পর্ব -০১


তারাযে ওরে ভাই রাজবংশ ও রাজ পরিবার ॥
না না তাদেরে ধরাছোয়া যাবেনা,
কিছু বলতে চেওনা বা করতে যেওনা,
তাদের কোন দোষ নাই নেইযে অপরাধ,
যখন যা ইচ্ছে করে মনে চায় ও জাগে সাধ,
শূলে চড়াবে কল্লা যাবে করলে তাতে কোন প্রতিবাদ,
করবে তারা তাই, কোন নিষেধ বাধা নাই, মনেরেখো খবরদার ॥
কতকিছু হয় কত অঘটন ঘটে,
এ সমাজে তারমাঝে কিছু কিছু রটনাও রটে,
সবাই চুপ করে রয়, নিরবে মোখবুজে সয়, তারাই বুদ্ধিমান বটে,
নেই কোন ঘটনার দৃশ্যপটে, সব দেখেও বুঝেও তাতে যারা নাহি চটে,
রাজাধিরাজ, রাজ পরিবার, তার সভাসদ ও দরবার সবাই একেবারে নির্বিকার ॥
তাতে হায়,
কার কি আসে যায়,
কে বা তাতে বেশী মাথা ঘামায়,
ঘটেনিতো এমন কিছু যাতে,
মহা রাজার ঘুম হবেনা রঙ ছড়ানো রাতে,
জগতের সব সেরা খাবাগুলো ইতো হামেশা পড়ছে তাদের পাতে,
কিসের এসব মানব বন্ধন, কার্য্যক্রম অনশন অহেতুক জ্বালাতন হৈচৈ ও চিৎকার ॥
কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা,
তাতেতো কান দেওয়া যাবেনা,
কেন এত মিছিল মিটিং, টকসো ও সমালোচনা,
রাজার হবে হার, তাতো কভু ওরে ভাবা কিবা মেনে নেওয়া যায়না,
মন্ত্রীরা সব কি করে, বসে থেকে নিজের ঘরে, পেয়ে নানান মজার খানা ও নরম বিছানা,
লাঠিয়াল বাহিনী পাঠাও, করে দাও সব পন্ড, সবকিছু ভেংগে গুড়িয়ে একেবারে চূরমার ॥
দেখেও দেখেনা,
শোনেও যেন শোনেনা,
কেন এমন বুঝেও তারা বুঝেনা,
হয়ত বলে ইচ্ছে করেনা বা মনেও ধরেনা,
তবে কি তারা নির্বোধ বধীর ও কানা,
দেখেতো তেমন মনে হয়না, তা মেনেওতো নেওয়া যায়না,
আপনার মোখ দেখিবার, হয়ত হারিয়ে ফেলেছে তারা মহাধন ঐ আপন আরশিখানা,
হয়ত হয়ে রয়েছে তারা বিভোর অচেতন, বন্ধ হয়ে গেছে তাদের দেখাশেখা ও চেনাজানার সকল দুয়ার ॥
স্বভাব আচরণ,
অন্তর মন ও মনন,
খোলেনি তৃতীয় নয়ন,
চাই শুধু ক্ষমতা ও বেশী বিত্তধন,
লোভ ও মোহে ভোতা হয়ে গেছে দরশন,
ভালো লাগে জয়ধ্বনি আর প্রজার কন্ঠে গুণকীর্তন,
এখনও হয়নি যার, কবে আর তবে তাদের হবেরে সাধন,
রিপুর তাড়না প্রবল ও সবল,
জনগণে এত দরদ ও প্রেম সেতো শুধুই ছল,
অভিনয় করা ধার, সে মমতার বাহার, মনের আলগা অলংকার, হয়েছে মরণ অনুভব আর চেতনার ॥


