হচ্ছে শিকার কাছের মানুষ ও আপনজন,
ঘটিছে এমন কত অঘটন খুঁজে পাওয়া যায়না খুনী কিবা তার কারণ,
সবাই তারা পরিচিত জন, মানুষ কেন মানুষ কেমনে অবলীলায় করছে মানুষ খুন ॥
জীবনের কত রঙ আর কত রুপ
প্রকাশে গোপনে দেখেও সহস্র জন করে থাকে চুপ,
যূগ যূগ যায় অশ্রু পড়ে গড়িয়ে স্মৃতির মায়ায় বুকে জড়িয়ে জ্বালিয়ে আগরধূপ,
মানুষ কেমনে হয় এত নিষ্ঠুর পাষান, কেন হয় পশু আচরণ কোথা পায় এত বদ গুন ॥
নাই কেন মনে মরনের ভাবনা ভয়ের রেশ,
না হতে দায়গুলি পরিশোধ শেখা জানা দেখা শেষ,
নষ্ট মানুষ মন্দ লোক অপরাধী আসামী বাহিরে সুজন বেশ,
এমনি করেই এক এক করে মরনের দেশে সবাই হবে হচ্ছে নিরুদ্দেশ,
জীবনে কত বিষাদ,
হতেও পারে কলংকের অপবাদ,
করে দিতে পারে পরকাল ও আখেরাত বরবাদ,
ছোট্ট একটা ভূল পা পিছলে এক চুল অনেক মাসুল বহু খেসারত একটা পাপের দরুন ॥
চলছিল ঘূষাকানা,
পীড়া দেয় ও দেয় তাড়না,
হাওয়া থেকে পাওয়া তথ্য ও ধারনা,
লক্ষন ও আলামত তাই বলে করেনা তা মানা,
বলে সাধারন জনগন তা নহে স্বাভাবিক মরন ছিল এক পরিকল্পিত খুন আসামী তার স্ত্রী ও এক তরুণ ॥
মানুষ কেমনে হয় এত নিমকহারাম,
একি কলির কাল মানুষের কাছে নাই মানুষের কোন দাম,
এক টেবিলে খায়,
একঘরে এক বিছানায় ঘুমায়,
সন্তানেরা বড় হলো, কোনফাঁকে যূগ যূগ কেটে যায়,
পরকীয়া প্রেমের ছোয়ায়,
পরম প্রিয় বন্ধু গোপনে দূষমন হয়ে যায়,
বাধিয়া রাখিতে পারেনা আর এক সূতায় পবিত্র ভালোবাসায়,
মানুষ কেমনে হয় এত বেঈমান নিষ্ঠুর বর্বর পাষাণ খেয়ে এত মন্ডা মিঠাই মধু নূন ॥
খবরটা শুনে মাথায় দিলো ঘাম,
স্মৃতিতে ক্ষনিকের তরে আমি হারিয়ে গেলাম,
বহুদিন আগে একদা আমরা সিলেট বেড়াতে গিয়েছিলাম,
বরকে সংগে নিয়ে দেখি হেথা গিয়ে বরের নেই তেমন কদর কিবা দাম,
আগের চেনাজানা ভাবের বিয়ে বুঝিবা তাই, বিয়েতে ছিলনা তেমন কোন ধূমধাম,
অল্প সংখ্যক মেহমান বিয়ে হলো, আমরা যাই পাইকি না পাই বরেকনে পেলো তার পছন্দের সাম ।
কনের ছিলনা বাবা তাই,
আয়োজক ছিল বড়বোন ও দুলাভাই,
বর ও কনে ছিল শ্যামলা ও লম্বা গড়ন দুজনেই,
সাদামাটা সাধারন তারা ছিল এমন কারোই কোন চাওয়া নেই,
বিয়ে হয়েছিল যেখানে তারপর বসবাস ও আততায়ীর হাতে মরনও হয়েছিল তার ঐ বাসাতেই ।
বর অল্প বিদ্যায় বিদ্যান,
হলো তার কুমার জীবনের অবসান,
