পর্ব -০১


কত শূন্যতা কত দীনতা ভাই,
অক্ষমতা নীচতা ও হীনমন্যতা ঘুরছে জাল ছড়াই,
সবাই বলে নাই নাই,
চারিদিকে আসলে কতকিছু নাই,
তবু অনেক না্ইয়ের এ জীবনটারে, একবার ভাল করে দেখে নিতে চাই ॥
এইতো জীবন,
নাবলা কিছু দুঃক্ষ বেদন,
বদ্ধমূল কিছু ভুল করা সংশোধন,
হলোনা, কভূ তা ষোলআনা ভরন ও পূরণ,
এটা আছে ওটা নাই, বলো কোথা গেলে সবকিছু এক সাথে এক মুঠে পাই ॥  
সুখের কথা মনটারে বলে বলে,
সান্তনা কিবা সবর শোকর আদায়ের ফলে,
ভালর দলের তারা সবাই, আপনারে রেখেছে বেধে, রেখেছে তারে বুঝাই ॥
বিশ্বজোড়া সে এক মহাআয়োজন,
জীবনের লাগি আছে কত শত প্রয়োজন,
কোনটা আজ না হলেও চলে, কোনটা চাই এখন,
কোনকিছু জরুরী হলে, আর তাহা না পেলে, সমস্যা হয় তখন,
আসল সত্য তাই, দেখি ভাই এ সংসারে হায় কত মানূষের কতকিছুযে নাই ॥
কেউ নহে সপ্ত ধনে পঞ্চ সুখে পরিপূর্ন,
নাহি কহে, সরমে সহে, মরমে করে দর্প চূন,
ভিতরে ঝড় বয়,
বাহিরে সুখের অভিনয়,
মোখ বুজে তা নিরবে সয়,
কারো কাছে কভূ কিছু নাহি কয়,
চুপ করে, হাসিটা মোখে ভরে, এত সব ঘাটতি লয়ে করে পূর্নতার বড়াই ॥
কারো নাই মেয়ে কারো ছেলে,
কারো ঢের বেশী যেন দিতে চায় ফেলে,
সংসার চালাতে হিমশিম, যদি ঠিকঠাক রশদ না মেলে,
কারো নাই সন্তান, পালক নিতে চায়, কোথাও বিনা পয়সায় একটা পেলে,
ধন নাই তবে, কারো জন আছে,
আবার কারো জন নাই, অঢেল বিত্ত ধন আছে তার কাছে,
আপন ভুবনে কতজন এমন, বড় ন্বিঃস্ব শূন্য একা, যেন তার নাই একটু সুখের ঠাই ॥
কারো স্ত্রী নাই, কারোবা স্বামী,
কত অসহায় তারা, নিজেরে ভাবে ভাগ্যাহত কিবা কমদামী,
আবার কেউ একই ছাদের তলে,
স্বামী স্ত্রী রয়েছে দুজনে মিলে কোন সন্ধি কিবা কৌশল বলে,
তিলে তিলে জ্বলে, কারেও নাহি বলে, তূষের অনলে নিরবে গোপনে পুড়ে হয় ছাই ॥
দুইজনে শোয় দুই কামড়ায়,
কোন বুদ্ধিতে বা কিসের আশায়,
কেউ কারে তবু কেন ছেড়ে নাহি যায়,
কথা নাহি বলে, একসাথে বসে নাহি খায়,
অনটন অসুস্থ্যতা কিবা দাম্পত্য কলহ বিবাদ বিসম্বাদ,
হানা দেয় জীবন ও সংসারে এসে, অজানা কত অশান্তি দুঃক্ষ বিষাদ,
করেছে গ্রাস, অশান্তির ত্রাস, কত সন্দেহ আরও কতনা অবিশ্বাস,
ক্রোধ না মানা হার, কেন তবু দুজনার একসাথে বসবাস, সুখটারে যেন কাঁচা গিলে ফেলেছে খাই ॥
কারোই মোখ ফুটেনা,
সালিসের লাগিও তারা কেন ছুটেনা,
দেখি রহস্যের জাল কিবা বাধনও যেন টুটেনা,
কি লাভ কি প্রয়োজন এই, যার কোন দাম নেই, পিরিতি ও মিছে পরিচয়,
