(এটি আমাদের জীবন জুড়ে ছড়িয়ে থাকা অনিয়ম ও দূর্নীতির সার্ব্বিক সমাজ চিত্রের ক্ষুদ্র রুপায়ণমূলক একটি প্রাবন্ধিক কবিতা)


আকাশে বাতাসে ছড়ালো সে খবর,
এ যেন হঠাৎ বজ্রপাত, মরমে চরম আঘাত, প্রচন্ড ঝড়,
হায়, এখন কি উপায়, আবারও নাকি প্রশ্নপত্র হয়েছে ফাঁস ॥
সবখানে ছোটবড় দূর্ণীতি আর,
দেখি যেন তার সাফল্য আর জয়জয়কার,
কে করিবে কেমনে কবে, তা হবে রোধ কিবা উদ্ধার,
কষ্ট বেদনায় হয়ে পড়ছে রোগী, যত ভুক্তভোগী তার অশুভ শিকার,  
সবাই হুতাষে টানটান,
বড় পেরেশান, কবে পাবে তা থেকে ত্রান,
যেথা আছে বিশ্বাস ও সুবিচার, নাই যূলূম, সন্ত্রাস ও অবিচার, পাবে একটা শান্তি সুখের নিরাপদ বসবাস ॥
সব কথা সব কাজ সব দিক,
যা বলে তারা, তাই যেন সত্য সঠিক,
কেন করা হয় নাই উচ্চ পর্য্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দল,
নেপথ্য নায়ক ও ঘটনার কেন্দ্রস্থল, তারা বলছে কোন গলদ পাওয়া যায় নাই, ঠিক আছে সকল,
কেন মেনে নিতে হয়, যা দুঃক্ষজনক ও অবাক বিস্ময়, করিতে হবে তা বিশ্বাস ॥
আস্থা ও নির্ভরতার ভয়,
জায়গা নেই, কোথাও যেন নিরাপদ নয়,
আহা শিশু পাঠশালা ও জেএসসি থেকে বিশ^বিদ্যালয়,
দরিদ্র মেধাবী ছাত্ররা যেন হয়ে পড়েছে আজিকে অতিশয় অসহায়,
তারা বিষম ভাবনায়, কি করে, কেমনে উচ্চ ডিগ্রী ধরে, জীবন গড়ে, কই যায়,
কোথাও খালি নাই, তাই বুঝি হবেনা ঠাই, লেখাপড়া করেও নিদহীন নিশিদিন বারমাস ॥
যদি থাকে মাত্র এক হাজার আসন,
আর প্রার্থী ও পরীক্ষার্থী হয় তার কমকরে এক লক্ষ জন,
এইতো দারুন মজার সুযোগ অসৎ কর্ম্মকর্তাদের,
বিছিয়ে দেয়, যেন টেনে নেয়, অদৃশ্য এক যাদুর মোহময় ছায়া জালের ঘের,
একবার তার মন্ত্রের ফাঁদে জড়ালে পা, দিলে কিবা মাথা ঢুকালে বের হবার পথ নাই ফের,
কৌশলে ও ছদ্দবেশে,
অদেখা একটা যেন বাজার বসে,
ধনীরা ধর্না দেয়, টাকার থলে ভরে নিয়ে এসে,
নিভৃতে, কে হারে কে জেতে, বেঁচাকেনা চলে দরাদরি কষে,
কে ঠেকায় আর উচ্চ ডিগ্রী তার, বিনাকষ্টে অতি অনায়াসে বাড়ীতে বসে,
যেমন চাওয়া, বড় চাকুরী পাওয়া, ঘূষ খাওয়া এক বিলাসী জীবন, মনেমনে তাই মহাউল্লাস ॥
দেশে আইন বিধান নিয়ম ও কানূন সবই আছে,
কে তার তোয়াক্কা করে, কজনে মানে, কে যায় তার কাছে,
