এ জীবন এক, কত বড় নেয়ামত দান ॥
দাতায় যদি কভূ চায়,
কি দেবে তারে আছে কি তা ভাবনায়,
তা কেমন হয় না যদি পায়, এত দানের বিনিময়ে একটুখানি প্রতিদান ॥
ভাল করে যাচাই কর,
কোনটা আসল নকল আর কে সবার বড়,
ছোট্ট তব এ ভব জীবন, একটু সময় যদিও তা কিছুক্ষন, মহামূল্যবান ॥
তা কিসের কবিতা,
না যদি আঁকে জীবনের ছবি, বলে মনের নাবলা কথা,
কে বলে তারে গান,
পথ ভোলা মুসাফির যদি পথ খুঁজে না পান,
যেকথা নাহি জুড়ায় সহস্র শত তৃষিত ক্ষুধিত তাপিত পরান,
পুড়ে পুড়ে আংগার, ভাষাহীনের ঐ দুঃক্ষ ব্যাথার ভার না করে অবসান ॥
বিশ্ব মালিক প্রভূ বিধাতা,
সৃজন জীবনমরন লালনপালন এক পরিবার একটাই ছাতা,
আর কেহ নাই, একটাই আশ্রয় ঠাই, সুখশান্তি ও ক্ষমার বাণী ও বারতা,
সকল শক্তি ও করুনার আধার, সম কেহ নাই কোন অংশীদার, ঐ সে দাতা চীর মহান ॥
মহা মহাজন,
কার কাছে কত রয়েছে দাদন,
তার দাদনের কারবার ব্যাপীয়া এ বিশ্বভূবন,
মহাবিশ্বের তহশিলদার,
নিঁখুত পাঁকা ঐ হিসাবখানা তার,
লেনদেন ও দেনাপানার রয়েছে একখানা যার নামে নামে মহা খতিয়ান ॥
যদি সময় হয়, তা পাও কখন,
এসো ভাই মোর আংগীনায় রলো নিমন্ত্রন,
খোলা পাঠশালা সারাবেলা এসো মিলেমিশে করিব কিছু পাঠ গ্রহন,
হলে ওবা বড় বিদ্যায়, ক্ষমতায় ও ধনে,
নেই কোন তফাৎ, ছোট কিবা বড় জাত, সবাই সমান দেহমনে,
তোমাতে আমাতে ভাই, জেনে রেখো নাই, এতটুকু কোন ব্যাবধান ॥
জানি তোমার কাছে অনেক বিদ্যা ও ধন আছে ভাই,
ক্ষমতার আসন যেন সিংহাসন, শীতল গাড়ী বিশাল বাড়ী শ্বেতপাথরে বাঁধাই,
যার কেউ নাই কিছু নাই, বিধাতা তাকে আগলে রাখে, তার করুনার পাখনা ছড়াই,
আমার কিছু নাই বলেকি ভাই, নানান ছলে করছ অবঞ্জা মোরে আর সেটাই তোমার বড়াই,
হঠাৎ পাখীটা যাবে চলে,
একদিন তোমাকে ছেড়ে কিছু না বলে,
মহারাজায়, যখন তার ইচ্ছে হয় মনে চায়, দিবে সূতায় ধরে একটা হেচ্কা টান ॥
শুধু ভোগ বিনোদন,
বলো ওরে, এই কি জীবন,
তোমার আছে কিবা নেই তৃতীয় নয়ন,
নাকি, ফাঁকি হতে বাঁচিতে চাই কিছুনা কিছু সাধন,
ওরে কানা, তোর হয়েছে কি তার ভেদ জানা, কেন এ জীবন,
কে বানালো এই সাগর জমিন,
সাজালো এ ভূবন নানা রঙে করিয়া রঙীন,
করো মন গবেষন, ইহজীবনের কতগুলি দম কতগুলি ক্ষন, খুটিহীন নীল গহীন সাত আসমান ॥
আবু হকে বলে,
জীবন তোমার ওরে যাবে বিফলে,
কেমনে করিবে আহরণ মানিক রতন গহীন সাগর তলে,
কোথায় যাবে, কি খাবে, কি কাজ করিবে, অপরাধী আসামী হয়ে মরন হলে,
না করিলে তা দরশন,
তবে বলো মানূষ হবে আর কবে কখন,
দীক্ষা লও, সংগী হয়ে সংগে রও, চাই সত্য সুবচন,
হাতে লয়ে দেখে ধন্য হও, আখেরাতের মহারাজার দেনাপানার হিসাবখান ॥
কি তখন বলবে তারে,
ফাঁকি দেওয়া যাবেনা আর পালানোর পথ পাবেনারে,
যদি মুনাফা সহ তার দাদনের বকেয়া হিসাব টেনে ধরে,
ষোলআনা বুঝে নিতে চায়, জায় জায় সে যত পায়, বালাম দেখে ওজন করে,
রলে মজে ডুবে ভূলে,
দেখলেনা তা একবারও খুলে,
কোথায় কি লেখা আছে, কি পাওনা কিবা কি খাতে কত দেনা রাজার কাছে, কই আমলনামার ঐ সবুজ খাতাখান ॥  
সত্য বলো,
তুমি সুপথে চলো,
দেখিবে এই বুঝি ভোর হলো,
সোনালী আলোয় ছড়ানো ভালো আর ভালো,
করো কিছু দান, পরের সেবা উপকার সামান্য কল্যান, রাখিতে জাতের মান, আশরাফুল মাখলুকাত তুমি হে ইনসান ॥