(এটি আমাদের জীবন জুড়ে ছড়িয়ে থাকা নৈমিত্তিক লাখো ঘটনা প্রবাহের বিশ্ব ব্যাপী মানূষের গড়ে তোলা বিশাল ও বৈচিত্রময় সমাজ চিত্রের ক্ষুদ্র রুপায়ণমূলক একটি প্রাবন্ধিক কবিতা)


চারিদিকে ছড়াছড়ি,
নেই যেন কোন বাধ বিধান বিচারের কড়াকড়ি,
সয়লাব, বিস্তার করিতে চাহে নিবিড় প্রভাব, নানা অপরাধ আর ঘৃন্য ভয়াবহ মিথ্যাচার ॥
কি দেশে কি বিদেশে,
গিয়েছে যেন তা রক্তের সনে মিশে,
মানমর্যাদা দলেপিষে খায় এই ভয়ানক বিষে,
প্রশাসনে, তার মানে হায় বসে ক্ষমতায় রয়েছে যারা,
অর্থের উঁচূ স্তম্ভে কিবা ক্ষমতার দম্ভে যেন শান্ত শীতল দিশেহারা,
এ মিথ্যাচার যেন হয়েছে নিজস্ব সম্পদ তার, বেশী বিদ্যা, বেশী ধন ও বেশী ক্ষমতা যার ॥
দেখি সবাই মিথ্যা বলে,
নির্ভয়ে বুকটান করে বীরদর্পে চলে,
সত্যটারে করিতে চাহে দমন নিধন দুপায়ে পিষেদলে,
আত্বরক্ষার এই যেন ঢাল,
জ¦ালাবেই তারা মিথ্যা ও মন্দের মশাল,  
ভাবটা যেন এমন ওরে, বাঁচাতে নিজেরে আর এড়াতে আপনার নিন্দিত দায়ভার ॥
হয়েছে প্রশ্ন ফাঁস,
কিছুতেই করিতে চায়না তা বিশ্বাস,
বরং যারা তা বলে, তাদেরে নানা ছলে করে বিদ্রুপ ও উপহাস,
আরও অনেক টাকা প্রয়োজন, জীবনে চাই আরও বেশী ভোগ বিনোদন বিলাস,
যারা তার মূলে, নহে ভূলে ইচ্ছে করে সুকৌশলে, যতই অভিনয় করিতে হয় করিবে নাহয় নব ইতিহাস,  
যা বলে কোটি লোকে,
তারা তা বারবার পঞ্চমোখে,
হেন অপরাধী যেন নির্লজ্জ মিথ্যাবাদীর মত করে অবিরত দিবালোকের মত সত্য ঐ পূরো ঘটনাটি অস্বীকার ॥
প্রায়ই পত্রিকায় হয় প্রকাশ,
এখানে সেখানে পড়ে থাকে কত লাশ,
নিরিহ ন্বিঃস্ব দূর্বল অসহায় জন কেন সবলের দাস,
লোভ, ক্রোধ, প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা কিছুতেই যেন হয়না হ্রাস,
তবে কোথায় গেলে তারা পাবে রক্ষা, কেমনে তাদের হবে শান্তির নিরাপদ বসবাস,
ধরে নিয়ে গেল রাতে ফাড়িতে, আর ফিরে এলোনা বাড়ীতে, সকালে সড়কে মৃতদেহ, করেনা কেহই তা বিশ্বাস,
কোন অপরাধে কে ধরে নিল কে করিল এ খূন, দেশে কি নাই আচার বিচার, কেউ নাই তৎক্ষনাত তা দেখার ॥
কে করিবে,
তাদেরে কে ধরিবে,
গন প্রশাসন,
