ওগো আমার,
ভাংগা মন আর,
নাংগা মাতাল দেহটার,
বিজন ঘরের সমঝদার খেলোয়াড়,
একাই সহস্র অদৃশ্য বস্ত্র এমন একজন অনন্য মহামূল্যবান মেহমান ॥
সাত রঙে রংগী,
প্রতিক্ষণ জীবনের সংগী,
কতনা ছলাকলা অভিনয় অংগভংগী,
না হলে কভূ পর, হাসিখুশীর এই ঘর, দূষমন জংগী,
কথায় কাজে এ মনের সকল সাজে সারাদিন আজীবন শোনাব গান ॥
অ গো কুটুম,
অন্তরে বাসনার ধূম,
মোর দোচোখে নেই আসেনা ঘূম,
বসন উদোম, গায় পেতে চায়, সুড়সুড়ির চূম,
আপনি আছেন পড়ে বড় শহরে,
আমিও তেমন গাঁয়ে আমার আপন ঘরে,
দুজনেই বড় অসহায় একা নাবলা এক প্রহরে,
যার বউ সন্তান কেউ নেই কি হবে তার চাকুরী করে,
কবে আসিবেন বন্ধুরে, জানিতে চাহে মোর এ তৃষিত পরান ॥
দামাল চপল হাতের উঞ্চ পরশ,
এ দেহমন অনূগত অনূচর হয়েছে বশ,
চূয়ে গড়িয়ে পড়া ঘাম, পঞ্চ রিপুর রস,
যাদুর প্রলেপ মালিশের চেয়ে বেশী সরস,
সুখের মাতাল ছোয়ায় সারা তনূ হয়যে অবশ,
সারা গায়, চোখেমোখে পরম সোহাগে এসে দুহাতে মাখান ॥
এসো নিশী রাইতে,
যা মনে চায় বার মজা পাইতে,
নরম গরম টকঝাল পাবে তা খাইতে,
থাকতে আঁধার হবেযে কূয়ার পারে নাইতে,
গাছগাছালি পাখপাখালির নিঝুম বাগান বাড়ীতে,
কেউ না দেখে যেন, সাত সকালে হবে চলে যাইতে,
মন ভাবনায় আছে, না যায় যেন লোকের কাছে মোদের মান ॥
আমি হব ষোলতে সেই,
কোন বাধা কিবা মানা নেই,
যদি তব ইচ্ছার হাতেই ছেড়ে দেই,
দুহাতে ধরে গালেতে পূরে চেটেপুটে লেই,
প্রাণটা ভরে খান, যেভাবে যখন যেমন যত খুশী খেতে চান ॥
কাশ্মীরি সুরা,
নাগালে পেতে ভোগের চূড়া,
কি দোষ ক্ষতি, যদিগো রহে সুমতির রতি, হয়েছ নাহয় আধো বুড়া,
কোথাও কোন ঘাটতি হলে, পাশাপাশি গলাগলি চলে, দুজনে মিলে ঐ শূন্যতা করব পূরা,
বেধে দুজনে জোড়,
হয়ে দুজনার প্রেমেতে বিভোর মনচোর,
চুটিয়ে বাসনা মোর, যতক্ষন না কাটে নেশার ঘোর, শুধু বারবার আলিংগন আহবান ॥
তুমিযে আমার নিত্য পূঁজার পূরোহিত ঠাকুর,
সুখের জোয়ার ভাটা, দীনতায় কপাল ফাটা, হোক সে কষ্ট দুঃখে ভরপুর,
অ মোর শ্রদ্ধাভাজন ভাসুর,
চলেন যাই কে বলেছে নাই, শান্তিনগর মধূপুর,
আমার স্বামীর অকাল তিরোধান, সে যে পরম বিরহ বিধূর,
নিমেষে যাব পৌছে হেথা, একটু সুখে ভূলব অনেক ব্যাথা, নহে বেশী দূর,
একেবারে বেসুরো বেতাল ও বেহাল আছে কষ্ট দ্বিগুন হতভাগী তব এ ভাতৃবধূর,
এক সূতায় বাঁধা হলে দুইজন,
দুইজনের চার চোখের একখানা মন,
আবু হকে কহে, নহে বাঁধনের বাধা, সেযে চোখ ও মনের ধা ধা, বয়সের ব্যাবধান ॥
তাকিয়ে দেখুন,
শুনেছি আপনার নাকি কত গুন,
