মনের নাম মহাশয়, যাহা সহায় তারে তাহাই তার সয় ॥
একবার ভেবে তা, দেখিতে হবে মশাই,
মনের দখলে দেহখান, নাকি দেহের দখলে তাই,
কে কারে চালায়, করে শাসন দমন নিয়ন্ত্রন, সুখেদুঃখে সংগী হয় ॥
কোন কথা সহেনা গায়,
নিতে চাহেনা যেন সে কোন দায়,
জুড়ে দিলে কাঁধে জোয়াল,
টানে লাংগল, ঠিকই সে চষে হাল,
মাথায় তুলে দিলে ভার, আর নড়েচড়েনা নাড়েনা ঘাড়, মেনে লয় ॥
নিরবে কৌশলে এড়াতে চায়, পালাবার পথ খুঁজে,
ভাবটা এমন যেন করেনা শ্রবন, দেখেও দেখেনা শুনেও শোনেনা বুঝেও নাহি বুঝে,
সময় গড়ায় যত,
শেষে দেখি এক লক্ষি গাধার মত,
হয়ে মনের মত, দিনেরাতে সে অবিরত, চুপচাপ বোঝা বয় ॥
মন যদি তারে পছন্দ করে,
তবে মাঝির বোঝাই নায়েতেও তাকে ধরে,
দোষত্রুটি আবদার বায়না,
দেখেনা ধরেনা কভূ করেনা তা মানা,
তার সকলই সাধন হয়, একবার মনিবের মনটা করা গেলে জয় ॥
ঞ্জানী গুনী জনেরা কহে,
এ সমাজে সকল কথায় ও কাজে, যে সহে সে ইতো শুধু রহে,
কাটিয়ে সব ধকল, দেখি সে ই যেন সফল, তারই হয় সাফল্য বিজয় ॥
গুরুর বচন,
সবে সদা তা রাখিও স্বরন,
আবু হকে কহে, ফুলদল বিছানো নহে এ জীবন,
বাঁচার মত বাঁচিতে, পদেপদে দমেদমে ঘাটেঘাটে করিতে হয় রণ,
তাই করো পণ, খুশী হবে মেনে লবে যাই নিয়ে আসে যখন, সময় কিবা অসময় ॥
সকল মন্দ ভালো,
সাদা কালো কিবা আঁধার আলো,
পথটা যেমনই হোক, যা বলে বলুক লোক, তব কথায় কাজে সকল ভালোর আলোটা জ্বালো,
আজ না হোক কাল, এডাল নাহয় ওডাল, ভাংগা নায়ে রাঙা পাল, তব সাধনার সাধন, হবে নিশ্চিত নিশ্চয় ॥
ঐ পথটা দারুন পিছল,
গায়েতে না থাক মনে চাই দূরন্ত বল,
হয়ে বিধাতার দাস, আত্ববিশ্বাস নাহলে অটল ও অবিচল,
একাই চলিতে হয় যখন,  
আসে এমন ক্ষন, অনেক ক্রান্তিলগন,
আপদে সমস্যায় এ জীবন ঘূরপাক খায় ঘূর্নিচাঁকার মতন,
একটা লাঠি, একটা ক্ষিন প্রদীপ শিখা লয়ে হাতে, গহীন আঁধার রাতে না পেয়ে ভয় ॥
বলো মানূষ কি পারেনা,
খাক বা না খেয়ে থাক পরের ধন কভূ কাড়েনা,
পাক বা না পাক, হোক বা নাহোক তবু চেষ্টা ও আশা ছাড়েনা,
সে ইতো আসল মানূষ মনেরে যেজন করে শাসন, তার কাছে কভূ হারেনা,
আপনার ভার আপনি বহে, গোপনে সব সহে, কারেও নাহি কিছু কহে, কভূ ধারেনা,
অবিরাম চেষ্টা,
নাই আলস্যের লেশটা,
দেখিতে পণ কোথা তার শেষটা,
কপাল ফাঁটা, তার বুকেতে চর নদীতে চীর ভাটা,
আছে বাবুয়ানা, তৃতীয় চক্ষুটা কানা, আঁধারে ঘেরা তার দেশটা,
সাহসী উদ্দোগী মন,
তার ইতো শুধু হয় সাধন,