এমন সহজ সরল মানুষ যার কোন জুড়ি নাই,
সাধারন চাকুরী তাই কালেভদ্রে আসে বাড়ী অল্প কামাই,
তবুও থাকেখায় ভালোই দিন যায় তেমন কোন দায় কিবা ভাবনা চিন্তা নাই,
বিনা ভাড়ায় আধাপাকা ঐ বাড়ীতেই থাকা,
লন্ডন প্রবাসী বছরে একবার দেখে যায় আসি জীবন যাদের রঙমাখা,
কত কষ্ট চাপা ক্ষোভ ও অভিমান কে জানিত ছিল অভিনয় আর ঐ হাসিটার আড়ালে ঢাকা,
বোনদুলাভাই বৃটিশ নাগরিক কত ভোগ ও বাসনার হিড়িক সোনালী স্বপ্ন তাদের চোখেমোখে আঁকা ।
দিন গড়িয়ে যায় চলছিল জীবন,
ঐ নব দম্পতি বাবামা হলো, ছেলেমেয়ে তাদের পাঁচজন,
কি করিবে ছোটরা, বড় দুই ছেলে ও মেয়ে কবেই করেছে বৃটেনে গমন,
ছিল তিনটে দুধেল গাই,
সকালের দুধ বেঁচা আর বিকালেরটা খাই,
এ দুজনে ছিলনা তেমন ভালোবাসা,
কেন সুখ নাই আছেতো তাদের দুইটি পেশা,
অল্প অল্প করে জমছে টাকা ছিল এ ধারনা ভাসাভাসা,
তিল তিল করে উঠল গড়ে হলো একটা দোকান ও ছোট্ট ব্যাবসা,
বাড়ীর জায়গা কেনা হলো, পূরণ হবে এবার নিজের একটা বাড়ী করার আশা ।
একজন স্ত্রী মা ও গৃহকর্তৃ হলো বেশ্যা,
বড়ছেলের বন্ধুর সনে এ কোন বিকৃত মেলামেশা,
গোপনে একজনেরে ধরেছে যৌনাচারের ঐ সর্বনাশা কালনেশা,
বিধাতার লানত ও অভিশাপ,
সমাজের কলংক পরিবারের আতংক স্বজনের কষ্ট ও পরিতাপ,
নাই বিবেকের ভেদবিচার মন্দভালো সাদাকালোটার যাচাই বাছাই ও তার কোন পরিমাপ,  
অবক্ষয় হলো তাই,
যদিরে তরতাজা ফল পাই,
তবে কেন তা নর্দমা হতে কুড়িয়ে খাই,
কেমনে তারা করে মানুষ হবার বড়াই, মূর্খ না হলে কেউকি হাতে লয়ে খেলে জলন্ত আগুন ।
সুখে দুঃখে ও বিবাদে ঝগড়ায়,
কেউ যেন হায় তবু লাগেনা কারো গায়,
স্বামীস্ত্রীতে এক মশারীর তলে শোয় এক বিছানায়,
কোনফাঁকে একএক করে চুপিসারে বহুদিন এভাবে চলে যায়,
কেন এমন যেন কেউ কারো নয় আপন, মনের খবর নাহি রাখে নাহি পায়,
তার দুই মেয়ে তিন ছেলে,
এত সুখের এমন সোনার সংসার ফেলে,
কেউকি কভূ হয়রে এমন সে, কালরাক্ষুসী ডাইনী না হলে,
বাড়ীর ভিতরেই পুকুর আর,
পানিতে মাছ ও তার পারেই গরুর খামার,
কি চাই আর কিবা তার আরও দরকার কি প্রয়োজন, তবু ভরেনা কেন হায় তার ক্ষুধিত তৃষিত মন ।
অতিশয় স্মার্ট ঐ রমনী ঘরে,
নাভীর নীচে তার শাড়ী কাপড় পড়ে,
কনটেষ্ট কালার ব্রেসিয়ার পাতলা ব্লাউজের ভিতরে,
