পাতা উল্টিয়ে ফিরি উপন্যাসের প্রথম অধ্যায়ে
কবেকার পল্লীর বাঁশবন ঘেরা স্মৃতি
পিপুল পাতার বিকীর্ণ বিহার ঐ বংশদলের নিশা
প্রাতের নগ্নপদে বিচ্ছিন্ন ধূলিকণা রমনার বুকে
টিউলিপ বাঁধানো বেণীর বিদিশাও অম্লান
শুধু পারিনি ফিরে যেতে উপন্যাসের পাতার মতো ৷


বৈচিত্র আধারে নেমেছে আঁধার টলমল শব্দযুথ
কম্পিত অধর জুড়ে নেমেছে চুম্বন পিপাসা
বাঁধানো ঘাটে লতানো অতীত বর্তমানের দেহে
অনাদরে আজো ফোটে চন্দ্রমল্লিকা ৷
হারিয়েছে শুধু খুঁজে ফেরা শৈশব
বন-বাদাড়ে অবাধ বিচরণের স্বাধীনতা
বিনা রোষে আকাশ-বাতাস নিহারীকা ছায়াপথ
মনের মাধুরী দিয়ে বিজ্ঞানের ব্যখ্যা প্রদানের অধিকার ৷


রিপু দিয়ে আগল সেলাইয়ে শিল্প নির্মাণ
টুনটুনি-বেড়ালের কথা গাঁথেনা সেখানে
বাবুইয়ের ঘরকন্না, তাঁত শিল্প নয় কর্মমুখর
সঙ্গীতে নেই কোকিল, মুনিয়ার গান
বদলে এসেছে আবাসন, ডিজে ব্যান্ড
লুপ্ত প্রায় কত প্রজাতির ইতিহাস
বুক ভরে নেওয়া অশুদ্ধ বাতাস
আর নতুন শিল্পজাত ধ্বংসের রাজপথ৷


তন্ন তন্ন করে আকাশ-পাতাল অন্তহীন ভ্রমণ
রমনার শরীর আঁকড়ে যেটুকু মাদকতা
তাতে মেটেনা বিনোদনের তীব্র ক্ষুধা
গ্রাম্য সবুজে, মাটির দেওয়ালে
নেমে আসে প্রাচীন সন্ধ্যা
অস্তমিত সূর্যের মায়ায় ভেজে ইন্দ্রিয়
ফিরে আসেনা স্বপ্নের রমনা৷
_______________


(অকপট সাহিত্য পত্রিকার উৎসব সংখ্যায় প্রকাশিত)