( এ কবিতাটি তৃতীয় নয়নে দেখা সহস্র রঙ ও অযুত রুপ আর লক্ষ তার ডানামেলা বিচিত্র এ পার্থিব জীবনের কলমে আঁকা এক বিশদ চিত্র-গল্প )


যে জাতির এত মহান অর্জন আছে,
তারা কেন হেরেছে তবে হায় এ দূর্নীতির কাছে,
ধনের মোহে ভুলেই গেছে, মরণযে দাড়িয়ে আছে লুকিয়ে পাছে,
সব ধন ফেলে মরণে,
যেতে হয় চলে একা নেই তা স্বরনে,
সেতো আর কিছু নয়,
এক ভয়ানক মানষিক বির্পয্যয়,
নেই শিক্ষা ও ঞ্জানের আলো, একাকার যত মন্দ ভালো, বুঝি তাই হয়েছে তাদের হেন পরাজয় ॥    
জানা প্রয়োজন তাই, আসুননা একবার তা যাচাই করি,
যারা ক্ষমতায় ও ভোগ বিনোদন বিলাসে তাদেরে গননায় না ধরি,
তারা কি যোগ দেবে ঐ কাফেলায়, নতূন দেশ গড়ার কঠিন কাজে লেগে পড়ি,
যদি প্রতিবাদ অধিকার আর প্রতিরোধ ও সুবিচার এর দাবীদার এমন একটা সংগঠন গড়ি,  
হাসুক যদিও শুনে বিদ্রুপের হাসি হাসে,
তারা ই নাকি শুধু দেশের বন্ধু, দেশটারে খুউব ভালোবাসে,
বাকীরা সবাই দূষমন, এ বিজয়ের মাসে করি স্বরন, লয়ে পরম ঘৃনাভরা মন এ পরাজয় কি বা কারে কয় ॥
২২,৫০২ কোটি টাকা,
কেমনে ব্যাঙ্ক থেকে হয়ে গেলো উধাও ফাঁকা,
কেজানে হঠাৎ কবে থেমে যায় লোক দেখানো ঐ উন্নয়নের চাঁকা,
চোর ধরা নয়, সবাই ব্যাস্ত রয়, গাহিতে সাফাই কিবা ঘটনাটা দিতে ধামাচাপা ও ঢাকা,
কি হলো, কই গেলো, কে জবাব দিবে, কে ধরিবে প্রতারক, ধোকাবাজ চোর ও ডাকাত আর বিচার করিবে তার ॥
কে হবে দলপতি হেন বিচারক, করিবে মিথ্যা মন্দ ও দন্দের অবসান,
যে নেতা সত্য ও ন্যায়ের বিচারে হবে বজ্র কঠোর লৌহ কঠিন ও তীক্ষ্ন পাষাণ,
সব অপরাধী, ধরে নিবে হাতপা চক্ষু বাঁধি, পাবেই পাবে শাস্তি আর মজলুম পাবে তার আশ্রয় ঠাই ও সুবিচার ॥
ছোট্ট চুরির কেন হয় সাজা,
তোমারে প্রশ্ন করি, হে ওগো রাজা,
রাতকে করে দিন আর দিনকে করে রাত,
দুধেভাতে ভরা তাদের ঐ সোনার থালার পাত,
সবখানে প্রভাব তাদের সবকিছুতেই করে তারা বাজিমাত,
হিংস্র থাবা ও তীক্ষ্ন ভয়াল দাঁত, অনেক লম্বা তাদের ঐ কালো হাত,
সবখানে রয়েছে তাদের সে প্রমান ও ছোবলের ছাপ,
আসামী করে স্বীকার, প্রমান মিলে তবু আগায়না যেন তা একধাপ,
নাহলে কেমনে ওরে খুনের আসামী ধরা নাহি পড়ে, কেনরে পেয়ে যায় মাপ,
সত্য কিবা ন্যায়ের পক্ষে কথা বলে, সুপথে চলে মহাবিচারকেরও হয় কেন সাজা,
বামহাতের কামাই, কালোটাকার জুড়ি নাই, পরম ও চরম সুখে হচ্ছে তারা মোটাতাজা,
আছে অধিকার, জনতা জানিতে চায়,