নেই কথা বলা, উঞ্চ আবেগে গলা, কেন তবে এই আশ্রয় ঠাই যদি কেউ কারো নয়,
আক্ষেপ অভিযোগ ক্ষেদ, দন্দের কারন গোমড় ভেদ, কেন কিসের ইবা এই জেদ, কেউ জানেনা তাই ॥
কেউ পায়না কেউ পায়,
পেয়েও আবার কেউবা যেন সব হারায়,
তবু সবাইতো এ জগতে, সুখ পেতে আর বারমজায় বাঁচিতে চায়,
হয়ত আপন দোষে, কিবা পড়ে ঐ রাজরোশে, মানূষ হয়ে যায় কত অসহায়,
কেউ সরবে, কেউ পরম সহনশীলতায়, নিরবে দিন কেটে যায়, কতনা হালতে বেঁচে রয়েছে সবাই ॥
কেউ আপদে নিদানে বিষাদে,
কেউ হরষে আটখানা আহলাদে,
কেউ পড়ে আছে যেন গহীন আঁধার খাদে,
কেউ শূন্যতা ও দীনতার ভারে আহারে গুমরে কাঁদে,
কেউ চলিতে পারেনা, এমন এক বিশাল বোঝা যেন তার কাঁধে,
জীবনটা যেন, বলিতে পারেনা কারেও বলেনা, পড়ে আছে হেন এক ফাঁদে,
কেন কারো ভাগে যেন তার সামান্য নাই, এত সুখ এত ভাল জগতে রয়েছে ছড়াই ॥
পছন্দের ভাল খাবার, কেউ যা চোখে দেখেনা,
ঘরে গড়াগড়ি যায় অবহেলায়, মন চায় তবে খেতে পারেনা,
কষ্ট পায় নানা রোগ যাতনায় খেলে,
কত মানূষ বিনা দোষে পড়ে আছে জেলে,
কারো গাড়ী আছে তবু হেটে চলে পথে তা রেখে ফেলে,
কেমনে বুঝিবে বলো জানিবে লোকে,
শত কষ্টে আছে তবু জল নাই এক ফোটা এমন কত চোখে,
হাটিতে পারেনা তবু হাটে, বসে থাকে একা দীঘির ঘাটে, দিন কাটে কত দুঃক্ষ বেদনা শোকে,
সারা গায়, যার পা হতে মাথায়, দয়াময় বিধাতায়, জানিনা কেন দিয়েছে তা যেন মাখিয়ে ভরাই ॥
কারো হাতে টাকা নাই,
কেউ বেকার, কোন কাজ কিবা চাকুরী নাই,
আছে রোগ বালাই, ঘরে ঔষধ নাই,
সারাটা রাতে কারো আঁখি পাতে নিমেষের নিদ নাই,
কারো জীবন পরের দয়ার উপর এতটা নির্ভর,
নাই বালিশ, কারো তোষক, কারো মশারী, কারো ছেড়া চাদর,
কারো লেপ কিবা কম্বল, কারো ছাতা, কারো সেন্ডেল জুতো, কারো শীত বস্ত্র, কারো সাধারন কাপড়,
চেয়ার টেবিল, কারো ফ্যান লাইট, কারো বইখাতা কলম নাই,
খোঁপাড় কাটা, নাকের ফুল, হাতের চূড়ি, কানের দুল, ওড়না ফিতা শাড়ী নাই,
কারো আছে মাথা গোঁজার ঠাই, ঘরে খাবার নাই,
কারো নাই বাড়ীঘর কিবা জমি ভিটা, কারো জুতার ফিতা চাই,
এত অনটন শত প্রয়োজন, কি লাভ হবে, নাহলে কেনই বা তবে, বলবে তারা কার কাছে যাই ॥
বেসামাল ডিজিটাল এ সমাজে,
অতী ব্যাস্ত মানূষ সবাই নানাহ কাজে,
কেউ যেন পংগপাল এমনই হাল নষ্ট বাজে,
কেউ জড়সড় সংসয় সংকোচ দ্বিধা ভয় ও লাজে,
কারো মা নাই, কারো নাই বাবা,
