চলেনা তবু আমি হই অন্ধ করি কিছু মন্দ পেটের লাগি ঠক কিবা ভুয়া,
কোথাও হাত পাতিনা,
কারো কাছে আমি ভিখ চাহিনা কিবা লোকের করুণাও মাগিনা,
এমনি করে ধীরে ধীরে,
মম এই ঘর যেন সুখের আলোয় ভরে,
মরমে জাগিল বোধ আমি ধন্য, সাতটি মোখের নিত্য দিনের অন্ন, কে যেন অনায়াসে মোরে দিচ্ছে যোগাই ॥
ছিল অভাব আর কত অনটন,
ছিল সে এক দূর্বিসহ কঠিন জীবন,
প্রতিক্ষণ যেন প্রাণপণ বেঁচে থাকার রণ,
বাঁচার মত বাঁচা নয়, খেয়েপড়ে কোনমতে বাঁচন,
ওরে ছিল তার এমনই গুন,
প্রায়ই তাই হতোরে এমন, যেন তেল আনতে ফুরিয়ে যেত নূন,
তবু রেহাই পেয়ে বেঁচেছি কিছুটা হয়নি বলে কিনতে আমায় পান সুপাড়ী তামাক ও চূন,
না জানি আবার কখন লাগে ঐ ফাগুনের আগুন, বসন্ত নাই সারাক্ষণ আমার শুধু ভাবনা ছিল তাই ॥
ছিল আমার জনমভরা,
চৈতের দারুণ ঐ কাঠফাটা খড়া,
বইছে যেন হাওয়া আগুনের ফুলকি ঝড়া,
হয়নি ফুরসত আহারে তাহা দেখিবার,
চোখ জুড়ানো ও মন ভুলানো রুপযে ছিল সংগীটার,
তবু আমার বুকেতে লুকিয়ে ছিল ঐ পিপাসার এক র্দূনিবার হাহাকার,
ছিলনা কোন রঙ তামাসা,
দারুন মধুর সোহাগ চূড় ও একটুখানি ভালবাসা,
যাদুর সুখে দুহাতে জড়িয়ে বুকে উঞ্চ আলিংগন মন খুলে একটু হাসা,
তা কিরে আমি আর চাইনি,
দুহাত বাড়িয়েও জোর করা ছাড়া কোনদিনই ঐ সুধা আমি পাইনি,
মৌমৌ ফুলবন টগবগে যৌবন রসেভরা টসটসে টনটন থেকেও মোর ঘরে ঐ সে বসন্ত কভু আমি দেখি নাই ॥


পর্ব - ০৪

পারিনি হতে কোনদিন আমি,
তার গোশালার যেন অধম পেয়াদা নইতো যোগ্য স্বামী,
ছিলেম তার কাছে হয়ে যেন আমি এক অপরাধী বিবাদী আসামী বড়ই নগন্য কমদামী,
হাত দুটি ধরে তার,
বলেছি আমি যতদিন যতবার,
মেনে নিয়ে তার কাছেই করজোড়ে হার,
পারিনি তবু আমি হতে কঠোর কিবা আরও কিছুটা উদার,
যেথা ছিল শুধু নাই নাই,
কোন সে গুনে কিবা বাহারে বলো আমি তাহারে ভুলাই,
ধন-অনটন কিবা সুখ ও দুঃখের মালিক খোদা, সাধ্য কার কে দিবে তা বদলাই,
সহস্রবার ঐ একই কথা শুধু বারবার, বলোনা আহারে আমি তাহারে, বলি কিবা কেমনে বুঝাই ॥
শুনে ঐ একই বারতা,
সে দেখে দেখে আর সয়ে সয়ে তা,
সব ফেলে শেষে একদিন রোশে ঐ চারজনের মাতা,
এক কাপড়ে যা আসে মোখে আবোল তাবোল আমারে বলে যা তা,
জেনে সে কথা আছে দোকান বাকী, ছাড়াও রয়েছে আমার আরও কিছু নগদ টাকার ঋন,
সুন্দর মোখ, লাললাল বড়বড় দুচোখ মেজাজ কড়া কন্ঠটাও দারুণ চড়া কপালে বিরক্তির ভাজ ও বদন মলিন,