তারাকি দেশ হতে সবে করেছে পলায়ন,
নাকি উচ্চ ডিগ্রী নিতে করেছে বিদেশ গমন,
সবার ভোতা বিবেক আর, অন্ধ হয়েছে তাদের নয়ন,
ঐ যারা হবার কথা ছিল সুবোধ, সুজন, বিচক্ষন ও ন্যায়পরায়ন,
চোখকান বাধা যেন এক নির্বোধ নির্বাক গাধা কেন তারা হলো এমন,
ডিসি পুলিশ সুপার নাকি খোদ মন্ত্রনালয়,
নাহি মেনে লয়, শেষে কার হবে হার কার বা সুনাম ক্ষয়,
এই ভয় ভাবনায়, বারবার থেমে যায়, আসলে কার কাঁধে বর্তায়, যাদের দায় এ আইন ও শৃংখলা রক্ষার ॥
হোক বা নাহোক সে আইনের লোক,
নিরিহ মানূষের মাথায় বাড়ি, কেড়ে নেয় ভাতের হাড়ি, বোকে বর্শার ছেদ শোক,
কে দিলো তারে এ ক্ষমতা ও অধিকার, লোকেরে করা খুন যূলূম ও অত্যাচার, সে কি তবে টাকায় কেনা তার ॥
নিরপরাধ জীবন নিয়ে তামাশার খেলা,
অসহায় করা গোটা পরিবার, যেথা এখন ঘন আঁধার সারাবেলা,
অহমিকা আর দম্ভে মাতন, অন্ধ করে দিয়েছে নয়ন, নিত্য যেন বসে হেথা সরাব আর তাজা খুনের মেলা,
তবে কি এই ধারনা তারে তাড়ায়,
পংকিলে পা বাড়ায়, ঐ শূন্যেতে যায় হারায়,
মন্দের সীমানা ছাড়ায়, জানিনা কি সুখ তারা পায়, কি ভাবনা যখন পকেটে রয়েছে তার যত আমলা ও মিনিষ্টার ॥
যখন রক্ষক,
হতে চায় হয়ে গেছে যেন হায় ভক্ষক,
পক্ষপাত দুষ্ট,
দূর্নীতি অনিয়ম পুষ্ট,
যাচ্ছে ভরে যেন দেশ,
কবে হবে অবসান কবে তা শেষ,
কারা তার কর্ণধার, পোষণ ও পরিচর্যায়, উৎস কোথায় এ মিথ্যা মন্দটার ॥
মনেহয় এমন,
দেশের যত সচেতন,
গন্যমান্য অগনিত ঞ্জানীগুনী জন,
কোনঠাসা হয়ে নিরবে তা করিছে দর্শন,
এলো এ কেমন সময়, পেলাম কেমন জীবন,
দু’বছরের শিশুরে কেমন পশুতে করে কেমনে ধর্ষন,
বদলে গেছে যূগ, মানূষের বোধ বিবেক ও মানবতাহীন মন, এই যদি হয় কেউ নহে কার ॥
বুঝি কেউ নাই কিছু নাই এ দুনিয়ায়,
যারা ন্বিঃস্ব দূর্বল সহজ সরল অক্ষম ও অসহায়,
তবে তারা হায় যাবে কোথায়, পথ নাহি পায়, আর কবে কার কাছে পাবে তার সুবিচার ॥
কেমন অধূনা এ সভ্য সমাজ,
জুড়েছে আসন, এ যেন বাবার সিংহাসন, চেয়ারে বসে কি যত দূর্নীতিবাজ,
জানে কেউ নাহি মানে, তাতে কি আসে যায়, আজ তারাই সেজেছে যেন আপনি রাজ,