কারো নেই বিদ্যা ও ধন, অনূভব চেতন ও মন, কেউ বুদ্ধিতে হাবা,
পেয়েছি শত প্রমান কথায় কাজে, ভাল মানূষের দাম নাই,
মনের কথা, সুখ দুঃক্ষ ব্যাথা, বলার জায়গা কিবা মনের মানূষ নাই,
কারো যাদের কাছে, ধন ও মন দুইই আছে, এমন আত্বীয় স্বজন বা আপন কেহ নাই,
বিপদে আছে তাই, কারো নাই কোন বন্ধু সুজন, কারো নাই একজন দরদী বোন কিবা ভাই ॥
ভাবনা কাতর কত বিঞ্জ জন বিষন্ন মন,
মায়ার সংসার হলো কেন, নির্মম পাষান এমন,
তারা গেল কই, ভালবাসার মানূষ, যত বিশ্বাসী প্রিয়জন,
চেনা বড় ভার, জানা দরকার, আসলে কে কার, কেমন কতটা আপন,
সবাই নির্বিকার, যদিও এক পরিবার, বাঁচার জন্য তার, জরুরী রক্তের প্রয়োজন,
নেই কোন দায়, চক্ষু নাই বলে,
জোয়ারের টানে, হর্ষ প্রাণে বেশ ভালোই জীবন চলে,
প্রতিটি ক্ষনের কথা ও কাজের সবে, হিসাব দিতেই হবে, বচন মম সত্য হলে,
থেমে নেই কারো পঞ্চরসের ভোগ বিনোদন, কারোবা রোদন, অনায়াসে না চেয়ে কেউ অঢেল টাকা পাই ॥
কিছু বিদ্যান পন্ডিত ধনবান বিবেকহীন,
মানবতা কোমায়, ভাবে নাই কোন তার দায় ঋন,
ভিতরে নেই ভাল, তবে বাহিরে তার সুজনের ষোলআনা চিন,
দেমাগের বোধ বিবেচনা, হয়েছে বধির ও কানা, যেন ভূলেতে বিলীন,
আসলে বোঁকার স্বর্গে বসতি কুহেলিকাময়, কুয়াশা ঢাকা মোহের আবেশে মলিন,
এক আত্ববাজ,
আপন ক্ষুদ্র জগতে আপনি রাজ,
পূত্র কন্যা বিবি, এই তার রাজ্য স্বজন ও সমাজ,
বাহারী বেশভূষন, খুশবো ছড়ানো দারুন পোষাকী সাজ,
প্রসাদ বাড়ী, বিলাসী গাড়ী,
এখন যেন পালাতে চায় সব ফেলে ছাড়ি,
বিত্তবেসাত আছে, সবই তার কাছে, লাভ কি তাতে সুখতো আর নাই,
চুপিচুপি মোরে, ফিসফিস করে শুধায় এক ভাই, দাম কত তার, আর বলো তা কোথায় কিনতে পাই  ॥
পদে পদে পূন্য আর,
অসহায় মানূষের সেবা উপকার,
সামান্য কথায় কাজেও নেকীর সমাহার,
তেমনি তাতেই আবার হতে পারে গুনাহের পাহাড়,
নিজের দোষ দেখেনা, পরের দোষ খুঁজে বেড়ায়, করেনা ক্ষমা দেয়না কারেও ছাড়,
নাই বোধ বিচার,
ভাবেনা কেমনে সে হবে পার,
সামনে অচেনা পথ, নাই তরী কিবা রথ, পিছল ও ভীষন অন্ধকার,
মানবতা নাই, নাই তৃতীয় নয়ন,
যারে বলে মনূষত্ব - মানূষেরে করে মহান যেই মন,
তা ওতো নাই, কত ভাল আমি, দামের চেয়েও দামী, এই মানূষেরাই কেজানে হয়ত ভাবছে এমনটা সবাই ॥
আবার কারো কোন বিত্তধন নাই, তবুও নেই ভাবনা,
খেকেও শত অনটন নেই কোন কষ্ট যাতনা পেরেসানি তাড়না,