পারুন তো আমারে বাঁধূন, দুহাতে কাছে টানুন,
নাই পান সুপাড়ী চূন, তেল সাবান ফিতা চূড়ি স্নোপাউডার, কোন টকঝালনূন,
আপনারও কত ঋন,
এ জীবন ধূসর ও সংগীহীন,
হোক তার একটা সুন্দর বিহীত আর, সে কলংক ও বেদনার চীর অবসান ॥
নাহলে আমি রাখি বলে,
একদিন চুপিসারে যাবো দূরে চলে,
অবুঝ এ শিশুদের, স্বামীর জায়গাজমি ও ঘরবাড়ী,
করব বিয়ে আমার বাপের বাড়ীতে গিয়ে, এই সবকিছু জনমের তরে ছাড়ি,
পার হলো তিন বছর,
তিনটি এতিম শিশু হবে কার উপর নির্ভর,
আমার জীবন ইবা কেমনে যাবে, সবাই যদি মোর হয়রে পর,
কে চষিবে মম বিরান জমি ও ফুলের বাগান,
টেনে ধরিবে, সোহাগে ভরিবে, আবার সাজাবে আমার মনের ঘর, কে রুধিবে ডাকিলে বান,  
কি আমার নাই, ভর যৌবনেও পাবনা কারো মনে ঠাই, আমি কি ওগো দেখিতে কম সুন্দর,
তোমার ষাট আর আমার তিরিশ, কত মজা হবে ইশ, যদি যোগ করে আমরা তার করি একটা গড়,
হলে কেমন হয়, আমি কিছু বেড়ে, তুমি কিছু ঝেড়ে, আস্থা, আশা ও নির্ভরতায় পরম বন্ধু পরস্পর,  
করিব সমানে সমান, গড়িব আবার বাগান, ঢেলে দেব জল করব শীতল দুটি দেহের ঝড় তুফান ॥
সু স্বাগতম,
হে মোর প্রিয়তম,
তুমিই সেরা তুমিযে উত্তম,
হবে রসে ভরা মোর পোড়াবাড়ীর চমচম,
জাগায় এমন নেশার ঘোর,
না যদি হতো কভূ আর ঐ সে নিশী ভোর,
তুমি এলে ঘরে, না খুলিতাম ঐ ঘরের কোন জানালা দ্বোর,
করব বিয়ে বাধিব জোড় গুপ্তধন আহরন সব মধু পান, দুজনে দুজনার হবো এমন পরানের পরান ॥
যদিগো কভূ ঘূম না আসে,
তুমি আর আমি, হলে বন্ধু স্বামী, দুজনে ভেসে বেড়াব আকাশে,
জড়াব বুকে চরম উঞ্চ সুখে মধু করাব পান ভরাব পঞ্চ পরান মদীর সুবাসে,
তার সবইতো তোমার, যা আমার আছে,
পাবেনা তল পাবেনা পার, হবে আরও দামী এ অভাগীর কাছে,
যদিগো অবসর থাকে অধর,
কোলে নিয়ে আমি তারপর করিব আদর,
খাওয়াবো তোমারে, দেখিব শেষে কে জিতে কে হারে, পাঁচ মসল্লার এমন এক খিলি পান ॥
বিয়ে করা ঘর বাধা নহে অপরাধ,
মহাপূন্য করা আশ্রয় ও সুখ দান ভূলিয়ে কষ্ট বিষাদ,
অ - ভাইজান,
ভয় আর লাজ সরমের করে বলিদান,
দুজনে মিলে অথই সাগর নীলে ঢেউয়ের তালেতালে বাহিব সাম্পান,
হবে তোমার সংগীহীন মাথাভারী ঋন এ জীবনটা আর রান্না খাওয়ার অনেক কষ্টের অবসান,
মরাগাছে ফুটিবে ফুল, টাকমাথায় গজাবে চূল,
টুটবে হতাশা ভাংবে অনেক ধারনা ভূল, পাবে খুঁজে পথ অকূলের কূল,
স্বপ্ন আশা আর ভালবাসা, আলো ও ভালোর চাষ জন্ম মৃত্যুর এ যাওয়া আসা, সেইতো জীবনের মূল,
নতূন পাঠশালে ভর্তী হবে যখন, খুলিবে বন্ধ যে নয়ন, অতেজ ম্রিয়মান এ দেহখান পাবে ফিরে প্রাণ ॥