সইতে না পেরে সে টানাপোড়নের যাতনার এত ঘা অবশেষে একদিন ছেড়ে গিয়েছে পালাই ॥
আলতা ফিতা চুড়ি, ভাল একটা শাড়ী,
তেলসাবান ও স্নোপাউডার কভু কিছুই আমি দিতে নাহি পারি,
কোনদিন তারে আমি নিয়ে যাইনি, যেতে পারিনি বেড়াতে তার বাপের বাড়ী,
দীনতায় ছোট হয়ে থাকা মন,
কত লোকজন, মেহমান উৎসব আয়োজন ছিল যখন,
থেকে তা হতে দূরে, ইচ্ছে করেই জনমভরে, রহিত সে অন্তরালে করে পলায়ন,
যখন কেউ ঘরে ও বাহিরে ছোট হয়ে রয় ও হারে, আমার নাহোক কষ্টতো তার হতেই পারে তাই ॥
লোকে বলে নূন আনতে পান্তা ফুরায়,
কলসী খালি, ভাবতেই যেন হায় পিপাসায় গলাটা যায় শুকায়,
ডেকচি হাড়ি শূন্য সব,
ঘরনী ঘরের কোণে অসহায় বিমর্ষ নিরব,
জাত কূল মান বুঝি আর রবেনা হায়,
বাপের বাড়ীর একজন কুটুম এলে কি হবে এখন উপায়,
ডিম ডাল নাহয় ঘরেই আছে,
এক পূড়া চালের জন্য যাবোযে আমি কার কাছে,
কোন্ নিন্দা খোটা কখনযে আবার, কেজানে শোনতে হয় আমাকে পাছে,
সব বাবামায় দেখতে ও সবারে বলে বেড়াতে চায়, মেয়েটা আমার সুখেই আছে দুধেভাতে ও মাছে,
আহারে নিজের কষ্টের কথা কাহারে বলি, সময় অসময়ে দাড়াবো আমি গিয়ে কোন ঘরের দুয়ারে যাই ॥


পর্ব - ০৫


ছিলনা অবুঝ আমার চার সন্তান,
ক্লান্ত দেখে বাবারে তাদের সদা হতো পেরেশান,
এই ভাবনা, সয়ে এত ঘা বুড়ো দাদিমা নাজানি কখন মারা যান,
যে কারণে নানা কষ্টে ছিল ছটফট আনচান, পরম প্রিয় তাদের মায়ের অসুখী পরাণ,
যাচিল আরেকটু বেশী সুখ যেন ভরে হাহাকার করা শূন্য বুক, সে খবর গেলো নিমেষে বাতাসে ছড়াই ॥  
করি নতূন আত্বীয়তা মধুময়,
তবে ঐ ঘটকালী অবশ্যই গাছে আর মাছে নয়,
বর-কনে আর পক্ষদুটো ও দুই পরিবার যেন খুশীতে চূড় ভরপূর হয়ে রয়,
মাথাটা খুব খাটাতে হয়, চাই এমন সুসমন্বয় যেন সব বিষয় কাছাকাছি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়,
আমার কাজ নিখুঁত মিলানো ভাজ, কাগজে কলমে ও সরেজমিনে এতটুকু লুকোচুরি কারচুপি ধোকা প্রতারণা নয়,
ঐ দাম্পত্য জীবন যেন হয় চীর সুখশান্তিময়,
আর সয়ে ভার বয়ে দুজরে দুজনার বন্ধু হয়ে ঘাটতি ক্রান্তি ও নিদানগুলি করতে পারে তারা জয়,  
গড়ে দিতে নতুন সংসার,
লোকে বলে নাকি জুড়ি নেই তার,
আহারে আপনার সুখের ঘর যার ভেংগে চুরমার,
সুনিপুণ কারিগর বা ইঞ্জিনিয়ার, আমি নাকি সেইজন জোড় বেধে দেই আর অগনিত বিবাহ ঘটাই ॥
তোমরা এটাকে যাই বলো,
জীবিকা কিবা পেশা আমার হলো,
কোন কাজ কিবা উপার্জন আর কিছুই মোর নাই,