অধিক ধন আর ক্ষমতা যার, যেন ভাবছে এ গোটা রাজ্যটাই তার, যখন যারে খুশী করিবে খুন কিবা অত্যাচার ॥
এ ধরাটাকে সরা ঞ্জান করে,
সেজে গুপ্তচর মানূষেরে জোর করে নিয়ে যায় ধরে,
তবে কি এটাই পেশা, ভারাটে খুনীতে যেন গেছে দেশটা ভরে,  
পথের ধূলায় নালা নর্দমায় শেষে ফেলে রেখে যায় কুকুরের মত মানূষ মেরে,
এ বাহুবল, হোক সে যতই বড় দল, প্রাণটার সনে ঐ মহাজনে আর যা কিছু তোমার সবই লবে কেড়ে,
হঠাৎ তার রশিটা ধরে দিবে যখন রাজায় এমন একটা হেচকা টান, যদিও এখন তারে দিয়ে রেখেছে ছেড়ে,
একবার দেখেনা পিছন ফিরে, রাজ সিপাহীরা সদা তাকে রেখেছে ঘিরে, সে যে নজরবন্দি মহারাজার জালের ঘেরে,
যখন কোন প্রশ্ন হয়,
যা রটেছে তা আসলে সত্য নয়,
তারা বলে হয়েছে দুপক্ষের মাঝে গুলি বিনিময়,
এ অপকর্ম্মটার, কেমন সুন্দর একটা নাম দিয়েছে তারা তার, আর তা হলো ক্রসফায়ার ॥
আইনের লোক যারা লোভী, নহে বিবেকবান,
এমন দূষমন গোপনে প্রতিপক্ষের নির্মম প্রতিশোধ নিতে চান,
আড়ালে থেকে পয়সা দিয়ে পেশাদার খুনি কিনে তার শত্রুতার ঝাল মেটান,
হয়ত আছে কোন না কোন এমন ছদ্দবেশী দূষমন করিতে চায় নাজেহাল ক্ষতি নাস্তানাবুদ পেরেশান,
পুলিশ দক্ষ অস্ত্রধারী ফেলে রেখে পোষাক ও গাড়ী ক্ষমতা রাখে তা করিতে সাধন তাইতো প্রকৃত খুনি স্বস্তি পান,  
প্রশাসন হলে কঠোর ও সচেতন হয়ত বেঁচে যেতে পারে শত নিরিহ প্রাণ, কবে হবে অবসান এ ব্যাবস্থার ॥
যারা উর্ধ্বতন,
নাই কি তাদের তৃতীয় নয়ন,
বড় কর্তা হওয়া চাই বড় মন ও মহাজন,
তবে কেন গলেনা বিবেক, বলেনা সত্য কথা চাহেনা মন,
করিতে সুবিচার বিধান, কিবা সত্য উদঘাটন, কবে তারা হবে কায়ঃমন,
জলহীন মরু সাহারার, বুকভরা তৃষা আর হাহাকার, অসহায় ঐ বাসিন্দাগন,
নিরিহ বেকসুর নিরপরাধ, যাদের একটুখানি শান্তি সুখে বেঁচে থাকার সাধ, করিতে রক্ষা করিতে উদ্ধার ॥
নাই এলাকায় কোন কলংক বদনাম,
থানায় কোন মামলা নাই, শহুরে প্রতিবেশী কিবা গ্রাম,  
কোনমতে তিনবেলা ডালভাত খেয়ে বাঁচে করে সাধারন ঘাম ঝড়ানো কাম,  
সরকার ভাল করে ঘটনা জানুন,
কারন জনগন জানিতে চায় তাই ব্যাখ্যা করুন,
রাজনীতিকের চোখে তাদের নাহয় অনেক দোষ, নাই তেমন কোন গুন.