আঁধারে আলো, আছে তারা অনেক ভালো, সুখ যেন হেথা ভরপূর কানায় কানা,
নহে তারা অর্থ কিবা ভোগ বিনোদন সুখের কাঙাল,
কিসের জোয়ার কিসের ভাটা, কি হবে আর কি খাবে আগামীকাল,
তারা সুখের ঘূমে বিভোর মাতাল, ভর্তা ভাজি শাক ডাল, দিয়ে মাটির বাসনে পেটভরে ভাত খাই ॥
তুমি করোনা মানা,
তার সবইতো আমার জানা,
কি নাই তোমার, বলো তুমি কি পারনা,
চক্ষু খুলে দাও, যেন কেহ তারা আর না রহে কানা,
শুধরে ভূল, বদলে আমূল, শিক্ষা পেলে তারা মানূষ হবে তা মোর ধারনা,
দাওনা প্রভূ তব ধন সামান্য ঢেলে,
ধন্য তারা অতী অল্প একটু পেলে,
যেথা হাহাকার, অনটন আর আঁধার, দীনতার ঐ জগতে তোমার অসীম অপার করুনা ছড়াই ॥
তুমি দাও ভরে দাও,
তুমি যেমন ওরে ঠিক যেভাবে চাও,
ভূলগুলি ভাংগিয়ে, বাসনা রাঙিয়ে, তাদের সবার, যার যাহা নাই, আর কিছু নহে শুধু ঐটুকু তাই ॥
কোনঠাসা হয়ে আছে,
যেমন সুখে থাকে ডাঙায় মাছে,
আঁধারে বসতি জীবন যাদের, মিথ্যা মন্দ মোহ ও ভূলের ঘের, ভোগের নেশার মত তাদের কাছে,
যারা পথহারা, বদলে গেছে চলন ধারা, দিশাহারা শত সহস্র আপদ নিদানের আর যূগের জালেতে জড়াই ॥
সকল খবর আছে,
সে খতিয়ানও তারই কাছে,
কার কাছে কি আছে, আর কি নাই,
সবার সবটুকু তার তিনিই ভাল জানেন তাই,
সকল শক্তি যার, আমার আশা আমার অহংকার ও বড়াই,
ঐ মহারাজার,
এ মহাবিশ্বটা কুরসি তলে যার,
খেয়াল খুশী ইচ্ছে করেন, রাখেন পারেন বাঁচান মারেন, যিনি মহান বিশ্ব মালিক সাঁই ॥
আমি দুহাতে তোমার করুনা মাগি,
যারা তাদের নাইয়ের কষ্টে, শুধু ঐ তাদের লাগি,
তুমিনা একক মহান, করিতে তাদের করুনা দান, ক্ষমা ও ত্রান, রয়েছ সদা জাগি,
যাদের আছে ঈমানী প্রাণ, তৈয়ার করিতে কিছু কোরবান, আমিও ঐ কাফেলায়, যাবনা কখনও পালিয়ে ভাগি,
যারা বড় অক্ষম ও অসহায়,
চোরের মত লুকিয়ে থাকে, আসলে তোমাকে তারা খুঁজে বেড়ায়,
যদিও তারা মোহ আর ভোগের দাস, আলো আর ভালোতে হয়ত আসিতে চায়,
কারোই দেবার সাধ্য নাই, উজির নাজির মন্ত্রী বিচারপতি জল্লাদ সেনাপতি সবারই পাহাড় সম দায়,
তোমার আছে তাদের নাই,
জানিনা কেন দেখি এমনই যেন ঐ সবাই,
দিতে নয় আরও পেতে চায়, নেবে যেন ন্বিঃস্বরে ঠকাই,
যার আছে মেলা ধন নেই দীনজনে দিতে মন যতই করুক বড় হবার বড়াই,
কে করিবে লড়াই বলে কৌশলে সম কেহ নাই ভোগেতে বিভোর আপন অটল অবস্থানে জুলুমের জাল ছড়াই,
হে মহারাজা আমি তোমার কাছেই শুধু তাই, যত দূর্বল যাদের আপদ ও নিদানের ঢল তাদের সবার ঐ নাইগুলি সব চাই ॥