আর কি বাকী আছে, ডোবার পুটি মাছও যখন উঠিতে চায় বটগাছে,
কিছু সংক্ষক,
পুলিশ ও বিচারক,
হয় কতযে ঘটনার নায়ক,
বড়ই বিস্ময়কর চমক ও দুঃক্ষজনক,
ঐ সবাই যেন হয়েছে মিথ্যাবদী, ঘূষখোর, শঠ ও ঠক,
তবু এমন, যেন পঞ্চরসি ষোড়ষী নববধূ, নয়নে বচনে বসনে চলনে মধু, সবকিছু রঙমাখা চকচক,
দেখেও দেখেনা, শোনেও শোনেনা, বুঝেও বুঝেনা, নহে বধীর কানা, না আসলে তা নয়,
ধরেও ধরেনা করেও করেনা কেউ গম্ভীর কেউবা করে শুধু বকবক, ভিন্ন তাদের ভিতরের পরিচয়,
দেখি চলছে নিত্য সারাবেলা,
যার বাম হাতের কালো টাকার কামাই মেলা,
ধনী গরীবের অঘোষিত এক প্রতিযোগীতা, দারুন তিক্ত মজার এক অদৃশ্য খেলা,  
এ তো যেন সামিল, নাগালে পেলে খেতে পারে গনকিল, জনতার সনে অবিচার ও উপহাস ॥
কবে বদলাবে মানূষের স্বভাব চরিত্র ও এ সমাজের দিন,
জঘন্য অপরাধের আসামীরা কেমনে হায় পেয়ে যায় জামিন,
ঝুলে থাকে নাকি ঝুলিয়ে রাখে ঐ মামলাগুলি দুজনে মিলে বহুদিন,
অজানায় পুলিশ ও হাকিমের বাড়ছে মাথার বোঝা খোদার কাছে দায়ঋন,
তাতে মনেহয় ছোটবড় সবারই লাভ,
পূরো মাঠটা ই যেন হয়ে রয় টকায় সয়লাব,
কিভাবে কেমনে কবে ও কোথায়,
লিখিত মৌখিক জবানবন্দি বা ঘোষনায়,
বলছে খুনী, সে ই করেছে এই খুন তার বর্ননায়,
খুনের আসামী দাড়িয়ে তার ঐ আদালতের কাঠগড়ায়,
জনসমক্ষে সুস্থ্য মস্তিস্কে স্বেচ্ছায়, করছে স্বীকার ঐ খুনের দায়,
তার কি দরকার, তবু কেন হাকিম ঐ ছুড়ি কিবা পিস্তলখানা দেখিতে চায়,
নাহলে কি তার হবেনা রায়,
এ জীবনে কভূ যদি আর তা পাওয়া নাহি যায়,
যদি তা ফেলে দিয়ে থাকে সুগভীর ঐ পদ্দার তলায়,  
এই উছিলায় ঐ মামলার আসামী হয়ে যায় দামী, সাজা নাহি পায়,
এমনও নাকি শোনা যায়,
এ জগতে কি নাহি হয় টাকায়,
সব পাওয়া যায়, মৃগনাভি কিবা বাঘের দুগ্ধ যে যাহা চায়,
আসামী নাকি ফেলে বদলায়,
আসল আসামী আরাম করে হাসপাতালের শয্যায়,
কেউবা আবার কৌশলে গোপনে বিদেশে চীর পারি জমায়,
তার জায়গায়, অঞ্জাত বেকসুর বেনামী অন্য আসামী ধরে এনে দেখায়,
জড়িত কত উকিল মুক্তার ব্যারিষ্টার এই করে প্রচুর অর্থ কামায় ও চলে খায়,
তাতে কি যায় জাত, সাত খুনের আসামীও জেলখানায় রাজ কুটুমের আদর কদর পায়,
আসলে তারা কি চায়,
এমন মামলাগুলির হয়না কেন রায়,
এইতো ভালো নেই কোন জবাবদিহিতা কিবা দায়,