ছাত্র নয়, রাজনৈতিক কর্ম্মীও নয়, ধনী ব্যাবসায়ী নয়, দূস্কৃতিকারী বা সন্ত্রাসী নয় তবু কেন হলো খুন,
এসব প্রশ্ন আর যত অভিযোগ ও ক্ষোভ,
তারা কারা বুঝেনা কিছু টাকা ছাড়া, রাতারাতি কোটিপতি হবার চেষ্টা ও লোভ,
জনতা জানিতে চায়, এর শেষ কোথায়, এ নালিশ নিরিহ দর্শক ও ভূক্তবোগী দূর্ভাগা জনতার ॥
এরা আসলে কারা,
বুঝি তারা বাঁধনহারা লাগাম ছাড়া,
কবে যাবে তাদের মূখোশ উম্মোচন করিতে পারা,
উপায় শুধু একটাই যখন,
সত্য ঢাকার প্রাণপণ বৃথা চেষ্টা এক অদৃশ্য আবরন,
যখন বাঁচার নেই কোন আর অপকৌশল কিবা অবলম্বন,
মনেহয় যেন প্রহসন, থানা ও পুলিশ যখন করে তা অস্বীকার, এ মিথ্যাচার অপরাধের দায় হতে বাঁচার ॥
কেউ দেখেনা তলায়,
ফাঁসির রশিটা তার ঝুলছে গলায়,
দেখেও যেন তারা কেন দেখতে নাহি পায়,
জানিতে মন চায় কি ভেদ রয়েছে তার আড়ালে লুকায়,
দেখে শুনে বুঝেও কেন উল্টো ভান করে পাশ কেটে এড়িয়ে যেতে চায়,
তাদের ভাবটা এমন, পি-পু-ফি-শো ছিল যেমন ঠিক তেমন, তাতে কার কি আসে যায়,
তবে কি উপায় হবে,
তার বিহিত ব্যাবস্থা কে করিবে,
হয়ত বুঝি জানেনা সরকার, এসব দেখার দায়টা আসলে কার ॥
থানা পুলিশ কেন মামলা নাহি লয়,
কে করেছে মানা, দরকার জানা, কিসের ভয়,
কেন হাইকোর্টে গিয়ে নালিশ কিবা আপিল করিতে হয়,
সাধারন মানূষ কজনে তা পারে, কেন এই প্রথা, তবেকি কেউ অক্ষম দূর্বলের দরদী নয়,
এ দুঃক্ষগুলি কারে বলি ভাই, যেন কেউ নাই এসব শোনার কিবা দেখার ॥
ওসি, ডিবি, ডিসি, কমিশনার,
কে আছে তা দেখার, একটা সুরাহা বিহিত করার,
তা দেখে হয় এমন ধারনা,
ঘটছে অহরহ এমন কত শত দূর্ঘটনা,
কেউ চায়না নিতে, বায়না কিবা তোষামোদ খোশামোদ চাপ ও প্রভাব ছাড়া এসবের দায়ভার ॥
আলামত থাকিতে বিদ্যমান,
যখন তখন একটা হওয়া প্রয়োজন,
নাহলে কে করিবে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন,
উচ্চমানের নিরপেক্ষ কমিটি কেন হয়না গঠন, করেনা তদন্ত সমাপন,
তাতে হয়ত হতো সত্যটা উদঘাটন, পড়ত আসামী ধরা আর রহস্য তার ও আসল অপরাধী গ্রেফতার ॥
১ম শ্রেনীর মেজিষ্ট্রেট, র‌্যাব কিবা ডিবি পুলিশ অফিসার,
সরকারী কলেজ অধ্যাপক, দূর্নীতি দমন কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পত্রিকার,
ডিসি প্রধান হবেন যার,
তার উপরই রবে ঘটনাটির তদন্ত, সত্য উদঘাটন, সঠিক প্রতিবেদন ও তার পূর্ন নিয়ন্ত্রন ভার ॥
আলামত ধূয়েমুছে যায়,
