(এটি একটি স্ত্রী কর্তৃক স্বামী নির্যাতন মূলক কবিতা, ঘরে ঘরে অন্তরালে সংঘটিত নির্মম ও করুন এক বাস্তব সমাজ চিত্র। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাম্প্রতিক মূল্যবান উক্তি ও মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এটি রচিত।)


কত রসে মেতে,
রহে ঐ স্বামী ও স্ত্রীতে,
শূন্যে ভেসে চলেছে যেন এক তরীতে,
ব্যাস্ত সদাই যেন তারা, কি যেন মহান ও সেরা এক অবদান গড়িতে,
অন্তরালে কত ভালবাসাবাসি, অতি আপনজন কাছের মানূষ তারা এই দুইজন ॥
বিষয়টি মর্মঘাতী,
পুরুষ কিবা নারী জাতি,
কেমনে কার দিন যায় আর কাটে রাতি,
করোনা ছোট্ট এ জীবনাবসান, শুধুই ভূল আর ভোগেতে মাতি,
নহে ভাই মাতন আর মগন, সামান্য চাই নাহলে উপায় নাই, উদার মন, কিছু ত্যাগ ও বিসর্জন ॥
অদেখায় অজানায় ঘটে যায় কত তর্কবিতর্ক হাতাহাতি,
হইও সচেতন বেলাবেলি, দেখিও তৃতীয় নয়ন মেলি, শুনিও মরমের কান পাতি,
তবেই হবে আসল মানূষ, হবেনা কভূ মরন, সব সাধনার সাধন, হবে সফল ধন্য এ জীবন নাহয়ে আত্বঘাতী,
যদিও আমি অতি কমদামী, ভেবে উড়িয়ে দেই, ভূলে যাই মেনে নেই, ভেবে তা এক তুচ্ছ অঘটন ॥
বলেছেন কথাটা মিথ্যে নয়,
কজনে জানে তার মনের ভিতর কি ঝড় বয়,
ঘরের খবরতো কভূ, বাইরের কেউ জানারও কথা নয়,
অমূল্য এ বচন, বলেছেন জ্বালাতন ভোগী মহাবিদ্যান, পন্ডিত ও মহাঞ্জানী একজন ॥
নাহি বলা না কারে দেখানো যায়,
এই বুঝি কূল মান, কলংকে গিলে খায়,
শান্তিতে সংসার করাও যেন হায় এক মহা দায়,
সুখমান একবার হারালে আরকি তা কভূ কেউ ফিরে পায়,
মজাদার খাবার খেতে আর, মধুময় বিছানায় ঠাই পেতে তার, নিরবে মেনে লয় হার সব অত্যাচার করে বরণ ॥
আহা যে স্বামী গোবেচারা,
বড়ই সংগী ও বন্ধুহীন সেই জন তার স্ত্রী ছাড়া,
ঘরের ভিতর, হোক যতই বাদল ঝড়, কূনো ব্যাঙের মতই সে অসহায়,
বিয়ে করে পড়েছে ফাঁদে, গোপনে নিরবে তাই বসে কাঁদে, ফ্যালফ্যাল করে তাকায়,
সব হজম করে, দাঁতে দাঁত চেপে ধরে, আপনার মাঝে আপনি সব করে গোপন ॥
সেকথা কেমনে কারে বলে,
কি লাভ তাতে, শেষে উল্টো আরও বেশী ক্ষতি হলে,
আজিকে নিশ্চিত সে, একাধিক বিয়ে করিলে বা একাধিক বউ ঘরে রহিলে, হয়ত হতোনা কভূ তার দশাটা এমন ॥
তারে বিয়ে করে দিয়েছি মান,
জেনেশুনে যেন আমি বিষ করেছি পান,
আর কি আছে কোন উপায় গতি, হয়েছে যা ক্ষতি কোন তার সুন্দর সমাধান,