পর্ব -০২


কথায় আর কাজে কোন মিল নেই,
দূর্নীতি আর অন্যায় অনিয়ম অবিচার চুরি ঘুষ সবখানে সবকিছুতেই,
বাহারি বদন সুবেশ সুবচন কহি কহি দেয় আশা দেয় সান্তনা,
সবাই দেখে ও বুঝে বসে ঘরে, শুধু আফসোস করে কহে ওরে, সেকি নহে ধোকা প্রতারণা,
তাতেইবা রাজার ভাবনা কি,
বোঁকা প্রজা বুঝানো সোজা দিচ্ছি দেবো ধোকা ও ফাঁকি,
যদিরে অর্ধেক তার হয় নকল কিবা প্রহসন, তবেতো এখনও অনেক কাজ বাকী,
হিরাখচিত সোনার মুকুট আর ময়ুর সিংহাসনতো রয়েছে রবেই আজীবন আমার ॥
ওরে ভাই আসলে তা নহে তা নহে,
আবু হকে দেখেশুনে জেনেবুঝে ভেবেচিন্তে কহে,
নিরীহ অসহায় প্রজারা যতই নিরবে সহে,
কলুর বলদের মত ঘানী টানে আর যতই দেবে ভার গাধার মতই ভার বহে,
মজলুম ঐ জনতার কষ্ট বিষাদ,
নিরব আর্তনাদ আহাজারী ও ফরিয়াদ,
বদলে সময় বয়ে নিয়ে আসে লয় মরণ ফাঁদ,  
মাথা উঁচূ করা বিশাল পাহাড় যদিও গড়েছে প্রবল বাধ,
হঠাৎ সাগরের প্লাবন আসে লোনাজলের ঢেউয়ে ভাসে ঝলমলে প্রাসাদ,
দেখেছি এমন কভু কভু সেনাপতি সহোদর কিবা স্বজনেরাও হয় যেন হিংস্র পশু কিবা জল্লাদ,
বিধির লিখন হয়না কখনও রদ.
নাহলে নির্মমভাবে কেমনে করে তারা মানুষের প্রাণ বধ,
ইতিহাস তাই বলে, কর্মফল কভু যায়না বিফলে, কত শাহী মসনদের হয় ভরাডুবি ও পরাজয় হার ॥
সবচে সেরা আপন মন্ত্র,
আবেগ ক্রোধ ও হেয়ালীপনার যন্ত্র,
যখন যেমন খেয়াল ইচ্ছে খুশী ঐ স্বেচ্ছা স্বৈর তন্ত্র,
রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে,
চেয়ে চেয়ে দেখে হাজার লোকের ভীত চোখে,
শান্তিরক্ষি রাজ সিপাহী দূর হতে দেখে, নিরবে তাকিয়ে থেকে,
বিভৎস্য খুন দিনেদিনে বাড়ছে দ্বিগুন তা দেখেদেখেও কতজনে সাহসী হয় ও শেখে,
তড়িৎ বিচার ও সঠিক সাজা নেই বলে, বুঝেনা লোকে কি লাভ রাজার সমাজে তা টিকিয়ে রেখে,
নির্মম নিষ্ঠুর ঐ হত্যাযজ্ঞ,
কি করিবে হায় পখচারি জনতায় তারা বড় অসহায় অক্ষম অজ্ঞ,
ভাবছে এমন ও বলছে জনগণ,
কেন রাজায় সন্ত্রাসী অপরাধীদের করছে সমর্থন ও লালন,  
রাজার পোষ্য সমর্খক দলের দাংগাবাজ সন্ত্রাসী সক্রিয় সদস্য, রাজ চামচা চাটুকার ও তাবেদার ॥