উদোম সারাটা পিঠ ইচ্ছে করে হাতদুটি মোর হেথা বিচরে,  
ভাব দেখে মনেহয় বুঝি এখনই যাবে সে ঐ দূর নীল আকাশে উড়ে,
হাতাকাটা ব্লাউজ যখন পড়ে সাজ দেখে মনেহয় ডানাকাটা পরী মাটির ঘরে,
পঞ্চাশ ছুই ছুই এক বেহায়া নারী আয়নায় দেখেনা আপন মোখ বয়সের হিসাবটা নাহি করে ।
হলো মেয়ের বিয়ে তার,
জামাই বোনপূত্র বাড়ীওয়ালা স্বামীর ভায়রার,
একই স্বপ্ন লক্ষ্য ও আশা ছিল তাদের মনেতে সবার,
লন্ডন লন্ডন যেতে হবে লন্ডন,
বড়ই সুখ আরাম ও আয়েশের সোনালী জীবন,
দূর্লভ সোনার হরিণ বৃটিশ নাগরিকতা,
সে যেন এক অন্ধ মানুষের মন্দ মোহ মহাবিজয়ের বারতা,
বড় ছেলের সমানে একই কলেজে পড়ে,
স্থানীয় তার এক লম্ফট বন্ধু প্রায়ই আসিত ঘরে,
তারপর একাই আসিত যখনই তার মনে চায় ইচ্ছে করে,
আন্টি আন্টি করে ঢুকে পড়ে শোবার ঘরে গিয়ে শোয় বিছানায় কথাবলে গায়ে ধরে,
কে তারে ফিরায় বুঝি এমনি করেই হায় পাপের বোঝাটা তাদের সহসা গেলো ভরে ।
ঢোলের বারি নাকি কাপড়ের তলে নাহি রয়,
যা রটে তা কিছুটা হলেও সত্য বটে গুনীজনেরা শুনেছি তাইতো কয়,
সত্য কভূ সে নহে অসহায়,
কেবলই সে বাতাসে ভেসে বেড়ায়,
যতই তিক্ত মন্দ কিবা গোপনে থাকনা হায়,
নাহলে কেমনে অনেক দূরে বসে এই রাজধানী ঢাকায়,
কুৎসিত সে খবর শেষে ছোট বড় আপন পর সবাই শুনিতে ও জানিতে পায় ।
বিকৃত ঐ লোভ সাধ তার,
বিপথে বেসরম মায় পা বাড়াবার,
এক কুমার রাজপূত্রের সনে করিতে সংসার,
ঐ রানী সাহেবার অন্ধকার রাজ্যটা ছিল অতি দরকার,
নাহলে কি এত প্রয়োজন ছিল নীরিহ স্বামীকে তার খুন করিবার,
এই নিয়ে মা-ছেলে হয়েছিল কতদিন কতবার চিৎকার চেচামেচি বাড়াবাড়ি ও লংঘন সীমানার ।
বিয়ে করে পূনঃরায় বাধা ঘর,
সম্মানজনক ও শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদের পর,
হতে পারতো, আর সেইতো ছিল অনেক ভালো ও সুন্দর,
বিভৎস্য মানষিক বিকার পরকীয়া প্রেম,
জীবন সংসার ধ্বংস করার তা হলো এক আধূনিক ফ্রেম,
তা ভ্রষ্ট মানুষের এক নষ্ট কাম,
ঘৃন্য কাজেরও মানুষ দিয়েছে কত সুন্দর নাম,
টাকা আছে আর সুন্দর পোষাকের বাহার তাই পায় সালাম,
আসলে এ সমাজে ও আল্লাহর কাছে নেই তাদের সামান্য এতটুকু দাম,  
একজন বাহিরে বেনামাজী মদখোর ও জুয়ারী আর,
ঘরে তার স্ত্রী মশগুল হয়ে কাঁচা বয়সের এক যূবকের সনে লিপ্ত রয়েছে লয়ে ব্যাভিচার ।