তবু কেমনে প্রমানিত অপরাধীরা পার পেয়ে যায়,
জামিন কিবা ছাড়া ও ছাড়, কবে যে যার সবাই পাবে তার নায্য উচিৎ শাস্তি ও পূরস্কার ॥
আবু হকে কয়,
আমারতো তাই মনেহয়,
সেদিন বুঝি আর, খু্ব বেশী দুরে নয়,
জনতা দেখিবে কার কত দায়ঋন, মজলুমেরই হবে জয়,
আসিছে সমন, পাবেনা জামিন, রাজা ও বিচারকেরও একদিন নিশ্চিতই হবে বিচার ॥
কেন কেউ জানেনা হায়,
তবে কি তা এমন যে, বেড়ায়ই খেত খায়,
কে নিলো ঐ টাকাগুলি, কিভাবে কবে তা গেলো কোথায়,
বাড়ীগাড়ী ও এত টাকা বেতন পায়, তবু নেই যেন হায়, তা দেখার কি কেউ ছিলনা যার ছিল দায়,
ঐ টাকাগুলি কি অবশেষে আর হয়েছিল উদ্ধার, তাহলে তারা কি এমনি অনায়াসে চীরকাল পেয়ে যাবে পার ॥
শোনা যায়, ব্যাঙ্কের সোনা হয়ে যায় তামা কিবা নকল,
তারা যা বলে তাই কি সত্য সঠিক, জনগন এখন বুঝি হয়েছে সবাই বলদের দল,
এ তথ্য কি শতভাগ সঠিক,
আলো ও ভালোর দিশারী তারা সত্যের সৈনিক,
নয় ডিসেম্বর উনিশ শত আঠারয় লিখেছে যারা তুখোর সাংবাদিক,
কিছু সংক্ষক পুলিশ ও বিচারক,
আর আদালতের সবাই যেন ধূর্ত তৃষিত চাতক,
যত ঠক ও প্রতারক, চোখেমোখে তাদের যেন নিত্য খুশীর ঝিলিক,
জীবন জুড়ে, শুধু খায় কুড়ে কুড়ে, মাথাভরে ঘূরে কালোটাকা উপার্জন আর ভোগবিনোদন হিড়িক,
যুক্তি করে সবাই মিলে,
মিলেমিশে জড়ো হয়ে এক দলে,
ভাগাভাগি করে খায় সকলে, নানা কৌশলে,
নাহলে কেন দেখি যেন কেউ কারো কথা কিবা নামটা নাহি বলে,
সবাই বলে তা চুরি নয়, ডাকাতি নয়, তবে কি বলব তাকে কি ঘটেছে আসলে,
সে এক অত্যাধূনিক সুপরিকল্পিত ও অভিনব অর্থ আত্বসাত ও স্বর্ন পাচার, যার সনে হাত আছে খোদ রাজার ॥
আহারে টাকাতো নয়,
তারা যেন অপার গুপ্তধন করেছে জয়,
মনেহয় তারচে কঠিন যোগার করা, এতগুলি বড়ই পাতা,
বুঝি তাই চুপ করে সবাই, ভাবনা চিন্তা কিবা বুঝি কোনকিছু করণীয় নাই, একটু ঘামেনা কারো মাথা,
এ খবর শোনে জনতা হয়ত হয় হতবাক,
কার কি আছে করার, তাই চুপকরে সবে শুধু চেয়ে থাক,
কি আসে যায় সাংবাদিক কিবা যে যাই বলুক,
যে যার ইচ্ছে খেয়াল ও খুশী মতই তবে চলছে যখন চলুক,
দলের হলে সবাই বলে, প্রভাব কৌশল ও সমর্থন সবই আছে তার, সবখানে পক্ষপাত অবিচল অন্যায় আর অবিচার ॥
কেমনে হলো হরিলুটের দেশ,
কে দেবে জবাব তার, কবে তা হবে শেষ,
জনতার মগজ ধোলাই আর তা এক সান্তনার আয়োজন,
জনগনেরে প্রতারনা কিবা ধোকাবাজির এক সম্ভ্রান্ত প্রহসন প্রদর্শন যা করিবে উত্তাপ প্রশমন,