পর্ব -০৩


কে আছে সে বাপের বেটা,
কার এমন প্রসস্থ্য সাহসী বুকের পাটা,
হাতপা ভাংগা রক্ত ভরানো রাংগা কপাল ও মাথা ফাটা,
নাই জানা কি তার প্রতিকার, সকালে বাহির হয়ে এই প্রাণ লয়ে তার দেহখান ফিরবে কিনা ঘরে আর ॥  
যতই তারা ধরুক ও মারুক,
করুক অন্যায় অত্যাচার, চলুক লাঠি, রড, ছুরি ও চাবুক,
কে শোনে কার কথা নেয় তা আমলে,
কার কাছে দেবো নালিশ সবাইতো রাজার দলে,
রাজ প্রশাসন যা বেটা এখন, দূর হ এখান থেকে ধমকে বলে,
দুঃসময়ের ঢাল,
ঐ বাহিনী রাজার লাঠিয়াল,
সব দেয় অস্ত্র মদ টাকা রশদ চালডাল,
উঠিয়ে নেয় রাজরোশে পড়া প্রজাদের দেহের ছাল,
চলে গোপনে রেখে হাতে হাত বারোমাস দিনরাত মিলিয়ে তাল,
তাইতো উজির নাজির সবাই দেয় আশ্রয় প্রস্রয় ঠাই ও সব ঝড়ঝাপটা সামাল,
তারাইতো রাজার, অদৃশ্য প্রজা দমন ও গোপন নিধনের হাতিয়ার,
বুকভরা চাঁপা বিষাদ, নিরব আর্তনাদ ফরিয়াদ, ন্বিঃস্ব দূর্বল চোখের জলই শুধু এখন উপায় তাদের সান্তনার ॥
চলছে সবই রাজ ইশারায়,
মহাআদালতে নিরীহ ঐ প্রজারা বলো কেমনে যায়,
সে সাধ্য আছে কজনার ঐ জুলুমের প্রতিবাদ করে প্রতিরোধ গড়ে বিচার চায়,
বলো তবে হায় আর কে হবে সহায় কার কাছে তারা পাবে বিচার এ দুনিয়ায়,
বলি শোন হায়, চেয়ে আছে চুপ করে দয়াময় বিধাতায়, ডেকে বলে ওরে কাছে আয়,
ভেংগে পড়োনা হতাশায়,
যারা সয় ও রহে আশায় তারাই জেতে সব পায়,
ওরে ভয় নাই, চলো যাই জাহানের বাদশার কাছে, খোলা আছে রবে চীরকাল আকাশের ঐ হাজার দুয়ার ॥
নিরব দর্শক নিরীহ প্রজারা বড় অসহায়,
খোদ রাজা যদি হয় ঠক প্রতারক প্রবঞ্চক তবে কি উপায়,
সেইতো অনেক, রাজার রাজ্যে বেঁচে আছে তারা রাজ করুণায়,
সরকার মানে রাজার প্রশাসন, ক্ষিপ্ত হয়ে বলে বলো আর কি তারা চায়,
তারাযে দুধের ধোয়া নেই তাদের কোন দোষ কিবা দায়,
রাজ পরিষদ রাজার মন্ত্রে হয়েছে তেমনি বদ, আপনি আপনার সুখ্যাতি গায়,
ব্যস্ত সবাই কোন ভাবনা চিন্তা কিবা দায় নাই ভোগবিলাস বিনোদন ও তামাসায়,  
বিচ্ছিন্ন ঘটনা, তেমন কিছুনা যা ঘটেছে তারচে বেশী রটনা, শাক দিয়ে তারা মাছ ঢাকিতে চায়,
কত নিরপরাধ জীবন পদতলে দলছে, করছে চলছে ও বলছে যখন যেমন ইচ্ছে খুশী ও ক্ষমতা যার ॥