ভালবেসে বিয়ে করা ও সযতনে আপন হাতে গড়া এ সংসার হবেকি তবে আজ খানখান,
কেমনে আর কবে, সে ক্ষতিটা পোষাবে, হবে কি তা কভূ থাকিতে প্রাণ এ দেহে জীবন ॥
নানা অপবাদ দেয়, কটূ কথা বলে,
কোন কাজে কোনদিন একটু বেশী রাত হলে,
কত কৈফিয়ত দিতে হয়, তাতেও সে বিশ্বাসী নয়, যায় তা বিফলে,
কখনও বেসামাল,
আবোল তাবোল তালবেতাল,
এত রাতে কই যাই, এই ঘর ফেলে,
একখানা গোল দেয় যদি মাাঠটা খালি পেলে,
জিততে চায়, ভয় দেখায়, কখনও সে হেরে গেলে,
বলে অভিমান করে, বিষ খেয়ে যাবে মরে, শেষে আমাকে পাঠাবে জেলে,
কেন হলো এমন, সব দিয়েও পেলামনা কেন মন, হলোনা জানা, কোন্ সাধ বাসনা তার আজও রলো অপূরণ ॥
পরিবেশ ভারী করে ক্রোধ ও আবেগের কান্নার রোলে,
মিথ্যে নয়, এমনও হয় সুযোগ পেলেই অকপটে গায়ে হাত তোলে,
মিটায় মনের ঝাল, বড়ই করুন হাল, গোপন সে দন্দ কলহ বিবাদ ও গন্ডগোলে,
বোঁকা আমি ভাই,
হয়তবা ভেদ বুঝিনা তাই,
কি কারন তার, কেন এমন মেজাজ ও ব্যাবহার,  দিলেম যারে আমার সবটুকু যৌবন দেহমন ও উর্পাজন ॥
অসহনীয় ও দারুন দূর্বিসহ,
প্রাায়ই হয় এমন অদমনীয় অশোভন বিদ্রোহ,
আসে ক্ষনিকের নিঝুম নিরবতা,
হয়না মোখ দেখা, ভিন বিছানায় শোয়া একা, কোন কথা,
প্রাসাদের চেয়ে যেন ভাল বন, যায়না সহন, যায়না কহন, সে এমনই এক অদেখা দহন ও পীড়ন ॥
গা ঘেষে বসা,
যাদুর পরশ যেন মধুর ঘষা,
কত খোশ ও মজার ঠাট্টা তামাসা,
কত রস কত মধু আহা কি যাদুর ভালবাসা,
বারবার, যেন কিছু নাই বলার তবু কাছে আসা,
জড়িয়ে ধরা, গায়ে ঢলে পড়া অধীর করা, কিযে মায়াময় খাসা,
পঞ্চ রিপু জাগিয়ে তোলা, লগন ভোলা, সপ্ত রসে যেন কানায় কানায় ঠাসা,
কত রঙীন স্বপ্ন আশা, ছিল অকারন কত অফুরান মধুর বচন, কত হাসাহাসি ও বিনোদন ॥
শুনেছি কোমল হৃদয় নারী,
নাকি সে এক যেন পূর্ন মধুর হাড়ি,
কত বাড়াবাড়ি, এই বুঝি হয়ে যায় ছাড়াছাড়ি,
সোহাগ আদর যতন ও কি মায়ায় লয়ে যায় পরান কাড়ি,
পুরুষ কেন সবকিছুতে হয়েও বড় যায় সে হার মানি,
বউ অপরাধি অভিমানি, তবু পরম আদরে লয় সে তারে বুকে টানি,
তবে তাই কি কারন,
একথাও জানা আছে, যত মজা সুখ তার কাছে, তারচে অনেক বেশী রয়েছে যাতনা ও জ্বালাতন ॥
ঘরে ঘরে,  
আহা ভিতরে ভিতরে,
শুনে বিস্ময়ে ও কষ্টে যায় বুক ভরে,
বিষয়টি আজও আছে পড়ে, অজানা গোপন এক বিজন চত্বরে,  