একটু স্বপ্ন আশার, ভালোয় বাঁচার একমাত্র অবলম্বন আমার তাই,
খেয়েপরে বাঁচার মত বাঁচতে হলে ভাই, একটা ভাল কিছু উপায়তো চাই ই চাই,
না যেন আমারে আর, করিতে হয় কোন কর্জ-ধার, চাকরী কিবা ব্যবসা আমার সবকিছু হলো এটাই ॥
ঘুম নেই চোখে বৃদ্ধ বাবামার,
বিয়ে হচ্ছেনা যেসব বয়স্ক কন্যার,
বিশেই নাকি বুড়ি হয় নারীরা বাংলার,
একটু নাহয়, তবু আমরা তাতে দিলেম ইবা ছাড়,
বিয়ে হচ্ছেনা বলে কুমারী সতী মেয়েদের অস্ফুট গোপন হাহাকার,
এখনতো ঘরে ঘরে দেখি অজান্তে বাবামার,
মেয়েদের কবেই তিরিশ যাচ্ছে হয়ে নিরবে পার,
বুড়ো হয়ে যাচ্ছে ঘরে এক বা দু/তিন কন্যা যার,
আহা ঐ বাবামার, শেষ নাইরে ভাই দুশ্চিন্তা আর দূর্ভাবনার,
অনেক টাকা রয়েছে কনের বাবার,
মেয়ের বিয়ায় পাঁচ/দশ লাখ সে খরচ করতেও তৈয়ার,
আগেতো পাত্র চাই, ব্যয়ের অংকটার হিসাব সেতো অনেক পরের ব্যপার,
তাতেইবা কি লাভ, ভাল পাত্র, পরিবার ও বিয়ের প্রস্তাব কই, ওটাইতো সবার আগে দরকার,  
তাই উৎকন্ঠা তার জরুরী দরকার, একটা ভালো বিয়ের ঘর ও কামাইশোধ শিক্ষিত বর কেমনে কোথায় পাই ॥


পর্ব - ০৬


কি মুস্কিল আবার তার উপর,
মেয়ে আমার চায় হতে হবে পাত্র হ্যান্ডসাম ও সুন্দর,
মোটে ছেলে পাওয়া যায়না ও বিয়ে হয়না,
তার উপর শোন, মেয়ের কত অবিবেচক বায়না,
কি ঝড় বহিছে পরিস্থিতির শিকার অসহায় বাবার মাথার উপর,
আহারে জানে তা কজনে কি আছে ঐ রুপ ও ধনের অন্ধকার কোণের ভিতর,
গোপনে লুকানো থাকে কত কলংক ও খূঁত কিছুতেই তাড়ানো যায়না যে ভূত অতিশয় ভয়ংকর,  
কেমনে প্রমাণ দেই বলে বুঝাই,
এ জীবনে তা অনেক দেখেছি ওরে ভাই,
আভিজাত্য ও বিলাস বৈভব,
বাড়ীগাড়ী, বিদ্যা রুপ ও ধন ঢের রয়েছে সব,
তবু অনেকের জীবন কেন, এক বিজন বিরান ধূসর মরুভুমি যেন, রঙ আছে তবু নয় সুখময় ও ধন্য হয় নাই ॥
পড়ছে বৃষ্টি ঝরঝর,
শন্ শন্ বায়ু ডাকিছে দেয়া কড়কড়,
বিজলী চমকে প্রচন্ড ধমকে পড়ছে ফেটে মাথার উপর,
কাপিছে সব থরথর সারা বাড়ীঘর যেন করিছে নড়বড়,
তা কেমনে হয় বুঝাবার মত নয়, বাহিরে যখন বহিছে হেন তুুমুল ঝড়,  
তারাই ঠকে যারা বোঁকার দলে, কেমনে অবুঝ না হলে এমন কথা বলে, ঐ বাদলে গিয়ে আম কুড়াই ॥
পাত্রী রুপসী ও বিদ্যান,
বাবামাও তার শিক্ষিত ও প্রচুর ধনবান,
এখন শুধু গুনেরই কদর যা অপ্রকাশিত ও অদৃশ্যমান,
রুপ দেখে আর কেউ হয়না পাগল তার লাগি দিতেও চাহেনা প্রাণ,
ধনের মোহ হয়েছে শেষ, আর সে দিনেরও কবেই হয়েছে অবসান,