সবাই শোন, হয়েছে গঠন করা সহসা পড়বে চোর ডাকাত কিবা খুনী ধরা উচ্চ পর্য্যায়ের একটা তদন্ত কমিশন,
এদেশের পুলিশ পারেনা নাই কিছুই এমন,
তবে কেন পারেনা বা কেন করেনা সবারই জানা তার ঐ দুইটি কারন,
পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী ও আদালত সবাই যেন কেনা গোলাম, তাইকি করছে তাদের তাবেদারি, সহযোগীতা ও সমর্থন,
সেতো আর কিছু নয়, ক্ষমতায় যারা তাদেরে কি কেউ কিছু কয়, তাদের দখলে রাজকোষ, অস্ত্রাগার ও সিংহাসন,  
তিন গোপন মন্ত্র, যন্ত্র ও তন্ত্র রাজার অসীম বিত্তধন, মহা ভোগবিলাস ও ঐ মহা ক্ষমতার ॥  
কজন বরখাস্ত হলো কিবা চাকরী গেলো তাতে কি লাভ, আর এই কি সমাধান কিবা সাজা,
অন্যায় অপরাধ চুরি যারা রক্ষি রক্ষক ও প্রহরীর দল তারাকি সকলে খেয়েছে ঘূষ কিবা গাঁজা,
তবে এখন কি উপায় আর, অ ভাইজান, কে দেবে জবাব তার,
মনে প্রশ্ন জাগে, শেষ পরিনতির ভয় লাগে, তবে কি ঘূনে ধরেছে দেমাগে রাজার এখনই চিকিৎসা দরকার ॥
বিভৎস্য ও বিস্ময়কর,
শোনা যায় যত সব চাঞ্চল্যকর খবর,
জনতা জানিতে চায়, আছে অধিকার, জানাতে হবে কি হলো তারপর,
অজানা রহস্যের ভেদ, মনে কত খেদ অতল,
কি হলো তার, শেষ পরিনতি আর কিবা হলো তার রায় ও ফলাফল,
সেতো আর কিছু নয়,
এ হলো ডিজিটাল রাজনীতিরই জয়,
কে বলিবে না, তা দূর্নীতিরই এক বিশাল পরিচয়,
বড়ভাই রাজনীতি ছোটভাই দূর্নীতিরে বলে ওরে কিসের এত ভয়,
আমি আছিনা, যা খুশী করে যা, করব না মানা, শুধু আমার ভাগটা যেন ঠিক রয়,
তাইতো সবাই তার পেশা, চাকরী ও ব্যাবসা ফেলে দলেদলে ঐ মাঠে গিয়ে ধর্না দেয় জড়ো হয়,
তারাই জাতির রক্ষক ও পাহাড়াদার,
গল্পগুলি সবাই জানে, কত তা চমৎকার ও মজাদার,
চোরকে বলে চুরি কর, হুকুম নাই ক্ষমতা নাই ধরি কিবা তার কোন অধিকার,
তাই দেখেও দেখেনা ভাই, সারা রাত ঘূম নাই, হাক দিয়ে ডেকে বলে মহল্লাবাসী সাবধান হুশিয়ার ॥
হলে দলপতির কৃপা ও সুমতি,
কিসের ভয়, নাই ভাবনা কিবা হবেনা কোন ক্ষতি,
কথামত সব হলে বাটোয়ারা ঠিকঠাক নেতাই তার ভরসা ও গতি,
রাতারাতি আংগুল ফুলে হয়ে যায় কলাগাছ, একেবারে শত সহস্র কোটিপতি,
ঝড়ঝাপটা বিপদ আপদ নিদান যতই আসুক সকলই লাঘব হয় নেতা যদি সদয় থাকে তার প্রতি,
কারো ঘরে নাই সবজি মাছ ও চালডাল,
কোটি টাকা কারো কাছে যেন ঝড়া গাবের পাতা কিবা মরা গাছের ছাল,
এ দেশের সিংহভাগ তহবিল ধন,  