চল্লিশ দিনে ফয়সালা হতে জানিনা কি এমন বাধা কিবা অন্তরায়,
তাতে দৃশ্যমান হচ্ছে বিপুল অর্থ অপচয়,
কথা মিথ্যে নয়, অন্ন ধ্বংস ও মূল্যবান মেধা মনন ও সীমিত সময়ের হ্রাস ॥
আছে কারোকারো টাকার গরম,
তবে মোটেও নাই ভয়, কোন ভাবনা সরম,
অন্ধকারে কিবা বাঁকা পথে অতি কৌশলে চলে তারা হরদম,
দায়িত্ব ছিল কার,
মূল্যবান কিছু আমানত ও সুরক্ষার,
কে তার প্রহরী, চতুর করনিক, কেবা জিম্মাদার,
উর্ধ্বতনেরা কারা, কেমনে তারা পেয়ে যায় পার, কেমনে ছাড়া, বুঝিনা ভেদ ও রহস্য তার,
দূর্বল কি কভূ দেখেছ, সবলের সংগে পারে,
নহে একতায় ভূক্তভোগী অসহায় জনতা ইতো শুধু হারে,
আছে ঠিকঠাক বসে, সরকারী বড় অফিসে, শীতল কামড়ায় নরম বড় চেয়ারে,
তবু কেন হায়,  যেন নাই কারো দায়, ফুরফুরে বায়, সব মজা খায়, তবে দায় নিতে চায়না ঘারে,  
মানূষ নামের মানূষ তারা,
দেশ কি চলছে তবে সরকার চক্ষু ছাড়া,
নাহলে কেন এমন দেখি,
ইচ্ছে করেই যেন তা রাখিছে লুকিয়ে ঢাকি,  
প্রশ্ন করে জনতায়,
তাহলে সরকারও কি তাই চায় ও তার ভাগ পায়,
নাহলে করিছে কেন পোষণ পালন, মিথ্যা মন্দ অবিচার অন্যায় আর সর্বনাশের হচ্ছে উদার চাষ ॥  
কেমনে এত হীন কাজ করে, তারপরে ফসকে এড়িয়ে যায়,
বড় বিদ্যান, বড় চাকুরী করে, সরকারী বাড়ী পায় দামী গাড়ী চড়ে, এত টাকা বেতন পায়,
কেমনে এসব যায় অফিসের বাহিরে,
যারা তথ্য নথি কিবা তার নকল পাঁচার করে,
তবু কেন কালো টাকা খোঁজে, নিয়ে যায় ব্যাগ ভরে,
কেন চাকরী যায়না, দেয়না কেন জেলে ভরে, পুলিশে ধরে,
যে করনিক কিবা অফিসার প্রশ্ন বেঁচে তারা কেন কভূ ধরা নাহি পড়ে,
তারা কি অচেনা, নাকি ঐ উর্ধ্বতনগনের মাথা কেনা, একেবারে ধরা ছোয়ার বাহিরে,
এত অনিয়ম দূর্নীতি অবিচার, এমন ভর্তী পরীক্ষার নাই দরকার,
জনতা সেচ্চার, কেমন সরকার, সব দেখে জেনেও ধরেনা আর করেনা তার বিচার,
যাদের নাই কোন দূরবীণ,
অচেতন তৃতীয় নয়ন, বড়ই হীন ও ক্ষিন,  
কেজানে জনতার কাছে, তাদের নাই কিবা আছে কোন দায় ঋন,
অপরাধী ও দোষীর যদি না হয় দোষ,
শেষে কে ঠেকাবে যদি ফেটে পড়ে, জনতার আক্ষেপ, ক্ষোভ ও রোশ,
নাই যেন কোন নিয়ন্ত্রন বাধ,
বহুদূর, তাই হয়ত চোখে পড়েনা কোন বড় অপরাধ,  
আমাদের সরকার, করেনা বিচার তার, কারন চাঁদের দেশে তারা করেন বসবাস ॥