আর কভু তা হয়নারে উজান যতই তাতে ভাই রঙ মাখান,
যৌবন যখন উজানে বয় সেইতোরে সুসময়, একবার পড়িলে তার ভাটির টান,
সুসময়ে বিয়ে হলে,
সুজন ও রসিয়া সুপাত্র মিলে,
আবু হকে বলে, শতকোটি টাকা তার ঐ জীবন আর বিয়েটার মূল্যমান, কত দামী তা আমি কেমনে বুঝাই ॥
দিনে দিনে অতি গোপনে বদলে গেছে দিন,
কালের কাছে সব বাধা পড়েছে, বেড়েছে মানুষের অদেখা অনেক ঋন,
রুপ-যৌবন বিদ্যা ও ধন এই তিন,
বয়সে পড়লে ধ্বসে সব পড়ে যায় খসে হয় মলীন,
জানিনা কেনযে লোকের কাছে, মনেহয় হয়েছে যেন আজ ভীষণ মূল্যহীন,
সকলেই চায় দেখি শুধু মন,
জীবনের লাগি চাই সংগী একজন,
আর থাকবা নাথাক যাই, সে ভাল মানুষ হওয়া প্রয়োজন,
নাকি এখন সবার আগে সবাই খোঁজে ভালো মানুষের গুনাবলী ও লক্ষণ,
মনেহয় এই ভেদ বুঝেছে আজিকে সবাই, বুঝিবা ভেংগেছে তাই হয়েছে বিলীন ঐ তিনের অধিকারীদের সব বড়াই ॥  
নাহলে কেন ভাই যত ধনবান বিদ্যান ও রুপবান,
ঐ মেয়েদেরও কেন হচ্ছেনা বিয়ে, কি তার কারণ ভেদ কিবা ঐ সমস্যাখান,
ঘরেঘরে দেখিতে পাই তারা যেন সবে যাচ্ছে চলে বুড়োর দলে, যৌবন আর লাবণ্য যার দ্রুত ভাটিতে বহমান,
এ যুগের ছেলেদের কেন নাই জীবনের ভাবনা,
ভাল লাগেনা রঙমাখানো সাজ অভিনয় মন্দকাজ ও বায়না,  
কে শেখালো কে দিলো উদ্ভট দরশন, কেনযে তারা বিয়ে করিতে চায়না,
কবে হবে বিয়ে আর কবেইবা লাভ জীবনের বড় চাওয়া তার সবার সেরা উপহার পুণ্যবান সন্তান,
তবে কি ওরে হায় এর সবই হবে চল্লিশের পরে, হলে খাড়া চৌদিকের সীমানার ঘের ও যৌবনের অবসান,
জানিনা তারা আসলে কি চান,
তাদের কাছে কেন বড় নয় সংসার ও সন্তান,
সস্তা আবেগ ও মোহ, নষ্ট প্রেম, অবৈধ উপভোগ ও বিনোদনখান,
ঘুণে ধরেছে তাদের মনের ঘরে, সেকি তবে ওরে ছোট্ট এ জীবনের চেয়েও বেশী মূল্যবান,
অন্য জীবনের গল্প করে,
কুমার ও কুমারী এসোনা সবে ওরে,
মনের অন্ধকার ও যত ভুল ধারণা সব জনমের তরে,
দূর করে দিয়ে, দেবো তা আলো ও ভালোটার অপার রোশনীতে ভরে,
জানেনা তারা কত সুখ ওরে, অল্প ধন স্বল্প বিদ্যান ঐ খেটে খাওয়া সব মানুষের ঘরে,  
যা কোটি টাকায়ও কেউ কিনতে নাহি পায়, অনেক রঙ আর ঢের সুখের যাদুর পরশে ভরা এক নতুন জীবন দেবো গড়াই ॥


পর্ব - ০৭


সেকি তবে যাহা চায়,
বেহায়া ও ইতর এই দেহটায়,
অনায়াসে উল্লাসে, তাই বুঝি সে পায়,
দুটি মন মিলে যায়, নেইতো কোনই ভয় কিবা দায়,
তাই বুঝিরে তারা, হয়ে ভোগেতে দিশাহারা, নাক ডুবিয়ে খায়,