তবুতো হচ্ছে দেশের অনেক ভাল উন্নয়ন,
করিছে রক্ষকেরা, আত্বরক্ষার এক দূর্গে ঘেরা লুন্ঠন,
নাহলে হয়ত হতো আরও বেশী উন্নত, পশ্চিমা ঐ দেশগুলির মতন,
গডফাদার করিবে উদ্ধার, এই হলো সংক্ষেপে রাজ হালচাল, সুশাসন সুবিচার ও উন্নয়ন সমাচার ॥
জনতার রাজ ধন ভান্ডার,
অবারিত রাখা আছে যেন তার দুয়ার,
তবে তা সবার জন্য নয়, এজন্য চাই পত্রছাড়,
রাজা মহাশয় কতযে সদয়, মহত মহান ও উদার,
নিয়ে যাও, যে যত চাও পার, আর যার যত আছে দরকার,
এক দারুন মজার ব্যাপার,
ফায়দা লুটিছে যত কর্ম্মী কিবা চামচা চাটুকার,
দেখা মেলে নির্ব্বাচন এলে কিবা হলে সরকারী উন্নয়ন কাজের টেন্ডার,
ব্যাপারটা যেন অনেকটা এমনই এক তামাশা কিবা দারুন মজার ছেলেখেলার,
নাই ধরপাকড়, নাই বিচার, যে যা নিতে পারে, তারই জিত লাঠিয়াল বাহিনী রয়েছে যার,
কে চায় সে যায় হেরে, যেমন নতুন চরের মালিকানা পায় একটা খুটি গেড়ে, যেন ঐটুকুর মালিকানা তার ॥
সারা দেশ জুড়ে,
কৌশলে দেয় হানা বড়বড় রাজ কোষাগারে,
কেউকি চায়, চুপকরে বসে দেখে ঝিমায় আর শেষে হারে,
তাই হরষে পড়ে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে ও দিচ্ছে যখন যে যেমনে যতটা পারে,
কিভাবে কবে হবে তার গুরুভেদ উদ্ধার, আর উচ্ছেদ অনিয়ম কারচুপি আত্বসাত ও ঐ দূর্নীতিটার ॥
রাজা যদি তাই চায় আর এই হয়,
শুধু তার ইচ্ছাটা আর পক্ষপাতেরই হবে জয়,
তবে এ কেমন আচার ভয়ংকর রেওয়াজ অঘটন ও অবক্ষয়,
যার যা খুশী তাই যদি হয়, কথায় কাজে মিল নেই চলে হেন অনাচার,
আবু হকে কয়, তাকি সত্যি নয়, এমন রাজার বলো দেশে আর কি আছে দরকার যে নহে বাবার মতন জিম্মাদার ॥
কে রক্ষক, রক্ষার দায়টা ছিল কার,
কেন বলিবে, সবাইতো এ দারুন সুবিধার,
সেজন মহা সৌভাগ্যবান বার মজার ভাগিদার,
কার ভূল কার অপরাধ আর কে দেবে মাসুল তার,
খুনী ও চোর নিজেই যদি হয় তার, তদন্তের অফিসার,
কিবা বিচারক তার, আহা তবে কে ধরিবে আর কে করিবে কার বিচার,
কি মজার ব্যাপার, খাসোগী হত্যার বিচারক নাকি নিজেই ঐ অপরাধী রাজকুমার,
তবুও অবসান হবে তিমির রাত,
আলো লয়ে আসিবে নতূন সোনালী প্রভাত,
অক্ষম ব্যার্থ নাহয়, সকল চুরিডাকাতি ও খুনের একক দায়ভার,
কেজানে বদলে সময় কাল হয় কার, নিতেই হবে যতই এখন থাকুকনা কেন নিরাপদ ও নির্ব্বিকার ॥
দেখেছি অনেক ভেবে ভাই,
নাহলে আর কোন পথ উপায়ই নাই,
এমন একখানা পাঠশালা আমি গড়তে চাই,