যে প্রশ্ন ও তার উত্তর কিনে সে কেন সাজা পায়,
যা হতে পারে তার, দায়ে পড়া কোন দায়ভার, ছিলনা যার অন্য আর কোন উপায়,  
জবাব দেবেন কি সরকার,
নাহলে কেন তবে এত নিরব ও নির্বিকার,
কাঠের পুতুল কিবা কলাগাছতো নয়, কোন শক্তি সাধ্য নাহি যার,
কিছু বলেনা, ধরেনা দূর্নীতিবাজ চোর ডাকাতেরা কেমনে তবে পেয়ে যায় পার,
আছে জুড়ে আসন, সাহসী বুকটান বিচরণ, জানিনা কে দেয় তাদেরে এত বল ও এত বেশী ছাড়,
গুরুতর এ অন্যায়ের যে করে পক্ষপাত ও সমর্থন,
জাতীর মেধা ও মননের প্রতি যেন তা ওষ্ঠাঘাত, শিক্ষা ব্যাবস্থার প্রতি অবিচার ও পদদলন,
মেধাবী শিক্ষার্থীদের কপালে হাত,
বিনা ঘূমে হায় নিদারুন হতাশায় তাদের কেটে যায় রাত,
তারাইতো হবে আমলা ও মন্ত্রী মিনিষ্টার,
এত বলি বারবার, তবু কে শোনে কথা কার,
অভিভাবকদের বুকে আক্ষেপ উৎকন্ঠা আর হাহাকার,
তখন সত্য ও সততার হাতে রহিল আর কি ক্ষমতা ও অধিকার,  
যখন মেধার এত অবমূল্যায়ন ও অবক্ষয় সততার একটা জাতীর কি থাকে আর,
মিথ্যা ও মন্দের কাছে ভালোর হলেও হতে পারে, তবে তা নিশ্চিতই সাময়িক হার,  
নিশ্চিত আগামীর প্রশাসন, কথায় হবে বড় কাজেতে ঠনঠন ও সরকার তচনচ ভংগুর ছাড়খাড়,
হাজার বছরের ইতিহাস সত্য কহে, আজও বহে তার প্রমান,
বিনোদন ভোগবিলাস আর অপচয় যূলূম নির্যাতন অত্যাচার ও অবিচার, ধ্বংসে হয়েছে যার অবসান,
কিছুদিন পর, এরা যেদিন বড় বড় কর্ম্মকর্তা হবে,
ঘূষ দিয়ে উৎরে যাওয়া, সবখানে সবকাজে তারাই দশগুন বেশী ঘূষ লবে,
শুধু টাকার বলে,
মেধাহীন ও দূর্নীতিবাজদের লয়ে দলে,
না পড়ে, কাঠখড় না পুড়িয়ে, বিনাশ্রমে যখন টুলটেবিলগুলি সব হয়ে যাবে পার, করবে পাশ ॥
তাই কি সরকার এ বিষয়গুলি এড়িয়ে বা পাশ কাটিয়ে যায়,
তা না যদি হয়, তবে তার কারন কি, জনগন তা জানিতে চায়,
সব দলের লোক, বসানো আছে বলে বড় বড় সব দায়িত্ব ও ক্ষমতায়,
উপরের নির্দেশ রাখো,
পারলে তা, চাপা দিয়ে ঢাকো,
নাহলে কিছুদিন চুপ করে ঘূপটি মেরে থাকো,
কদিন পরেই সব,
দেখিবে কেমন হয়ে যাবে শান্ত, শীতল ও নিরব,
ডিজিটাল এ যূগে আজ,
এই যদি হয় তাদের পেশা ও কাজ,
কেজানে কদিন পরে, ক্ষমতা গেলে ঝরে, কি লেখা হবে চলছে যেসব কাজকারবার তার ইতিহাস ॥
ছোট ছোট প্রশ্ন, ছোট উত্তর, কিসের ভাবনা তাদের,