জীবনে আছে কত সাধ কত প্রয়োজন,
সাধ্য কিবা সুযোগ নেই তাই বুঝি হয়না সাধন,
যারা কপাল পোড়া হাতপা থেকেও খোড়া ভাগ্যটা এমন,
পড়ন্ত বেলা হয়ে এলো দিনটাও শেষ,
সন্দেহ নাই নতূন সফরে হবো আমরা সবাই সহসা নিরুদ্দেশ,
শূণ্য হাত আঁধার রাত আর হবেনা প্রভাত দীনহীন বদন মলিন অতি সাধারন অসহায় বেশ ।
গুনাহ নহে বরং পূণ্যময়,
স্বমেহন বা হস্তমৈথুন দোষের কিছু নয়,
মনের নাম মহাশয় তারে যাহা সহায় তাহাই সয়,
যারা এমন নয়, সহিতে ও সহাতে ব্যার্থ, প্রয়োজনটাই জরুরী হয়,
কে দেখিল কে জানিল কেনইবা আর এত ভাবনা তার কিসের লাজ বা কিসের ভয়,
মানহানী কিবা স্বাস্থ্যহানী নহে সুখ-আনন্দ পান কষ্টের কিছুটা হয় অবসান তবে তা নিশ্চয়,
জীবন পুড়ে ছাই আর কোন গতি নাই তচনচ করে ঘর কালবোশেখী ঝড় হেন যৌবন যার,
বেসামাল এক তরী যেন ভাংগা হাল, বিজন প্রান্তহীন মরুপথ নাই যেথা কোন রথ হতে চায়না শেষ ও পার ।
করিছে গ্রাস যেন ধরিছে সবারে মরন কামড়ে ধ্বংসের যম,
সেকি নহে পরকীয়া প্রেম বা অবৈধ যৌনাচারের চেয়ে অনেক বেশী উত্তম,
সারা গায় ব্যাথা আর বেদনার সর্প বিষ,
কাহারে বলিব কারে ধরিব কার কাছে দেবো নালিশ,
এ দেহটা আমার করে হাহাকার, কে করিবে তার মজাদার মর্দন ও মালিশ,
কেউ নাই এমন যার জড়িয়ে ধরে বুকভরা হাহাকার আর মন জুড়াবার নিদানে বন্ধু পরম একটা নরম কোলবালিশ ।
দেখতে লম্বা ও মোটাসোটা কালো বেগুন,
সারা বছর চড়া দাম যার কে বলেছে তার নাই কোন গুন,
সুখেদুঃখে আপন ভূবন বুকে সবে ভালো থাকুন ও ভালোয় বাঁচুন,
ঝরঝর বর্ষায় সব কালিমা ধোয়ায় যা ফেলে রেখে যায় পোড়া ফাগুন,
স্বাদ নিন তার চেটে দেখুন, দেওয়া আছে ঠিকঠাক টকঝাল ও তেল চিনি নূন,
সরিষায় আছে তেল ঘাসফুলে মধু একফোটা লয়ে হাতে গভীর রাতে তা গায়েতে মাখুন,
এমন জিনিসেরও আছে অজানা কত আনন্দ সুখ ও রস মজা আছে তৃঞ্চায় জল যেথা দাউদাউ খলখল অদেখা আগুন ।
কোথায় রয়েছে পড়ে বিধাতার,
কোন সৃষ্টি যার হাজার গুন ব্যাবহার ও অসীম উপকার,
কোন নেয়ামত দান কুদরত অফুরান অজানায় পড়ে আছে হাতের কাছে অবহেলায়,
যে ই শোনে প্রকাশে গোপনে ছিঃ ছিঃ করে সর্বজনে ধিক্কার দেয় ঘটনা শুনে বেজায় মজা ও সুখ পায়,
অ মানুষ নরকে প্রেম নেই আছে শুধু আগুন,
আর কত পাগলের মত চলা কেনইবা মিথ্যা বলা এবার জাগুন,