তারা ইতো জয় করে হিমালয়, নেই অবহেলা, সারাবেলা মিছে খেলা, আর নয় অল্প সময়ের অপচয় ॥  
ঐ রশিটা ধরে কষে,
আশা লয়ে মনে, থাকতে হয় মজে বসে,
দূর্ভাবনা ও হতাশায়,
সাহস ও মনোবল কুড়েকুড়ে খায়,
যার কেউ নাই কিছু নাই, তাদের প্রতি তব আছে কত দায়,
ধর্য্য ধরা, অপেক্ষা করা, মনের ভিতর অসাধারন কিছু গড়া, নতূন সৃজন সেইতো মানূষের পরিচয় ॥
ধীরেধীরে তিলেতিলে,
পরাজয় আর অবক্ষয় খায়, খাবে গিলে,
ছিড়ে মোহ ঘের, দাও খুলে তব দেহমনের বন্ধ সকল জানালা দুয়ার,
সৃষ্টির তরে তব কি অবদান, করোনা বসে সে হিসাবখান, করেছ কবে কার কোন কল্যান ও সেবা উপকার,
হও মহান, হও বড়, মানূষের লাগি এমন কিছু গড়, তব সৃজন ও দান, হয় যেন তা আর রয় চীর অম্লান অক্ষয় ॥
ফুল হয়ে কাননে ফোট,
দূরন্ত দূর্বার গতিতে ঐ দিগন্তে ছুট,
এমন বৃক্ষ হও সুমিষ্ট ফলবান,
করো সবারে ফুলের শোভা সৌরভ কিবা মধু দান,
এমন বীজ ও এমন চাষ,
শান্তি সুখের যেন হয় অনন্ত আগামীর বসবাস,
কি দেবে বলো তুমি তাদেরে তবে,
কিছু চায়, ঐ দেখো যেন মোখপানে চেয়ে আছে সবে,
যার যাহা নাই, কিছুনা কিছুতো ভাই, তোমাকে তাদের দিতেই হবে,
নহে শুধু ভোগ বিনোদন, চক্ষু মেলিয়া দেখোনা উঠিয়া জাগি, এ ভবে শুধু আপনার লাগি, তব এ জীবনখানিতো নয় ॥
বুলবুলি হয়ে সে গায়,
কন্ঠ সুধায় মন জুড়িয়ে যায়,
দুহাতে ধরিতে সোহাগ করিতে মন চায়,
কাকের মত স্বর কর্কশ,
নাই যেন কোন মায়া কিবা যাদু রস,
ময়না টিয়া কোকিলের মতই কথা কয়, মনেরে শিখালেও তাই হয়, জেনো তা নিশ্চিত নিশ্চয় ॥
রেখোনা পা তার ত্রিসীমানায়,
দীপ্ত আলোর ছোয়ায় যে, শিখিতে না পায়,
যে, লোকের সামান্য বদ আচড়ন কিবা মন্দ কথায়,
কেন এত ক্ষেপে উঠে, তেড়ে আসে, যেন গায়ে হাত তুলিতে চায়,
হাতপা বেঁধে যখন পুলিশে পিটায়, কিবা বন্দি যখন রোগবালাই বা দূর্ঘটনায়,
এই মন হয় যেন ঠিক তেমন, যখন যেখানে যেমন খাপ খেয়ে যায়, নিজেরে বদলায়,
মরন যখন ওরে, টেনে নিবে তারে কবরে, কেজানে শেষে কিহালে সেখানে কেমনে দিন যায়,
মনেরে বুঝাতে মানাতে হবে যেন সে অধীর না হয়ে যায়, তার গায় শীতবর্ষায় শত সুখবেদনায় সবকিছু সয় ॥
আসল মানূষ হয়েছ কিনা,
খোলা আছে কিনা মন, তোমার ঐ আরশিখানা,
অনেক বাকী, নাহলে মিথ্যে ফাঁকি, দেখা শিখা জানা ও চিনা,  
হয়না মানূষ কেহ, হলেই সুন্দর মোখ মানূষের দেহ, অজানায় আপন দায় ও পরিচয় বিনা,
আবু হকে ডেকে কয়, হয়না যেন তোমার হার ভরাডুবি পরাজয়, হতেই হবে মন তোমাকে অক্ষয়, মহাজন ও মহাশয় ॥