নকলে সময় লাগে কম, সব রেডি পাওয়া যায়, পড়াশোনার কি দরকার, যাদের টাকা আছে ঢের,
সরকারের বন্ধ দুই চোখে রাখা কাঁচা শশার ফালি,
কানেও দেওয়া তুলো, কি আসে যায়, যদিওবা কেউ দেয় গালি,
গর্ব মোদের বাংলাদেশের সেনা ও পুলিশ,
দক্ষতার মানে সবাই জানে সারা বিশে^ সেরা, নেই কোন যার নজির ও হদীস,
অনায়াসে নিমেষে অপরাধী কিবা আসামী ধরতে পারে, করিতে দূর্নীতি উৎখাত ও সমূলে বিনাশ ॥  
তবে তা হয়না কেন,
গোপন রহস্য ও তার কারন যেন,
কেন আজও হয় নাই তবে,
অপার ঐ সম্ভাবনা কবে আর তা হবে,
আশার আলো সকলই সুšদর শোভন ও ভালো ঐ দক্ষতা, বিচক্ষনতা ও সততার প্রয়োগ ও বিকাশ ॥
কত আসামী অপরাধী ঘূরে বেড়ায় সবার জানা,
তবু পুলিশে খুঁজে বেড়ায়, বলে পায়না/ধরা পড়েনা নাকি ইচ্ছে করেই ধরেনা,
যারা প্রশ্ন ও উত্তর বেঁচে,
তারা কেন হাওয়ায় গা ভাসিয়ে বেড়ায় ভেসে খুশীতে নেঁচে,
কে বলিবে আহারে, এর কি কারন,
সে কি ডিজিটাল উন্নয়ন, নাকি অবক্ষয় ও অধঃপতন,
সুবিচার হারে, অপরাধী কেমনে জুড়ে বসে আছে তার সিংহাসন,
পুলিশের কাছে গেলে কেন সে, করেনা অভিযোগ কিবা মামলা  গ্রহন,
জাতীর বিবেক গতি,
মহাদালতের মহান বিচারপতি,
অভিযোগ কিবা নালিশ করলে কি এমন ক্ষতি,
যারা মেধা, মনন ও মর্যাদায় বড় তাদের কেন হয়না সুমতি,
কিসের ভয় কিবা ক্ষতি, কেন অচেতন, বিঞ্জ ঞ্জানী গুনীগন, বুঁজে আছে নয়ন, যেন সবাই জিন্দা লাশ ॥
তলিয়ে দেখেনা করেনা যাচাই সত্য উদঘাটন,
কার ভূলে ভূল রায় হয়, অপরাধ না করেও পরাজয়, আধ পাগলের মতন,
বিনা দোষে অকারন, নষ্ট হয়ে যায় কত সংসার, কত মানূষের জেলখানায় কেটে যায় সারা জীবন,
পুলিশের এ স্বভাব ও আচরণে দিয়েছে উদ্দোগ,
তার কারন টাকার পাহাড় গড়ার লোভ ও ঢের সুযোগ,
বেশী ধন, ভোগা বিলাস ও বিনোদন সেযে এক ভযাবহ রোগ,  
তার সংগে হয়ে যোগ প্রশাসনের চাপ ও প্রভাব কত স্বপ্ন আশার হয়নি মিলন ভোগ,
ধনী হবার লোভ, মোহ, স্বপ্ন আশা ও প্রলোভন,
উপরের চাপ ও প্রভাব পুলিশের মান ও সুনাম করেছে হনন,
ঘূনে ধরা, কুড়ে খাওয়া জিয়নে মরা, অগনিত সত্য ও ন্যায়ের অকাল মরন করছে সর্বনাশ ॥
যাদের মনে হতাশার হাহাকার, বুকে চাঁপা কষ্ট আর র্দূভাবনার চাপ একরাশ,
কোথা হতে পেলো তারা দূর্নীতির পত্রছাড়, যেন বেপরোয়া দূর্নিবার, করে উচ্চ পাশ,