আসামী পালিয়ে যায়, ঘূরে বেড়ায় দূর অজানায়,
বহুদিন পর যদিও পড়ে ধরা, বিচারক কেন ঐ খুনের ছুড়িটা দেখিতে চায়,
যদিও আসামী করে ঘটনা বর্ননা ও তার অপরাধ স্বীকার, তবু যূগ যূগ গত হয়ে যায়,
তবু হয়না কেন রায়, হাজতেও আসামী আরামে থাকে খায় ও ঘূমায়, নাহি সাজা পায় ঐ মামলার ॥
রাখিবে আর্তমানবতার সকল খবর,
সব ঘটনায় করিবে তড়িৎ বেগে ঝটিকা সফর,
অতি দরকার, জন নিরাপত্তার এমন একটা অধিদপ্তর,
চোখকান খোলা বিবেক সজাগ, আমলে লবে সদা রবে তৎপর,  
রক্ষা করিবে নাহলে ফিরাবে, নিরিহ দূর্বলের উপর আসুক যতই আঘাত ঝড়,
বিধাতার এক পরিবার, হেথা কেউ নহে কারো পর, এই মন্ত্রে মানূষ পরবাসে বাধো দুদিনের ঘর,
রাখিও মাথার ভিতর, বাদশাহ ফকির, সেনাপতি মহাবীর,
যখন দুনিয়ার ছোটবড় সবাই আসামী হবে, আর হাকিম হয়ে হিসাব লবে, সে করিবে সবার বিচার ॥
প্রশাসন সবাই চুপ করে দেখে,
আবার দেখেদেখে কতজনে ঐ অপরাধটা শেখে,
অপরাধীরা সাহসী হয়,
প্রেরণা পায়, ভয় পাবারতো কথাই নয়,
ধরা পড়েনা, পড়লেও সাজা নয়, টাকার বিনিময়,
লম্বা তারিখ ফালায়, হাজিরায় আসা যাওয়ায় কাটে সময়,
শেষে একদিন ঝোপ বুঝে কোপ মেরে ছাড়া পেয়ে যায় তবে আর কিসের ভয়,
একথা নিশ্চিত জানা, তাই নেই ভাবনা, নগদ টাকার ঘূষ, কিবা নেতার প্রভাব ও চাপ তারে করিবেই উদ্ধার ॥
যে দপ্তর এমন ক্ষমতা রাখে,
জনগন সাদর সম্ভাষন জানাবে তাকে,
সেদিকে সবাই আশায় উম্মোখ হয়ে তাকিয়ে থাকে,
যেথা পাবে সুবিচার, নিয়ন্ত্রন ঝটপট আর তড়িৎ কিবা তাৎক্ষনিক একটা ব্যাবস্থা নেবার দায় ও অধিকার ॥
জনগন তাই  চায়,
অসহায় নিরুপায় মজলুমেরা যেন পায়,
মিথ্যা মন্দের লেজুর নহে দূর্বলের সংগে রহে, সত্য কহে হয় তার সহায়,
সুরক্ষা নাহয় নাহোক, যেন বলিতে পারে লোক, এমন সুজন ন্বিঃস্বের বান্ধব ও স্বজন সরকার ॥
হায় হায় একি,
সবখানে এইতো দেখি,
তাদের কত বল, ঐ অপরাধীর দল, কোন ইশারায় হামেশা পেয়ে যায় তারা জামিন কিবা ছাড় ॥
যদি সবাই তারা,
ঐ অপরাধী আসামীরা,
না পেতো ছাড়া আর সঠিক সাজা হতো,
আর্ত পিড়িত ও ক্ষতিগ্রস্তরা তা দেখেশুনে কিছুটা হলে ওতো সুখ বা সান্তনা পেতো,
একটুখানি যেন পেতো পানি, সয়েছে আহা যত নির্যাতন গ্লানী, অনাচার ক্লিষ্ট তৃষিত ঐ অগনিত মৃত আত্বার ॥
তার কি কারন,
বসে ভাবে অসহায় সচেতন জনগন,
প্রশাসন, দেখে শুনে বুঝে ও জেনে, এত অন্যায় অপরাধ কেমনে লয় মেনে, কেন এমন নির্বিকার ॥
দেশে কি আইন কানূন নাই,
