যখন সকলে ভাবে মৃত্যু বিলাস
তখনই দেখলাম তোমার সুধা বৈভব
শীতের পাতাঝরার ঢের বাকি,
তুমি জানিয়ে গেলে মৃত্যুই সত্য  ৷


হৈমন্তিক সকাল এঁকেছো দেহময়
বসন্ত নাই বা এলো; বা স্বপ্নের অন্যথা
দেহান্তরী দর্শন মিশে গেছে অন্তরীক্ষে
জলন্ত উল্কার নৈশ যাতনা কত গভীর!
ঠিক এখানেই তুমি তত্ত্ববিদ
তাই তো খেলতে পারো আঙিনার রোদেলায় ৷


আমি জানতে চাই না
কতটা পথ হেঁটে তুমি পথিক হয়েছো,
বির্য হারানো বৈকালিক সূর্যছটা
কিংবা রংধনুর মনমরা মরমি আভা
তোমাকে কতটা স্নিগ্ধ করেছে ৷
সান্ধ্য মোহে কতটা চঞ্চল তোমার চিত্ত
অতীতের বিমূর্ত পথ বেয়ে পৌছতে পেরেছো কি না
এসবের কোনটাই আমাকে বিচলিত করে না ৷


আমি তোমার একটা প্রতিমূর্তি এঁকেছিলাম
নিশুতি জ্যোৎস্নার মতো
গভীরতার কারণে অচঞ্চল নদীর মতো
বেনীয়াসহকলার আনুপাতিক মিশ্রণে যে শুভ্রতা
আমার ছবিটা ঠিক সেই রঙের ৷


মৃত্যুর নগর-বন্দর ঘুরে ফেরে মুসাফির
আবক্ষ জলধর হলে অশ্রুর বাকি থাকে কি?
কিভাবে কিরূপে দর্শন হয় ধ্বংসের প্রতিরূপ?
মৃত্যু কখনো স্বর্ণালি নয় অথচ তুমি বর্ণ দিয়েছো
যেটুকু বেঁচে ছিল নিশিথের ভাঁজে
নিঃসঙ্গতায় দীর্ণ লিপিকার খাঁজে
সত্যের আঘাতে ক্ষত তোমার লক্ষ্যহীন সফর ৷


যেখানেই নোঙর ফেলো সাদা আঁধারের বুকে
চোখ রেখো নীলিমায় গাঢ় তমাসায়
হাত নেড়ে জানাবো বিদায়ী ইঙ্গিত
আকাশের ব্যালকনী থেকে
দীর্ঘ নিদ্রায় ডুবে যাবো কালের চাদর মুড়ে ৷


তাই বলছিলাম তোমার অবশিষ্ট অবকাশ
আর মৃত্যুর অভিমুখ তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বে বিভাজিত;
তার পরেও তোমার হৈমন্তিক ক্যানভাসে
বিনোদনের তুলিতে সত্যের ছবি আঁকা
অনন্য আবেগ ভরা জীবনের ভাস্কর্য ৷


২৪১১২০১৮
চাপড়া