কোটি মানূষের দুঃক্ষ বেদনের অস্ফুট কান্নার উপহার, তাদের ঐ একপাহাড় ধন ও ভোগবিলাস ॥  
ঞ্জানী গুনী সবাই চুপ,
আসছে ধেয়ে ছায়া মেরে দীপ্ত ধূপ,
গোধূলীর হাতছানিতে হৃমকি হয় ভয়াল কূপ,
সবকিছু দেখে শুনে,
কালের করাল থাবার পরিনতি গুনে,
জাগ্রত সচেতন, দেশজুড়ে জনগন, তাই সবাই উদাস ও হতাশ ॥
কে আছে দূরন্ত মহান এমন,
তার উৎস, রহস্য ও মূখোস করিবে উম্মোচন,
করিবে সকল অত্যাচার, যূলূম, অন্যায়, অবিচার, দূর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ন্ত্রন ও দমন,
যত রক্ষক, গুরু ও ভক্ষক, যেথা হতে তা শুরু, হবে তা সমূলে উৎপাটন ও বিনাশ যত সব সন্ত্রাস ॥
মস্ত্রী হেসে বলে, তা এমন কোন ক্ষতিকর কিছু নয়,
হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক থেকে যদিও লোপাট ও উধাও হয়,
কেমনে যায় কই যায়, কেন কেউ দেখেনা তলায়, ভাল করে তার নাহি খবর লয়,
গিলছে ধীরেধীরে, দেশের যত গরীব মানূষ আর দেশটারে, জানিনা কোন্ সে রাহুর গ্রাস ॥
শত বছর পিছনে যাই,
এসো ভাই চলো আমরা সবাই,
একবার ঘূরে আসি বেড়াতে গিয়ে দেখতে চাই,
বদলে ঠিকানা ধাম, নাহয় হেথা থেকেই গেলাম, যদি শান্তিসুখ সম্মান পাই,
দেখতে আর ভালো লাগেনা ধন ও ক্ষমতার বড়াই, গরীবেরা কেন আজ জিম্মি সবাই,
মজলুম, নাই মনে শান্তি চোখে ঘূম, যেথা মানূষজন ব্যাস্ত সবাই ধনে বড় হবার আর জেতার লড়াই,
ন্বিঃস্ব নিরীহ দূর্বল অক্ষম অসহায় সব ভালো মানূষেরা কেন হলো কোনঠাসা আর কেমনে এ সমাজের দাস ॥
তবে কি শুধু সাংবাদিক,
সত্য ও ন্যায়ের পূজারী ও সৈনিক,
মানূষের প্রতি আছে মমতা, দেশপ্রেমিক ও  নির্ভীক,
অন্ধকারে জ্বালায় বাতি, ছড়ায় আলো, দেখায় সোজা পথ,  দেখায় ভালো দিক,
সালাম জানাই, এইটুকু চাই, এই যেন সদা পাই, সংগে আছি কোন ভয় নাই, মিথ্যা ও মন্দের তরে ধিক,
নাহলে কিযে হতো,
একটুখানি সান্তনা, প্রেরণা ও মনোবল কেমনে তারা পেতো,
সমাজের এ অন্যায়গুলো তবে, চোখে আংগুল দিয়ে সবারে কে দেখাতো,
শত সমস্যা আপদে ঘেরা, দীনজন অসহায় মজলুমেরা, লক্ষ কোটি শত কোথায় যেতো,
দূর্নীতির কাছে হারা,
মেধার যুদ্ধে বাদ পরা মেধাবী ছাত্ররা,
স্বেচ্ছা নির্বাসনে, লেখাপড়া ছেড়ে সপরিবারে গিয়ে কোন বনে, তবে কি তারা কাটিবে আর খাবে ঘাস ॥