নারীগন অবলীলায় পুরুষেরে করে নির্যাতন, মনের সুখ তাই নির্বাসনে আর শান্তির ঘূম বিজন বনে করেছে পলায়ন ॥
কত শত মহাবীর,
আছে ঢের কামান গোলা ঢাল ধনূ তীর,
জানিনা কেন দেখি আনত যেন তবু সবার হৃদয় শির,
নাই গতি নাই ছাড়, যতবড় সেনাপতি আর মন্ত্রী ও রাজা উজির,
গুমরে কেঁদে মরে তবু চোখে নাই একফোটা জল,
যেথা সব বাহাদুরি, কৌশল, ছল ও বল সকলই যেন হয় বিফল,
কেউ জানেনা করেনা তা দরশন, নিরব ঐ কান্নার রব কোনদিন কেউ করেনা শ্রবণ ॥
কে কার খবর জানে, পায় ও রাখে,
বেশী ধন, বিদ্যা ও ক্ষমতার আসন হলেই বুঝি মানূষ ভাল থাকে,
আসলে কি ভাই তা আছে,
ঝলমলে প্রাসাদে যত সুখ মনেহয় সবার কাছে,
কোটি পুরুষগন, গোপনে নিরবে সহে, আহা তবু কারেও কভূ নাহি কহে, কত নির্মম ও করুন সে আচরণ ॥
তবু করেনা নালিশ কেউ,
যদি বেড়ে যায় উথাল সাগরের ঢেউ,
নাই কোন আইন হয়না মামলা,
যদি আবার হয় আরও বেশী ঝামেলা,
কাঁদা ছোড়াছুড়ির এক নোংরা তামাসার খেলা,
যূগ ভালোনা, তাই বলাও যায়না, হতেও পারে সন্ত্রাসী হামলা,
তাতে হতে পারে সংসার ছাড়খাড়,
শেষে তার ইতো যাবে মান, হবে হার,
তবে কি উপায় আর, সমাধান ইবা কি তার,
চাহেনা কারো কাছে, বলো কে এমন আছে করিবে তার বিচার,
উত্তর হলো, গোপনে নিরবে আল্লার কাছে বলো আর,
পথ খুঁজে পায়না যখন, শুনি আপন ভাবনার সকরুন হাহাকার,
মোর মন বলে আমি এক বন্দি আর, এ পৃথিবী আমার যেন এক নির্মম কারাগার,
শুধু সহন আর সহন, কি করা আর কোন বউ নাই যখন, বুঝেছি এক বউ বলেই সে এত সাহসী হয়ে করে এমন নির্যাতন ॥
জানি শুধু একটাই তার কারন,
সংসার সন্তান মানসম্মান পারিব কি দিতে আমি বিসর্জন,
তাই এত বাহাদুরি, দুঃসাহস, দূর্ব্যাবহার, অবহেলা, অপমান ও হুমকির তর্জন,
মৌচাকের এক রানী মৌমাছি,
মরন নয়, তবু যেন একেবারে তার কাছকাছি,
হুল ফুটায় মধু খাওয়ায়, তাই নিয়ে আমি ভাই কোনমতে বেঁচে আছি,
মোর আর কোন বউ নাই, ক্ষমতা তাই তার এক মহারানীর মতন, আমার রাজ্য কিবা ভূবনে সে যে শুধু একজন ॥
পুরুষ নীরিহ অসহায় প্রানী,
এক লোভী মধুকর, অতি অল্পই অভিমানি,
এত সয় মেনে লয়, সহজে হয়না করেনা কেউরে পর, সব বুঝে ও জানি,
যদিও পালাতে চায়, তবুও ধরে তারে ঘরে নিয়ে যায়, আর বারবার বুকেতে লহে টানি,
কঠিন বীরহ লগন,
সেতো সামান্য কয়দিন কিছুক্ষন,
তারপর সব ভূলে যায়, উঞ্চতায় কাছে যখন পায়, আবার সংগোপনে বধূয়ার সনে হয় তার মধুর মিলন ॥