কেউ কেউ ভাবে বুঝি এ যুগের নারীরা অল্পে খুশী নয় আর অনেক বেশী চায়,
দশ জনেরে দিয়ে যাচাই করা একশত জন তা কি সঠিক হয় কখন, সেতো সত্য নয় যা ঘুণে ধরা ভুল ধারণায়,
এক পুরুষে কেমনে তারা তবে সুখী হয়,
আর সুখ যদিরে না ই হয় এক ঘরেতে তাহলে আজীবন কেমনে রয়,
যদিরে বিয়ের পরেও সে বদঅভ্যাসটা রয় বা আবারও উঠে জেগে সেটাইতো হবু স্বামী ঐ পাত্রের ভয়,  
তা ঠেকাবার কি উপায়, যদিরে আবারও সে অনেক বন্ধু খোঁজে ও স্বামী বদলায় যখনই তার ইচ্ছে করে ও মনে লয়,
হয়তবা নারীর প্রতি কমে গেছে তাদের সবার আস্থা, নির্ভরতা, আকর্ষণ, ভক্তি ও সম্মান, তবে কি সঠিক কারণ তাই ॥
বিয়ের বয়স যাচ্ছে পেরিয়ে যে কুমারী সতীসাধ্বী মেয়েটার,
তারচেয়ে কষ্টটা তার অনেক বেশী নাবলা বুকফাটা ঐ বিধবা ও তালাকী তরুণী কিবা রমণীটার,
সে কি সবাই পারে কেউ কেউতো হারে, মনেরে বুঝায় মানায় আর করে শাসন দমন নিয়ন্ত্রন ঐ দামাল দেহটার,
বদলে গেছে আজ দিন,
মেয়েরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশী স্বাধীন,
অজানায় বাড়ছে অতি দ্রুত তাই যুগের কাছে এ সমাজের দায় ও ঋন,
কেউ ভাবে তা ঠিক নয়, কেউ দেখে দেখে পায় কষ্ট ও ভয়, কেউ বলে না না তাই সঠিক ও সমীচীন,
যা বলে বলুক লোকে, কারোকারো চোখে এ ভূবন ও জীবন এক রম্য আসর যেথা শুধু হর্ষ আর ভোগ বিনোদন এমনই রঙীন,
এক ভিন্ন মাতা যার ঘরে বিবাহযোগ্যা মেয়ে তিন,
ভাবে কি করি কই যাই নানা তাড়নায় অস্থীর ও পেরেশান রহে সে সারাদিন,
তাদের বাবায় বসেছে যখন খেতে রাতে ভাতের চামচ ঐ মায়ের হাতে, কন্ঠ ভারী ও বদন মলিন,
বলে চলেননা আমরা একদিন,
মানুষ নাকি সে খুবই ভালো ঐ আলোদ্বীন,
ঘটকালী পেশাটাও তার জমেছে বেশ বলছে সবাই, মায় বলে বাবারে খুউব মিনতি করে ঘটকবড়ী যাই ॥  


পর্ব - ০৮


এখন বদলে গেছে দিন,
দেখি মায়েরা কেন আজ এত ভাবনাহীন,
বাবারা জানিনা, বেশী উদার ও মহৎ নাকি তারাও উদাসীন,
তাই কিরে ভাই মাবাবায় আজকাল,
করেনা আর সেই আগের মত ছেলেমেয়েদের দেখভাল,
আমার মনেহয় তাই বুঝি দেখি বন্ধন বেহাল কালের এ অবক্ষয় আর যুগের জঞ্জাল,
যারা আসল মানুষ ও খাটি মুসলমান,
দেখি শুধু ঐ শিক্ষিত বাবামায়েরাই হয় সচেতন ও দায়িত্ববান,
হোক তাদের সব ছেলেমেয়েরাই সুবোধ সুসন্তান,
ঠিক বয়সে ও সঠিক সময়ে মেয়েদের বিয়ে হোক সুপাত্রে এটাই তারা চান,
এমন বাবামা ও সন্তানদের হাতেই ভাই, আগামী প্রজন্মের পরিবার ও সমাজের মংগল ও কল্যাণের পূরো মন্ত্র ও যন্ত্রটাই ॥