পর্ব -০৪


শুনে হাসি পায়,
কি বলে শোন মূর্খ রাজায়,
কাজীর দরবারও হায় নাকি আজ ঘুষ খায়,
নাহলে খুনের আসামীরা জামিন পায়, কেমনে কোন ধারায়,
লাখো খুনের আজও হয়নি কেন হয়না বিচার,
যদিও অপরাধী খুনী আদালতে অকপটে তার অপরাধ করছে স্বীকার,
লক্ষ অপরাধের বিচার করার সাধ্য নাই যার বিষয়টি বড়ই অক্ষমতা, কষ্ট ও লজ্বার,
তারা নাকি আবার বলে করবে বিচার, গৃহপালিত প্রাণীদের প্রতি হলে কভু কোন অন্যায় ও অবিচার ॥
চলছে মহা অরাজকতা,
কে শোনে কার দুক্ষ কষ্টের কথা,
নাই নিঃস্বের ঠাই, শান্তি সুখের কোন বারতা,
যার কেউ নাই কিছু নাই, পদতলে মাটি ও মাথার উপরে ছাতা,
জীবন যাদের ঠেলা ছাড়া আর চলেনা, ঘরে নাই একদিনের খানা, অঁচল ঘানী কিবা সম
এক ভারী জাঁতা,
হায় যেদিকে তাকায়,
একটু আশায় দুপা এগিয়ে যায়,
শুধুই দেখিতে পায় যেন এক সীমানা আর আপদ ও যাতনার অদৃশ্য বিশাল ফাঁদ পাঁতা,
সবায় ঘুষ খায় তা সবারই জানা,
তাই আজ আর এ নিয়ে যেন নেই কারো তেমন কোন কৌতুহল, ভয় ও ভাবনা,
চলছে খোলা প্রতিযোগিতার, ঐ তাড়না কে আগে যাবে বেশী ও সেরাটি পাবে আর বড় হবে কার ॥
আধুনিক বিজ্ঞানের পাশকরা বড় ডাক্তার,
সাত বছর পড়েও আহা আজও পড়া শেষ হয়নি যার,
চাকরী নাই, ঘুরে পথেপথে তাই, এখন দেশে সবচেয়ে বেশী বেকার,
আর দেশ জুড়ে প্রতারণা করে করছে রোজগার, ভুয়া ডাক্তার হাজার হাজার,
কেউ নাই যেন তা দেখার, খেলছে লোকের জীবন লয়ে, আহা কি ধন্য ধন্য রাজার,
জানা নেই কার সে দায়ভার, কে ধরিবে কিছু করিবে তার বিহিত বিচার কিবা আশু প্রতিকার ॥
কেউ নাই যার করিতে বিচার,
এ দুনিয়ার বড়বিচারক ও মন্ত্রি রাজার,
ক্ষমতা বলে যে পেয়েছে অকপটে অবলীলায় করিবার,
সব অন্যায় আর অপরাধের নাই কোন সীমানার ঘের তাইতো ঢের অধিকার,
সাবাস, কি চমৎকার,
লঘু দন্ডে তুচ্ছ সাজায়, এমনিতেই তারা হয়ে যায় পার,
যুগযুগ পড়ে আছে আজও হয়নি বিচার কোটি মামলার,
রাঘব বোয়াল মহাঅপরাধী টাকার কুমিড়, তাই রাস্তায় দাড়িয়ে নিমেষে তার,
নাই তদন্ত কমিটির তদন্ত ও রিপোর্ট, হাজত, রিমান্ড, কাঠগড়া ও বিচারকের এজলাশ - এ সবই রাজ করুণার বিশেষ ছাড়,
সেতো রাজা মহাশয়,
তাইতো মজলুম জনগণে সয়,
তার দোষ ধরিলে অন্যায় ও অপরাধ হয়,
কেউযে তার সমকক্ষ নয়, তাই সবে করে তারে ভয় ও বিনয়,
সাতখুন নয় শতখুন মাফ যার,
সাধ্য আছে কার প্রতিবাদ করা কিবা তার প্রতিরোধ গড়ার, মহাভাগ্যবাণ ও মহান ঐ রাজপরিবার ॥