বিনা পয়সায় ভর্তী হবে, পাঠ করিবে ও শিক্ষা পাই,
মানূষ নামের মানূষ নয়, তবেই হবে সবাই আসল মানূষ,
কালোটাকা আর মেদভুড়ি, দূর্নীতি ও ঘূষ ভোগবিনোদন রঙের ফানুস,
কবরে গেলে ছাই হবে পুড়ি,
আর নয় জঘন্য অপরাধ খুন ডাকাতি চুরি,  
আলো ও ভালোর ঐ আলোকন,
হয়ত তবেই হবে জাগড়ন, পাবে দিক দরশন,
অবক্ষয়ের উপর পাবে সে আসন আর, আসল বিজয়টার অর্জন,
ঐ পঠন, অনূভবে চেতনায় যদি নিজেরে খুঁজে পায়, করিবে আর্দশ চরিত্র গঠন,
যাযাবর ঐ পথিকগন দিক ও পথহারা,
দোচোখে নেশার ঘোর, ভোগ বিনোদনে মত্ত বিভোর দিশেহারা,
একবার তৃতীয় নয়ন হলে উম্মোচন হবে সংস্কার হবে উন্নয়ন হবে শোধন মন্দ ও দূষিত ঐ বিবেকটার ॥
এক সময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি,
আজও চলছে হরিলুট আত্বসাত ডাকাতি ও চুরি,
বোকটান করে চেনা ও পরিচিত খুনী বেড়ায় ঘূরে করে বাহাদুরি,
সিংহাসনে বসে, আপন পাওয়ার হিসাব কষে, মন আকাশে উড়ায় রঙীন ঘূড়ি,
সবখানে হরদম, পিছুটানের কালযম, দেবে জেলে ভরে, ভয় দেখিয়ে কাবু করে দেখিয়ে ছুড়ি,
ক্ষমতা যার, তার হাতেইতো অনিয়ম আর দূর্নীতির লাইসেন্স বা হাতিয়ার, অসীম অবারিত ঐ দুয়ার ॥
সবখানে যদি হয় জয় আর জিত,
শুধু এইখানে তবে কেনইবা দেখি মোরা তার বিপরীত,
সপ্ত গুন যে রাজার, তারে বলা কি দরকার, কোনটা জরুরী আর কোনখানে দেশটার হিত,
জাতির হলে জাগড়ন, সবে জাগ্রত সচেতন, জনতা ফিরে পেলে সে চেতনা নিলে দায় ও পেলে সম্বিত,
হলে দূর্নীতিটার দমন নিয়ন্ত্রন ও মূলোৎপাটন, গড়বো মোরা এক এমন দেশ অক্ষয় ও  মজবুত হবে যার নতুন ভীত,
কেন নয়, যদি কভূ হেরে যেতে হয়, জনতার এ টাকার হিসাব করে ফেরৎ দিতেই হবে সেতো নয় রাজার ॥
হলে ভেংগে গড়া,
নানা অবক্ষয়ের ঘূনে ধরা,
হবে নব সূর্যোদয়, হবে সোনালী ভোর,
একদিন না একদিনতো কাটিবেই তাদের নেশার ঘোর,
যত ডাকাত চোর খুনী ও ঘূষখোর, ভোগেতে বিভোর প্রশাসন আর,
কমবে রাজা ও জনতার দূরত্ব ও দায়ঋন, হলে কায়েম পক্ষপাতহীন, নতূন আইন ও শাসন ব্যাবস্থার ॥
সৌদীআরবীয় রাজ পরিবার,
জানা সে কাহিনী, বিশ্বজোড়া সবার,
প্রতিবাদ আর বিরোধিতা হলে শিরচ্ছেদ তার,
ভিতরে ভিতরে চলে কত গুপ্তহত্যা যূলূম অন্যায় অবিচার,
সীমাহীন সৌখীন পরিচ্ছদ ও খাবার আর ভোগবিলাস ও অপচয় যার,
আপোষে না হলে, তরবারি নয় বন্দুকের নলে, ছলে বলে কৌশলে কেড়ে লয় ক্ষমতার অধিকার ॥