আজিকে ভাই আমার,
পুণ্যময় ও সেবামূলক পেশাটার,
ঢের সুনাম প্রচার ও প্রসার হচ্ছে তার,
বাড়তি পাওয়া, মজাদার ঐসব বিয়ের খাবার,
তাছাড়াও পাই মাঝেমাঝে কিছু ভাল ও সুন্দর উপহার,
হচ্ছে প্রতিদিন গড়ে, দিয়ে যায় এনে ঘরে, টাকা পূরো তিন হাজার,
স্বেচ্ছায় হাতে তুলে কিবা পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে যায়, জবানেও তার অংগীকার,
নাই এখন আর আমার কোন ঋন, অতিশয় ঝামেলাহীন হেন সহজ ও সম্মানের রোজগার,
বলে, এই হলো নগদে বায়না,
যা চাই কিবা যেই নিয়ম, কেউ সামাণ্য তার কম দিবেনা,
এটা হলো বাকীটার মজবুত নিশ্চয়তা, নেই কোন মানা কোনকিছু যার লংঘনও হবেনা,
এখন আমি প্রতিটা বিয়েতেই পাই,
বাজারে দোকান ও বাড়ীতে ইমারত গড়েছি বেশ শান্তিতেই আছি ভাই,
বিশ/ত্রিশ/চল্লিশ ও পঞ্চাশ হাজার, তাই করি আমি চুক্তিভিত্তিক কাজেওতো কোন দোষ নাই,
এ হলো আমার সততা, নিষ্ঠা, মেধা, চেষ্টা ও পরিশ্রমের হালাল কামাই, সব ছেলেমেয়েদেরই এখন আমি ভাল স্কুল-কলেজে পড়াই ॥
আল্লাহ দেখুন কত মেহেরবান,
জানেন এক আদর্শ ঘটক নীতিবান ও পবিত্র তার পেশাখান,
সব সত্য যত শক্তি ও তারই পরম দান এ দেহটার মাঝে লুকানো প্রাণ,
চীরন্তন পরম বন্ধু আপন সত্য সঠিক অন্তরের মালিক কেহ আর কোথা নাই যার সমান,
দশদিক এত রঙ এত সৌরভ শোভা বায়ু জল শীতল-অনল ঝর্না পাহাড় সাগর নদী জমিন ও আসমান,
অনন্ত অসীম মহিম ও মহান, জানি নেই মোর কোন দান কিবা ভালো কাম, এক নগণ্য অধম গোলাম আমি নহে পুণ্যবাণ,  
প্রভু আমার কত বড় আর কতযে দয়ালু ও মহান,
ক্ষুদ্র ভালো কথায় ও কাজে করে দিতে পারেন সব গুনাহ মাফ ‍ও সব ঋন অবসান,
হয়ত আমায় তার অপার করুণায়, দুটি দেহের জোড় ও কটি ঘর বেধে দিবার উছিলায়, করবেন পার ও নিবেন তড়াই ॥


পর্ব - ০৯


সভ্যতার কাল,
এ যুগের এক জঞ্জাল,
বিষয়টা হয়েছে বড়ই জটিল ও ভয়াল,
কে বলেছে, বিয়ে মানে ব্যয় ও অপচয় বেসামাল,
আর সংসার মানে, নাকি পেছনে টানে নানা ঝামেলায় বেতাল,
শিক্ষিত ও স্বচ্ছল, আধুনিক ছেলেমেয়ের দল, তাদের কেন এই মানষিকতার হাল,
মরে গেলে যাবে, রেখে ফেলে এই টাকা কে খাবে, হাত তুলে কে দোয়া করিবে কবরে হলে মহা মন্দ কপাল।
ঐ হতভাগা যারা পাননি আকাশ বাণী ও পাননি মানুষ হবার গুরু,
ওরে মূর্খের দল, শিক্ষিত পাগল, জীবন মানেতো বিয়ে আর এখান থেকেইতো জীবনের শুরু,
