মেমোরীর অতীতে গিয়ে দেখি
সরোবর ভরে আছে, টাটকা স্মৃতি
যুগান্তর হয়েও যেন মনে হয়--
নিকট অতীতের আবাসিক আমি,
আবাস ফুরফুরা হোস্টেল;
সামনেই মাথা মুন্ডানো দেবদারু গাছ
সবুজের কোলাজে; জলাশয় সুমুখে পশ্চাতে
শহরের দূষণ বর্জিত প্রকৃতির সৌন্দর্যের
মাঝে তুমি
         যেন শিল্পীর আঁকা ছবি৷


সকাল-বিকাল, কখনো সন্ধ্যায়
রফিক হুজুরের রচিত এ বাগীচায়
প্রতি ইটে যেন ছোঁয়া তাঁর, এ-অট্টালিকায়
আই, ডি, বি-র গড়ে দেওয়া ইমারত
আমরা ছিলাম তার অস্থায়ী নাগরিক
দেশ ফুরফুরা হোস্টেল৷


বাংলার উর্বর ভূমি তুমি সুসন্তানের
বহুকাল আগের রোপিত বীজ আজ
                                              মহীরুহ
রোপণকারী মুজাদ্দিদে জামান;
তুমি তো সেই ইলমের নন্দন কানন
জ্ঞান বিনোদিনী ফুরফুরা হোস্টেল৷


তোমার প্রথম ফটকে রহিমের রান্নাঘরে
বিরিয়ানি, নিহারী, কোবতার সমাহার
বিপরীতে চাচার মুদি ভান্ডার
সার্ফ, সাবান আর কয়েক পদের চানাচুর
                কাস্টমার?
কিছু পথিক আর ফুরফুরা হোস্টেল৷


অতীতে ফিরতেই ভিড় করে কত স্মৃতি
ডাইমন্ড ভলিবল ক্লাব, লিফ্টার জালাল
ম্যাচার মিন্টু-নাজিম;
আজও দেখি সেই শর্ট চাপের দুরন্ত গতি
গ্রাম্য স্টেডিয়াম, ফুরফুরা হোস্টেল৷


কর্ম জীবন আজ দৌড়ঝাপে ক্লান্ত
যখন অবসর কাটে জমা স্মৃতির রোমন্থনে
তুমি তার রূপকার অন্তর পটে,
ঝকঝকে আলোর ছটায় আজও ভাস্বর
তুমি আমার সেই ফুরফুরা হোস্টেল৷