পর্ব -০৫


কোটি টাকা অযতনে অনাদরে,
পড়ে থাকে আনাচে কানাছে ওরে তাদের ঘরে,
রাজ্যের এমনই হাল, কে তার দেখভাল তদারকি খবরদারি করে,
কোথায় পেলো কোথা হতে এত টাকা কেমনে এলো, যার দায় সেওতো চুরি করে ঘুষ খায়
তাই কেমনে ধরে,
কত মানুষ একশত টাকার লাগি,
ক্ষুধা কিবা হায় রোগ যাতনায় রহে নিদহীন রাত্রি জাগি,
সে খতিয়ান আছে কি রাজার, রাজ্যে তার রয়েছে এমন কত পরিবার হয়না করা যার রোজকার সবজি বাজার ॥
যত চোর ঘুষখোর হয়েছে প্রশাসক,
রাজ্য জুড়ে যত অসাধুরাই আজ দেখি সেজেছে বিচারক,
বাদী বিবাদীরা আদালতে আসে আর যায়,
তারিখের পরে তারিখ পড়ে মনেহয় যেন ইচ্ছে করেই শুধু ঘুরায়,
দিনমাস করে করে একযূগ চলে যায ওরে তবুও মামলার হয়না রায়,
তাতেইবা তাদের ক্ষতি কি দুহাতে অঢেল কালোটাকা তারাতো যাচ্ছে কামায়,
যেজন রাজার একটু সহানুভূতি বা নেকনজর আর অনুকম্পা পায় ঘাটে ঘাটে সেজনই পেয়ে যায় পার ॥
রাজ রক্ষি সিপাহী ও প্রহরী,
নিরাপত্তার চাদরে নাকি দেশটারে রেখেছে মুড়ি,
সন্ত্রাসীর মেধা কৌশল দক্ষতা ও সাহসীকতার যেন নাই কোন জুড়ি,
মানেনা কোন নিয়ম কানুন কিবা বাধ হচ্ছে অহরহ অপরাধ, কয়টা রাজায় রাখবে ঘূরি,
আসামীর অনেক টাকা ও সে বিত্তশালী,
তাই তার অনেক লম্বা হাত অনেক প্রভাব একটু নাহয় দেবে ঢালি,
গোপনে ভিতরে তাইতো তাদের তরে এত ছাড়,
না হয়ে কেমনে পারে কিছুটা উদার, এবারতো শেষে ধরতেই হয় যখন ধামাচাপা দিতে পারেনা আর ॥
ভাবটা এমন তাই সবার,
অভিনয় নাদেখা নাজানা ও নাবুঝার,
কে নেবে হায় কেউ জানেনা আসলে ঐ দায়টা কার,
যে উৎস থেকে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা পায়,
এটাতো তখন তার যেন হয়ে যায়, মস্তবড় এক মানবিক দায়,
তাই নিমকের মূল্য রাখে, তার সব দোষ ঢাকে, কৌশলে গুন কিবা সাফাই গায়,
ভাণ ধরে চুপ করে থাকে পায়না চেতন তারে যতই ডাকে খেলাটা দারুণ মজার ও ভীষণ চমৎকার ॥