বৈশাখের সামাণ্য ধানচাল নাহয় ভাদর-আশ্বিনের লাগি যতনে তুলে রাখুন,
অপার বিশ্বাস আর নির্ভরতার,
নাহয় হলোইবা সবকিছু একটু কম কম তার,
তবুতো সবার সেরা ও উত্তম স্বর্গ সম পরম শান্তি সুখের সংসার,
নষ্ট প্রেমের যে যৌনাচার নরক বানায় অভিনয় ও প্রতারণায় তা হতে বাঁচুন,
আর কত কলংক নিন্দা ধ্বংস অপবাদ র্ভৎসনা ও তিরস্কার,
মানুষ কেমনে হয় সেরা এত গলদ রেখে মূলে তার না যেন হয় আর অবক্ষয় ও হার,
কোটি মানুষ পড়ে আছে কোন ভূলে,
দেখুন তা ভাল করে তৃতীয় নয়ন খুলে,
আর নিজেরে ও এ জীবনটারে না হারাতে তা চীরতরে আঁধারে একবার করুন আবিস্কার ।
শুনেছি করেছিল নাকি তারা শেষে বিয়ে,
পাঁচজনের মা এক বুড়ি রমনী কনে ও যূবক বর কাজীর অফিস মসজিদ কিবা কোর্টে গিয়ে,
দুদিনের উথলে উঠা প্রেম আর কত সম্মান,
কদিন করিল আড়ালে ঘরে ও বাহিরে চুরি করে মধুপান,
নাগর তার অর্ধেকের চেয়ে কম বয়সী যে ছিল আপন বড় ছেলের সমান,
একি তবে ডিজিটাল অবৈধ প্রেমের এক জঘন্য নৃসংশ বলিদান,
যার কুফল ও কুফসল বহিল গৃহমাঝে, আবৃত মন্দের ঢল এ সমাজে, নীরিহ ঐ মানুষটারে দিতে হলো প্রাণ ॥
ঐ অসহায় বাবার,
জানতো সবাই থাকতো দুজন দেহরক্ষি তার,
তবে তা কারো জানা ছিলনা কেন তা হয়েছিল সার্বক্ষনিক দরকার,
কেন রহস্য উম্মোচন হলোনা,
কে করেছিল তাদেরে হুশিয়ার কিবা মানা,
আজও সহস্র মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ও সন্দেহের দানা,
তবে এমন সন্তান ঐ বাবার না থাকাই কি ওরে বেশী ভালো ছিলোনা,
অপরাধ ও অপরাধীর সংগে কেন নতজানু আপোষ কার কতটুকু দোষ কেন জানা হলোনা জানতে কেউ দায় নিলোনা ॥  
কমকরে তা আগামী একশত বছর,
অসৎ বাবামায়ের ঐ নষ্ট সন্তানের মাথার উপর,
কেমনে মানিল হায় সন্তানেরা তার,
পরাজয় হার করিল আপোষ কেন দিলো খুনীদের এত ছাড়,
এইকি রক্তের বাধন এই কিরে উত্তরাধিকার,
কোন অপরাধী পেলোনা সাজা বা হলোনা কারোই বিচার,
মাফ হবেনা জরিমানার দায়ভার,
ক্রন্দন রত এক অসহায় মজলুম বাবার মৃত আত্বার,
যদিও তারা না শুনিতে পায় যতদিন রবে ঐ আর্ত চিৎকার ও হাহাকার,
বিবেকে না বাধে না তুলে নেয় কেউ আপন কাধে করুন নির্মম এ হত্যার বিচারের দায়ভার,
দায় নিতে হবে দিতেই হবে খেসারত সবে ততদিন বহিবে এই দূরন্ত দামাল ঝড় ॥
অনেক প্রশ্ন অনেক রহস্য অনেক অজানা,