নাকি ভোতা বিবেক অন্ধ নয়ন হয়েছে সবাই,
তাই বুঝি ভরেছে আকাশ বাতাস চারিধার,
মোখ থুবরে পড়েছে নাকি আইনের শাসন কিবা ন্যায় ও সুবিচার,
ফাঁকা প্রিয়ার বোক শূন্য মায়ের কোল, উপচে পড়া শোক মজলুমের কান্নার রোল, কিবা তার অস্ফুট হাহাকার ॥
সে কি তবে নয়,
যদি সত্যটাই বলিতে হয়,
নিজ নিজ দায়িত্ব অবহেলার ও ক্ষমতার হচ্ছে নাতো লংঘন কিবা তার অপব্যাবহার ॥
তারা নির্ভীক সত্যের সৈনিক,
যদি হায় দেশে না থাকিত সাংবাদিক,
যারা অন্ধকারে আলো আর ভালোর প্রতীক,
কে দিতো ছুড়ে তাদের তরে শতকোটি ঘৃনা আর ধিক,
কে বলিত বা আনিত তুলি, কে জানিত নির্মম ঐ ঘটনাগুলি সত্য সঠিক,
কে জাগাতো অচেতন মানবতা, হওয়া বিবেক বিকল, মানূষ নামের পশুর দল করিতে মানবিক,
যাদের চক্ষু নাই কেমনে তারা করিবে বিশ্বাস, চারিদিকে শুনি হাহুতাষ ও সকরুন দীর্ঘশ্বাস আর্তমানবতার ॥
তাদেরই যেন জয়জয়কার,
কবে হবে মিথ্যা ও মন্দের ভরাডুবি হার,
হবে অবসান এ সমাজের যত সব যূলূম অন্যায় অবিচার,
মজলুম পাবে সুবিচার, অপরাধীরা আর কভূ পাবেনা ছাড় পাবেনা পার ॥
তারা রাতে এসে,
বর্গীরা এলো দেশে,
দলবেধে সব ছদ্দবেশে,
চলছে অপহরন ও শুধু খুন আর খুন,
দিনকে দিন, তা যেন বাড়ছে কেন বহুগুন,
ইতিহাস সত্য বলে,
অসৎ ধনের পাহাড় যাবেই টলে,
সব অশুভ শক্তি ও অলীক আশা যাবে বিফলে,
আবু হকে কয়, বিজয় ও সাফল্যের মরন তব না হলে,
একদিন হবে লয় হবে ক্ষয় হবে অবসান,
ওরে কিছু দান করে বাঁচাও প্রাণ, জাতের মান,
যদি রাজায় প্রশ্ন করে পরের তরে কি আছে তোমার অবদান,
কি লাভ সব পাপ অপরাধ লুকিয়ে পায়ের তলে, বর্বর নির্মম অমানূষ পাষান,
যা কিছু তোমার, সব বাজিমাত,
নিপাত যাবে ধ্বংস হবে, হবে সবকিছু ধূলিসাৎ,
তোমার যত যূলূম অন্যায় অবিচার, অনিয়ম দূর্নীতি অত্যাচার আর ধোকাবাজি ও মিথ্যাচার ॥
দেখি সবাই হয়েছে টাকার গোলাম,
যার যত বেশী ধন বেশী ক্ষমতা তারই বেশী দাম,
সবাই ভয় পায়, কর দেয় ভক্তি ও বিনয়ে যেন ঠুকে সালাম,
তাদের তরে, যাদের ঘরে নেই সামান্য সুখাদ্য, সুবসন আর একটু আরাম,
ন্বিঃস্ব ঘরে ঘরে, অসহায় মজলুমের তরে, যাদের সুখ শান্তির ঘূম তাও হয়েছে হারাম,
মানূষের নাই টাকারই বেশী দাম, মানূষ নামের অমানূষেরা করছে যত আকাম আর কুকাম,
বিধাতা তুমি তাদেরে দেখো, আলো ও ভালোয় রেখো আর, সদা খুলে তব সব দুয়ার সাহায্য আর করুনার ॥
রাজ সিপাহীরা বলে,
যার ক্ষমতায় অপরাধ করে ও বুক ফুলিয়ে চলে,