পর্ব -০৬


এত টাকা জীবনে খেয়েছি,
তাইতো পেয়েছি যখন যা আমি চেয়েছি,
এটাতো আমাদের মানবতা আর ঐ আসামীর অধিকার,
তাই এবার কিছুনা কিছু তার করতেই হবে এবার উল্লেখযোগ্য কোন উপকার ॥
তাই ছুটে গিয়ে তার ঘরে,
তড়িঘড়ি পক্ষপাত আর কারচুপি করে,
দাড়াতে আর না হয় যেন গিয়ে আসামীর ঐ কাঠগড়ায়,
এক যুগ নয় মাত্র এক ঘন্টায় তার করে দিলাম সুন্দর রায়,
আবু হকে বলে জানিনা কেমনে রাজ্য চলে, কোন কানুন ও ধারায়,
নৈরাজ্য আর অরাজকতায়, নাহলে কেমেনে সবায় বিচারক হবার সুযোগ পায়,
ধর্ম-কর্ম, ব্যবসা-বানিজ্য, আইন-বিচার ও স্বাস্থ্য বিধি বিনা,
কেমনে তারা মন্ত্রী হয়ে যায় ও দেশ চালায়, তবে কি ঐ ক্ষমতা তাদের টাকায় কিনা,
নেই সিপাহী প্রহরীর জ্বালাতন, আছে যখন এত চমৎকার অবৈধ ক্ষমতার তাৎক্ষনিক বিচার ॥
অগনিত পাশকরা ডাক্তার,
কাজ নেই তাই বসে আছে ঘরেতে বেকার,
স্বাভাবিক সুন্দর উপার্জন আর,
মনে সুখ হাতে টাকা ও পাতে ভাত তার,
কোন পথ যেন নেই তার কুলমান লয়ে বাঁচার মত বাঁচার,
মিথ্যা মন্দের সাফল্য আর জয়জয়কার, সত্য সুন্দর খাটি ও ভালোরই যেন হচ্ছে হার,
আজব রাজার আজব দেশে, শুদ্ধ শোধন কে করবে এসে, করছে মিথ্যা মন্দ আর প্রতারণার কামাই বেশুমার,
যত সব ভন্ড ও ভুয়া ডাক্তার, কেন তাদের তরে এত সুযোগ রাজা সাহেব এত উদার আর
দিচ্ছে এতটা ছাড় ॥
পেট কেটে দশবার,
শেষে পলিথিন বেধে দেয় তার,
জরায়ু কেটে ফেলে দেওয়া হেন জঘন্য শত ঘটনার,
রাজা গেছে মরে তাই বুঝি ওরে, দেশে নাই কোন আচার ও তার বিচার,
যে অপরাধের কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ জরিমানা আর,
যাবজ্জীবন কারাভোগের রায় হলেও সাজাটা মনেহয় অতিশয় কম হবে যার,
মস্তবড় অপরাধ আর,
দেখি অতি ক্ষুদ্র সাজা হয় তার,
বলে করা হয়েছে তারে, স্বপদ থেকে প্রত্যাহার,
সেতো ওরে সাজা নয়, যেন মনেহয় অভিনয় করা সাময়িক বরখাস্ত কিবা ট্রান্সফার,
গনদৃষ্টি কিবা জনতার মনেযোগেরে দিয়ে ধোকা কিবা সান্তনা হয়ে যাওয়া কোনমতে পার ॥
করিল এ কেমন বিচার,
দেশবাসী যেন বোঁকা সাধ্য নেই তার কিছু বুঝিবার,
কোথা পেলো এই ক্ষমতা আর কে দিলো তাদেরে এই অধিকার,  
নষ্ট মানুষগণ নষ্ট মেধা মন ও মনন, নষ্ট দরশন, উপার্জন ও সুযোগ অপার,
সবাই কি জানে ওরে সবাই কি পায়, ঐ খোলা পথঘাট ও সোনার চৌকাঠের রুপার দুয়ার,
অপরাধী দলের লোক বন্ধু কিবা ভাই, অতিশয় কাছের মানুষ তাই, লঘু দন্ড দিয়ে করিলাম তার কিছুটা উপকার,  
শুধু তারাই পায়,
রয়েছে যারা রাজার কৃপায়,
তাদেরই সবকিছু নাগালের সীমানায়,
না মানা হার, ঠক প্রতারক অপরাধী আসামী প্রশাসক ও বিচারক যারা রাজ বংশের ও রয়েছে রাজকপাল যার ॥