না হলে অনুভবে চেতনায় বিবেকের জাগরণ, না ফুটিলে তৃতীয় নয়ন, জানিবে তব বৃথা এ জীবন একেবারে ষোলআনা পূরো,
মন নেই কারো বিয়ে করায়, সংসার গড়ায় ও পেতে সন্তান,
জীবনের জন্যইতো টাকা ও এই উপার্জন, আর জীবন মানে আলো ও ভালোর ক্ষেতি-চাষ ও তার চারা লাগান,
আবু হকে বলে সময় গেলে চলে, শেষে শত চেয়েও আপ্রাণ চেষ্টায় আর যদি কভু তা নাহি পান,  
হেন মুক্ত জীবন যেন বিহঙ্গ বিচরণ,
ওরে মেঘের ভেলায় চড়ে যেন শূন্যে ভ্রমণ,
বেশী ধন, বেশী হর্ষ-উল্লাস ও ভোগ বিনোদন, বিপরীত লিংগের বেশী বন্ধুগণ, অবাধ যৌন মিলন, জীবন মানে কি তাই ॥
মনোরম ঐ অর্ধনগ্ন যুবতী নারীদেহ,
এখনই উদোম, কই দেখেও বলছেনাতো কিছুই কেহ,
যাদুর নেশার দারুণ ঐ সুখ আকর্ষণ,
দেহ ও মনটার উঞ্চ দামাল মাতাল উল্লাস ও বিনোদন,
পাইছে সবে বিণামূল্যে নয়ন ভরে করিতে নগ্নতার ঐ উঞ্চরুপ ভোগ ও দরশন,
ধাবমান এ সভ্যতার যখন হবে,
আরও রুপান্তর হয়ত তখন সমস্বরে বলবে সবে,
আর উলংগ নয় শীতে কষ্ট হয় যদি আবার পোষাক পড়তে চাহে তবে,
আগেইতো ছিলাম ভালো, আঁধারে এখন গিলেছে আলো, চলোনা আবার সেই আদিম অতীতে ফিরে যাই ॥
এত সুন্দর,
কতযে আহা মনোহর,
এ ভুবন হয়তবা ওরে সহস্র বছর পর,
উদ্ভট ভাবনায় হতে পারে জীবন স্থবীর ও ভয়ংকর,
সবই যখন পাই বলো আর কি দরকার,
এত ব্যয় ও এত ঝামেলার এই বিবাহ প্রথাটার,
মনুষ্য বিহীন শিরে লয়ে পূর্বপুরুষের অনাদায় ঋন ছারখার,
লোকালয় ও বন জীব জানোয়ার ও মানুষগন একাকার ও এক পরিবার,
বেশী শিক্ষা ও বেশী ধন, নাকি বিকৃত মন ও মননের উদ্ভট দরশন, করিছে শোভন এ জগত সৃজন সবকিছু সংহার।
রয়েছে এমন সহস্র শহুরে পরিবার,
কোটি কুমারী মেয়ের ত্রিশ কবেই আহা হয়ে গেছে পার,
দেখি যেন মূর্খ রয়েছে তারা হয়েও পন্ডিত,
বেশী হিতের আশায় দেখি তারা ডেকে আনে টেনে লয় তার বিপরীত,
তাদের অঢেল ধন, দীন করে রেখেছে মন, রাতভর আসেনা ঘুম করেও ছটফট হয়ে কাত কিবা চিৎ,
দুখানা চোখ থেকেও যারা কানা,
ভাবে সবইতো তার জানা, তাই আর জানতেও চায়না,
আঁধার আর আলোটার তফাৎটা নেই বলেই জানা, ভালোটা তারা আর খুঁজে পায়না,
ওরে এখনযে মোর তাই ভাবনা, হয়ত এ সুযোগ আর পাবনা, কেমনে আহারে আমি তাদেরে বুঝাই ॥
এই শিক্ষা ও ধনের পাহাড় নয়কি মূল্যহীন,
বুঝিবে একদিন, দেখিবে যখন রাজার কাছে তার পাহাড় সমান ঋন,
গোড়ায় গলদ অনুভবে ভাবনায় ও চিন্তা চেতনায় ভুল,
যুগ যুগ মহাকাল দিচ্ছে দিতে হবে বংশানুক্রমে তাদেরে তার সে কঠিন মাসুল,