গনতন্ত্রেও দেখি ভাই সেই একই কারবার,
দুঃক্ষ বলার জায়গা কই, কি আছে তার প্রতিকার,
আমলা মন্ত্রী সব ভোট লয়ে প্রতিনিধি হয়ে আসা জনতার,
তহবিলের বড়ভাগ ভরে তার নিজ থলে, বলে এগুলি সব আমার,
হয়েছে তারা মহা সৌভাগ্যবান, এ তাদের রাজনীতিরই অবদান বা উপহার,
নগদ টাকা কবেই কোটির ঘর হয়েছে পার, গরীব এ দেশে রয়েছে এমন এক কোটি পরিবার ॥
ইরানে এখন আর আগের মত কোন রাজা নাই,
প্রাণ লয়ে শেষে, পালিয়ে ভিনদেশে, ভিখেরীর মত পেয়েছিল ঠাই,
ইতিহাস তাই বলে ওরে,
বিশ্ব জুড়ে বিগত হাজার বছরে,
মহাশক্তিধর এমন হাজার হাজার রাজা ও রাজ পরিবার,
সম্পদ বিত্তধন ক্ষমতা ও তার অহংকার,
ভোগবিলাস জুলুম অত্যাচার অবিচার ছিল যাদের বেশুমার,
আজ তাদের নেই কোন ধন, নেই প্রহরী পাইক পেয়াদাগন ও চামচা চাটুকার,
নেই কোন বংশধর কিবা বাড়ীঘর, হয়েছে তারা এ জগত ছাড়া, বিলীন ও চীরতরে হয়েছে ছাড়খাড় ॥
সেতো আর মিথ্যা বচন নয়,
কথা বলিবে প্রমান করিবে হলে সময়,
আসল রাজার কাছে নকল রাজার ঐ পরাজয়,
অপরাধী সে যতই করুক বড়াই কিবা ক্ষমতাধর হয়,
সবকিছু তার হাতের মুঠোর সীমানা ও জালের ভিতর, নহে অক্ষয়,
করেছে যারা পরের ধন ও অধিকার, হরণ তছরুপ অপচয় অবিচার ও ক্ষমতার সীমাহীন অপব্যাবহার ॥
চীরসত্য এ মহান নয় আমার বিধাতার সতর্কবাণী,
হবে সঠিক সাজা, সেখানে তারা ঠেলবে ঠেলা টানিবে ভারী জলন্ত ঘানী,
একদিন নিবে হাতপা ও চক্ষু বেঁধে চুল ধরে নির্মম অপমানে হেঁচড়ে টানি,
প্রভাব প্রতাপ ও পরাক্রমশালী ঐ রাজা মহারাজ, কই তারা আজ,
ত্রস্ত হতো প্রজারা শুনে, রাজ পেয়াদার আগমনে কলরব হৈচৈ সাঁজ সাঁজ,
চেংগিস খান, রাজাশাহ পাহলভী, সাদ্দাম, গাদ্দাফী আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান ও সেনাপতি হিটলার ॥
চাই সম্ভ্রম ও সম্মানের জয়,
সংস্কার ও শুদ্ধি অভিযানের জয়,
পক্ষপাতহীন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জয়,
দূর্বল ও মজলুমের জানমাল হেফাজতের জয়,
ঘূষ ও দূর্নীতির দমন ও তার মূলোৎপাটনের জয়,
নতূন আইন ও আইনের শাসন চাই, নহে স্বেচ্ছাচারিতার,
চাই কথায় ও কাজে মিল, ন্যায় সত্যবাদীতা, আস্থা ও নির্ভরতার,
দ্রুত ন্যায়বিচার, অপরাধীর যথোপযুক্ত শাস্তি ও শ্রেষ্ঠ কাজের চাই নায্য পুরস্কার,
এ পরাজয়তো নয় শুধু হার,
নিশ্চিত তা দেশ ও জাতির এক মারাত্বক ক্যান্সার,
মানূষের নীতি আদর্শ মন মনন ও মাষিকতার ভয়ংকর এক জাতিয় অবক্ষয়, যা আপনি নয় সারিবার ॥  