তার ছেলেমেয়েরা কি ছিল সবাই অশিক্ষিত মূর্খ অবুঝ কিবা কানা,
ঐ কুমার রাজপূত্র এ ভয়ংকর অঘটন সূত্র ও দেহরক্ষিরা সবাইতো ছিল তাদের সবার জানাচেনা,
জবাব দাও কথা বলো,
জানতে চাই তাহলে একটু পিছনে যাই চলো,
কেন দূরে অক্ষাত বেসরকারী এক হাসপাতালে আহত মূমূর্ষ স্বামীকে ভর্তী করা হলো,
ভেবে বিস্ময়ে হতবাক হই,
চিকিৎসার সব কাগজপত্র ও রিপোর্টগুলি ইবা কই,
তারপর যখন বাবা তাদের মরে মরে,
নেওয়া হলো ঢাকা দেখাতে আদর ও আছে অনেক টাকা এম্বুলেন্সে করে,
গলায় ও পিঠে ছিল দুতিনটি আঘাত,
শুধু সেলাই আর ব্যান্ডেজ দিয়ে চলল চিকিৎসা চারদিন পাঁচ রাত,
আপন ভূবনের আঁধার রাত কেনযে কারোই শেষতক আর হলোনা প্রভাত,
স্বামীর সংগে স্ত্রীর নাহয় হতে পারে, তবে বাবার সংগে সন্তানের কিসের ঐ সংঘাত,
কেমন স্ত্রী কেমন ইবা সন্তান,
নিষ্ঠুরতা কেমনে করিল মায়া মমতার অবসান,
যেমনই হোক সে ছিল স্বামী ও পিতা, এ সংসারে তার কি ছিলনা সামান্য কোন অবদান ॥
খুনীরা ছিল ওরে,
একাধিক জন ঘরে ও বাহিরে,
সন্ত্রাসী খুনীরা পুরুষ ও মহিলারা মিলে কিরে,
ঐ সবারে রেখেছিল হাতপা ও চক্ষু বেধে প্রহরায় ঘিরে,
বিবেকটারে ঢেকে কোন সে মোহ ও নেশা কিবা ত্রাসের ঘন কালো আবিরে,
এত বড় সন্ত্রাসী হত্যার হামলা,
নৃসংশ খুন তবু হয়নি কেন তার কোন মামলা,
হলোনা কেন তার কোন জিডি কিবা এফআইআর,
পোষ্ট মর্টেম হলানা কেন, কোন আসামী যেন ধরা না পড়ে তার,
সেদিন তার ঐ কফিনের শবযাত্রা জানাজা ও দাফনে,
গিয়েছিল যারা শিক্ষিত স্বজন যে সকল পুরুষগন উপস্থিত ছিলেন তারা দায় এড়াবেন কেমনে ॥
তারপর চতুর ঐ লম্পট,
দিয়েছিল একদিন সুকৌশলে চম্পট,
ঐ বুড়িকে গিয়েছিল ছেড়ে,
আর কত আর কেন তার মোহজালের কালিমার ঘেরে,
জনমের তরে সে যাওয়া হয়েছেতো অনেক পাওয়া তাই আরকি কেউ কভূ হেথা ফেরে,
লয়ে বিশ ভরি সোনার গহনা আর,
স্বামীর পেনসনে পাওয়া বিশ লাখ নগদ টাকা ঐ মহিলার,
ভালবাসার একজন স্ত্রী ও স্বামী,
কে আছে আর ঐ দুজনার কাছে তারচেয়ে বেশী আপন ও বেশী দামী,
যাই হোক যে যা বলে বলুক লোক,
কোন বিঞ্জ পাঠকের সামান্য শিক্ষা বা উপকার হোক বা নাহোক,
মজলুম পায়না বিচার, অপরাধীর হয়না সাজা পেয়ে যায় ছাড় এ জাতীর লাগি এক ভয়ংকর জোক,
তাই আর কত এবার লেখনীর দিলাম ছাড় সেই সনে হলো অবসান জীবনের এই করুন গল্পটার ॥