যদি হতো এমন ঐ সবারে,
মহারাজার পাঠশালে ওরে দিতেম আমি বিনাবেতনে ভর্তী করে,
যদি একটা বাল্যশিক্ষা বই খুঁজে পাই, আমার বড় ইচ্ছে করে তাই তাদেরে আমি ঐ পড়াগুলি কিছুদিন পড়াই ॥


পর্ব - ১০


হতে চাই তার দিক নির্দেশক,
কেবল ইচ্ছে হয় যার, হই শুধু তারই অভিভাবক,
যার কেউ নাই কিছু নাই কিবা সব থেকেও যেন এতিম বা হীনপালক,
মনে মনে আমি পিতাও সাজি,
পাহাড়ী নদীটা পার করিতে নাহয় হলামই মাঝি,
কি ক্ষতি হই যদি কখনও ঘটক কখনও মোল্লা আবার কখনও কাজী,
যারা দেহমন ও বয়সে সঠিক,
বড়ই ক্লান্ত জীবন সংগী খুঁজে খুঁজে ঘুরে দিকবিদিক,
এখনই জোড় বাধিতে রাজী,
আছে পাঞ্জা লড়ার সাহস ও তৈয়ার ধরতে বাজী,
আছে পোষ্য পালনের কিছু কামাই ও মিয়া-বিবি দুজনে হলে রাজী,
শুধু তাদেরই আমি বিয়ের বাধনে, অন্য সুখের এক ভুবনে ও মধুময় নব জীবনে দেই জড়াই ॥
একজন ঘটক আমি করি ঘটকালী,
নহে ঠক মিথ্যাবাদী প্রতারক মোর ঐ মিতালি,
বিছিয়ে তার, সাজানো বিশাল অনন্য সেবার ডালি,
বাগানের আধমরা যত ঐ ফুল-চারা গাছগুলির তুচ্ছ মালি,
তাইতো নিত্য নিড়ানি দেই ও সকাল বিকাল তার গোড়ায় পানি ঢালি,
এই সেই পিতৃ ঠাই যার সমতুল কিছু নাই দেবে আঁধারে পথ দেখাই হেন শান্তির ঠিকানা,
বটবৃক্ষের ছায়ার ঢাক আর কিছু নাইবা পাক দেই বুকভরা মনোবল সদুপদেশ ও সান্তনা,
শুধু তাই নয় সে এক বিশাল সাফল্য বিজয়, এ কাজে আমি অর্থ পুণ্য মনে বড় আনন্দ সুখ ও  তৃপ্তি খুঁজে পাই ॥
জীবন গড়ার কারিগর,
বন্ধু বানাই যে ছিল অচেনা পর,
জীবন সংগী ও মধুর রংগী আমরন দুজনে দুজনার প্রিয় সহচর,
সকল তথ্য ও খোঁজখবর সবাই বন্ধু ভাই কেউ নহে কারো পর,
বিধির করুণায় যেটুকু পাওয়া যায় ঐ একটু রঙ মেখেই হবো সবে মোরা সুন্দর,
বন্ধন কিবা বিচ্ছেদ সব সহযোগীতা চলার পথের মরমিতা হয়ে সংগী যখন শুরু ঐ জীবন রণ কঠিন সফর,
আপন ভুবনে যার কেহ নাই,
হরষের ঢলে তরু ছায়াতলে, শান্তিসুখের নিরাপদ ঠাই বেধে নতুন ঘর সন্তান ও সংসার দিয়ে গড়াই ॥  
আামার এই সেবাঘর নাম যার ঘটকবাড়ী,
ডিঙিয়ে পাহাড় পেরিয়ে সব সাগর নদী তার এলাকার সীমানা ছাড়ি,
হয়ে সবাই সবার আপন,
এক ঘর এক পরিবার ও এক উদার মন,
এক সূতায় যেন কভু তা ছিড়ে নাহি যায় এমন এক নিবন্ধন,
জবাব দিতে তৈয়ার সকলের সব প্রশ্নের সমাহার যখন যার যাহা হয় জানা প্রয়োজন,
করিব যাচাই বাছাই বিনিময় ক্ষুদ্র উপহার অল্পতে যার বেশী উপকার কার কি প্রয়োজন আছে নাই কিবা চাই ॥