করিতে উন্নয়নের শিখরে আরোহণ,
সৃষ্টির কল্যান ও মংগল সাধনে অতী প্রয়োজন,
নাহলে তা কখনওই হবার নয়,
তাই যদি হয়, তবেই হবে তা আসল বিজয়,
অবক্ষয় পরাজয় ব্যার্থতা ও পিছুটান করিতে হবেই লয়,
বিধাতার বাণী ও পাঠের সনে সবার হওয়া দরকার জানা পরিচয়,
তার সব নেয়ামত ধন, করিতে অর্জন ও আহরণ, বিশ্বাস নির্ভরতা মান্যতা ও ভয়,
সবাই মানূষ হবে যেদিন যখন,
মানবতা পথে পথে আর করিবেনা ক্রন্দন,
নিত্য সকল কথায় কাজে তব আদেশ নিষেধগুলির হবে সফল বাস্তবায়ন ॥
ঐ ভাগ্যাহত মানূষগন,
যখন তার বাণী ও পাঠ হয়না সমাপন,
আদর্শ নীতি বিধান ও আচরণ ভ্রষ্ট, নাহলে বড় বড় বিদ্যান কেমনে চোর হয় ॥
নিজেরে চিনেনা,
গন্তব্য আর তার ঠিকানা,
আজও হয়নি আপন পরিচয়টুকু জানা,
মানূষ হয়ে জন্মেও যেজন হতভাগ্য এমন, যে আজীবন সে অমানূষই রয় ॥
মত্ত হয় করিতে অসৎ উপার্জন,
মিথ্যা মন্দ লোভ মোহ ও প্রলোভন,
নেশার বিভোর মগন, হয়ে রয় ভোগ বিনোদন,
বন্ধ সকল জানালা দুয়ার, কেমনে পসিবে আলো দূর হবে আঁধার, নিশ্চিত তার পরাজয় ॥  
বোধ বিবেক হয়েছে ভোতা ও অচেতন,
পথ দেখায় যে, সারাক্ষন বন্ধ তার ঐ তৃতীয় নয়ন,
তাই মন দেয়না বাধা করেনা মানা, নেই কোন তাড়না, হয়না তার জাগড়ন,
আত্বার অনূভবে ও চেতনায়,
তাই তারা পথ বা ঠিকানা খুঁজে নাহি পায়,
আহারে মরে গেছে যার আত্বা ও দরশন, তার কেমনে হবে সাধন, হবে সাফল্য বিজয় ॥
ডাকাতি চুরি খুন কিবা প্রশ্ন ফাঁস,
কোন অপরাধই করেনা স্বীকার, করেনা তারা বিশ্বাস,
হেন কোনঠাসা ভাবছে যেন মূর্খ গোলাম কিবা বোঁকা চাষা, রাখিতে চাহে করে বারমাস,
তর্ক ও ক্ষমতার প্রভাব ও চাপে সবারে বোঁকা বানাতে চায়,
পরের উপর দোষ চাপিয়ে বাঁচিতে খোঁজে নিজেদের দায় হতে মুক্তির উপায়,
মূল অপরাধীদের না ধরে,
বেধে আনে নিরপরাধ কোন পথচারীরে,
ক্রোধ মেটাতে কিবা প্রতিশোধ নিতে ঘর হতে আনে ধরে ইচ্ছে যারে,
উল্টো আরও কত নাটক, প্রতিবাদে প্রতিরোধে যেন হয়ে উঠে মারমুখী ও সোচ্চার ॥
অ বিদ্বান ও চতুর বোঁকার দল,
জানবে শিখবে সবাই মানূষ হবি আমার সনে ঐ ইস্কুলে চল,
পরিশেষে আসুন ভাই,
একটু বসে হিসাব কষে দেখি তাই,
৪৮ বছরে কি পেয়েছি আর কি আজও নাহি পাই,
যেটুকু নাই কিবা হয় নাই ঐ শূন্যতা আলো আর ভালোয় ভরাতে চাই,
অনেক বিজয়ের মাঝেও ভেবে কষ্ট পাই, ভয়ংকর দূর্নীতিটা কেন আজও মোদেরে ছেড়ে যায় নাই ॥