পর্ব -০৭


তা নাকি কারো দেখতে নেই,
সত্য যে বলে পাগল কিবা রাজদ্রোহী হবে সেই,
কত নিঃস্ব দূর্বল অসহায় প্রজার,
রোশানলে পড়ে হয়েছিল পলকে ছারখার,
জীবন, ভিটাবাড়ী জোতজমি ও তার শান্তিসুখের পরিবার,  
ছিল কত সুন্দর ঐ রাজার বচন ও ভাষন, বেশভূষণ, আচরণ ও ব্যবহার,
পেতে হলে বেশী মেনে নাও ঐ পেশী, সব অন্যায় ও অবিচার, হয়ে যাও তার ভক্ত অনুচর তাবেদার ও চামচা-চাটুকার ॥
বদলে সময় পড়ে যায় বল,
অজানায় নিমেষে বদলে যায় সকল,
পিছু হটে চলে যায়, রাজার রক্ষী সাহসী সেনাদল,
জড়ির নকশাদার জুতো ছাড়া রাজা বাহাদুর একেবারেই অঁচল,
শেষে দুশমনেরা এসে করে মখমলে মোড়ানো শাহী মহল ও সিংহাসন দখল,
হাত হতে খসে পড়ে তরবারি তার,
যে ছিল মহাপরাক্রমশালী সিপাহসালার,
ইতিহাস কয়, কথা মিথ্যে নয়, এভাবেই হয় ও হয়েছিল যে রাজ জুলুমবাজ অবসান সব অত্যাচারী বাদশার ॥
অপরাধ ও রাজবংশ,
এটা তার শিরা ও বাজুতে বাধা চিরায়ত অংশ,
আপন কর্মদোষে আর জনতার কষ্ট অভিশাপ ও রোশে অবশেষে হয় ধংস,
খর্গগুলি শানিত ধার,
জুলুম অত্যাচার অন্যায় অবিচার,
বহিতে না পেরে যখন নূয়ে পড়ে ঐ বিশাল পাহাড়,
ভেংগে পড়ে সব বাধ, আলো ঝলমলে রাজ প্রাসাদ পুরী অদেখা অনলে পুড়ে হয় বরবাদ ছারখার ॥
শেষে একদা হঠাৎ মরণ এসে,
নিয়ে যাবে ধরে টেনে কেজানে কোনদেশে,
শূন্য হাতে এক গহীন আঁধার রাতে নিঃস্ব কাঙালের বেশে,
ঐ সপ্ত আকাশের মালিক,
বিশ্বপতি মহাবিচারক নিঁখুত ও সত্যসঠিক,
নেই কোন কৌশল কিবা পথ যেথা পালাবার,
কোন অন্যায় অবিচার কারচুপি ও পক্ষপাত রবেনা ঠাই যার,  
যত বাদশাহ গোলাম দুনিয়ার, নেই ভেদাভেদ কারো বাড়তি কোন ছাড়,
মন্দভালো ও পাপপুণ্যের কর্ম্মফলের সবাই পাবে তার ষোলআনা নায্য সঠিক পাওনা শাস্তি ও পুরস্কার ॥
বলো সাধ্য কার,
ঐ সে বিত্তধন সংগে নেবার,
মহাবীর মহাপরাক্রমশালী রাজারও হয় হার,
আসছে ঘনিয়ে সামনে দিন,
অতি কাছেই কোন ভুল নেই হবে সব বিলীন,
বালাম দেখে পাল্লায় মেপে নিরুপন করা হবে কার কত অন্যায় অপরাধ ও দায়ঋন,
রাজারও হবে উচিৎ সাজা আর,
নিশ্চয় বিচারকেরও নির্মম কঠিন নায্য বিচার,
কে আছে তারে ফিরাতে পারে সে পরাজয় তার কিবা সাধ্য কার নিষ্ঠুর ঐ মৃত্যু পরোয়ানাটারে ঠেকাবার ॥
বিধির বিধানই এমন,
আজ মনে পড়ে যায় কষ্টের মম সে পূর্ব জীবন,
রাজা বাদশার কত প্রতাপের ছিল সে নির্মম ও নির্দয় ঐ দুঃশাসন,
দিন চলে যায় তবু কালের পাতায়, লেখা স্মৃতিগুলি রহে অক্ষয় চীরকাল রয় স্বরণ,
মিথ্যে নয় ইতিহাস যাহা কয়, আপন কর্ম্ম বিধাতায় দায়ী নয়, আসে যেই পরাজয় কিবা পতন,
হবুচন্দ্র রাজা ও গবুচন্দ্র মন্ত্রীদেরও ছিল দয়ালু মন, পেয়ে পরগনা উপঢৌকন ধন্য হয়েছে কতজন,
এই গল্প ছোট হলেও নয় অল্প নেই পরশ মিথ্যার বিভৎস্য বিভীষিকার, এক হাজার বছর আগেকার ॥