যাদের মনে বড় কষ্ট,
থমকে দাড়ায় চমকে উঠে হয় খেই নষ্ট,
তৃষীত হৃদয় ক্ষনেক্ষনে এলোমেলো হয় যেন এমন সে পথভ্রষ্ট,
এ জীবনে যারা দেখে নাই বাবা মাকে,
সে বেদনা কি তাই, আজও বাধা বুকের পাজরের ফাঁকে,
পায়নি কভূ সেই, বুকটা হয় প্রসারিত মনটা করে পসর যেই, কোমল আদর ও পরশ স্নেহ ॥
যারা, সারা দুনিয়ায়,
মনের গহীনে গোপনে খুঁজে বেড়ায়,
মাবাবার কথা ভেবে ভেবে এখনও নিরবে কষ্ট পায়,
সুখে দুঃখে, এ ধরার বুকে, ঘর হতে যত দূরে যেমনই তার দিন যায়,
সে শূন্যতায়, কুড়ে কুড়ে খায়, গোপনে অজানায়, কোন সে দীনতায় সংকুচিত এ মন ও দেহ ॥
সে কি হতে পারেনা,
কে বলেছে তা, বলো কে করেছে মানা,
যদি হয় তা একেবারে মূল্যহীন,
নহে কোন দায়, দুদিনের এ দুনিয়ায়, একটুখানি ভালবাসার ঋন,
কোন বিনিময় কিবা প্রতিদান নয়, নাবলা বুকফাটা ঐ কষ্টটা শুধু করিতে বিলীন ।
পীড়িত হয় মন,
কেউ কি আছে এমন,
বাবামাকে তার, নয়নভরে শুধু একবার দেখিতে চায়,
মমতার টানে যদি কিছুক্ষন, মায়ের আঁচল বাবার শাসন পায়,
চরন ছুলে, টেনে বুকে তুলে, দেবে মাথায় সোহাগের দুটি হাত বুলায় ।  
ঐ সে মোখের দুখানা মধুর প্রিয় বচন,
বহুদিন পরে যেন ফিরে এসে ঘরে হবে দেখা মোখ দরশন,
রাখি বলে, কভূ ইচ্ছে হলে, সময় পেলে, ভরাতে মন, জুড়াতে দুটি নয়ন,
বসে একপাতে, সবে একসাথে, গল্প আড্ডায় দিনে ও রাতে, কত মজার খাবার করিবে ভোজন,
এসো বেড়াতে, হবেনা আনতে কিছু করে হাতে, সবকিছু এখানে পাওয়া যায়, ঢের আছে ঘরে, রলো নিমন্ত্রন ।
জানি দুধের স্বাদ কভূ ঘোলে মিটেনা,
তবু যদি হয়, কেউ পেতে লয়, একটুখানি তার সান্তনা,
হাসি খুশীর সেই মিলনে,
কষ্টগুলি সব পলকে পালিয়ে যাবেই বনে,  
রলো এ আহ্বান,
দেখিবে প্রাণের মাঝে কেমন জেগেছে জোয়ারের বান ।
পোড়া বুকে অদেখা দারুন খরা,
নিয়তির লিখনে বুঝি হলো সে ফুলগুলি বৃন্ত ঝড়া,
বুকভরা হাহাকার করা ঐ সে মরুর তিরাস,
নিবর করুন আর্তনাদ আর নাবলা বিষাদভরা ন্বিঃশ্বাস,
এ ভূবন এক বিশাল কারাগার জীবন যেথা হয়েছে বন্দি যেন এক জিন্দা লাশ ।
হোক সে অচেনা সহস্র  অগনন,
কেন মনমরা, কভূ কি জীর্ন হয় সে বাঁধন,
যদিরে মন ভরে, হয় ঐ সে বিষন্নতার অবসান প্রসমন,
বিশ্ব জুড়ে মোর হারানো, ছিটানো ছড়ানো, আমার যত পূত্রকন্যাগন,
কে বলেছে তোদের মাতাপিতা নেই, ওরে আয়, যদি মন চায়, আমি তোদের দেবো সে আসন ।
দুধমা নহে ওরে পালক পিতাও নয়,
ফিরে পাওয়া হারানো ধন, নতূন করে নাহয় আবার হবে পরিচয়,
ক্ষতি কি পাতানো মমতায় যদি হয়, দুঃসহ ঐ শূন্যতার অদেখা পাষান ভার কষ্টটার লয়,
তোরা পাসনে ভয়, কে বলেছে মোর কিছু নাই,
পারিস তবে দেখানা এমন একখানা সংসার গড়াই,
হাত ধরে নিয়ে যাবো, দেখাবো সে শান্তি সুখের ঠাই,
আমি সদাই, তোরা সবাই, মানূষ হবার আমি করব বড়াই,
মোর পাতার ঘর বলে, সে ও এক ছলে সারা দুনিয়ায় দিয়েছি ছড়াই,
আয়না দেখি করে যাচাই, দেবো ঐ ঠিকানা, যেথা আপদ ভাবনা কষ্ট যাতনা কিছু নাই,
কেউ নহে পর, একটাই ঘর, অনটন বলে কিছু নাই, হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে সবকিছু পাই,
তোরা হবি মোর, এক নতূন দিনের সোনালী ভোর, খোলা মম ভাংগা ঘরের দ্বোর, সহস্র বোনভাই,
এতিমখানায় ও আশ্রমে,
স্নেহের শূন্যতা লয়ে বড় হয়ে সে অভাবটা বুকে জমে জমে,
এ সংসারে যার বাবামা কেহ নাই,
আমি তাদের সে কষ্টের অভাবটা কিছুটা ভরাতে চাই,
মনের দুটি কথা বলা আর একটুখানি প্রশান্তি ও একটু সান্তনার ঠাই,  
আমি তাদের বাবা হবো, ঐ দুঃক্ষটার ভাগ লবো, হলে তারা মোর সন্তান সবাই,
সবই আছে তবু যেন কিছু নাই, হেন শূন্যতা বিরাজমান যেন রয়েছে বুকে বিশাল বিষাদ ছড়াই,
এ শোকে তাই বড়ই কাতর, হয়ে আপনি আপন ভূবনে কোনঠাসা পর, এ জগতে এমন যদি থাকে কেহ ॥