এ বিষয়ে তাদের কিছুই নেই জানা,
তারা ধরে নাই, মারে নাই, এই অপধারনা,
জগতের সব মানূষগুলো বুঝি, হয়েছে বলদ ও কানা,
সজাগ ও সচেতন চক্ষু বিবেক ও মন তা বিশ্বাস করিতে করে মানা,
তবে তারা মানূষ হবে, বলো আর কবে, ভিতরে যাদের নেই জীবে ভালবাসা আজও ঠাসা ঘন অন্ধকার ॥
তারা কি তবে এটাই ভাবে,
সবাই মেনে লবে তাই, তারা যাই বুঝাবে,
কোটি টাকার সোনার থালায় তারা ভাত খাবে,
এ রাজার রাজ্যে সবাই রাজা, কেন পরের কাছে যাবে,
কেন মানিবে হার, কি নেই তার, অনেক লম্বা হাত,
যখন যেমন খুশী রাতকে তারা করে দিন আর দিনকে রাত,
তারা ছন্নছাড়া পথভোলা দিকহারা বাউন্ডেলে,
যোগ দিয়েছে হেন এক ভন্ড দলে, সুপথ ছেড়ে মানূষ হবার মন্ত্র ফেলে,
পোষ্য গোলাম, নিজের ইচ্ছে কথার নেই কোন দাম, করে হুকুমের কাম, তাদের আছে গডফাদার ॥
কত আয়োজন আর,
রঙ মাখানো বহুরুপ তার,
মিথ্যারও রয়েছে কতনা বাহার,
দেশেদেশে যূগেযূগে এ দম্ভ ক্ষমতার,
সব বিভৎস নৃশংসতাকে যেন মানিয়েছে হার,
বহু গন্যমান্য গন, ধন্য জীবন, যারা ছিল এর রুপকার,
মাটিতে হয়েছে লয়, মাটিতে ক্ষয় ও মাটিতেই যার শেষ ঠাই,
আজিকে কোন তার বংশ কিবা বিত্তধনের কোথাও কোন নাম চিহ্ন নাই,
ক্রোধ ও ক্ষমতার পাহাড়, কোথা আজ সে দম্ভ বড়াই যা ছিল শত সহস্র রাজা বাদশার ও রাজ পরিবার ॥
রাজা যদি হয় প্রজার দূষমন,
আর শির নিতে চাহে কভূ কারো, করেই পণ,
সভ্য যূগে বর্বরতার এক নব ইতিহাস তারা করিল বিরচন,
তবে একজন কেন হলোইবা সহস্র জন সেতো এক অতি সহজ ও সাধারন,
বিষয় ও ব্যাপার, করা নিধন কথা মিথ্যে নয়, যতই সে ক্ষমতাধর হয়, এমন একজন খাসোগী হত্যার ॥
আহারে দমে দমে,
ক্ষুদ্র জীবন কাল যাচ্ছে দ্রুত কমে,
পদেপদে প্রতিক্ষনে, অজানায় অতি গোপনে উঠছে গড়ে উঠছে জমে,
পরকে করছ খুন, হাতে লয়ে খেলছ আগুন, পিছনে তাকিয়ে দেখো দাড়িয়ে আছে তোমার যমে,
সত্য হনন,
মিথ্যার প্রসার ও বিপণন,
সবাই নিজেরে ভাবে মহাপন্ডিত,
সব শেষ হবে এ দেহটা হলে মাটিতে সটান চিৎ,
আসলে এক মিথ্যামন্দের ভাগাড় চালায় বিপথে বিপরীত,
প্রয়োজন আরও টাকা আরও ধন, ছলে বলে কূট কৌশলে চায় জিত,
ভূল অন্যায় অপরাধ আর,
অদেখায় একটা বিশাল পাপের পাহাড়,
ফিরে না পেলে সম্বিত, মাথাটা যেন এক মহাঞ্জান ভান্ডার,
না হলে চক্ষু বিবেক ও মন, জাগ্রত প্রসারিত সচেতন কিবা মূল্য তার,
রে সৃষ্টির দূষমন, সহসা আসিবে সমন, তবে নিগুম এ সত্য সমাচার জানা আছে কজনার ॥