তরুণ উঠুক জেগে, দূর্বার গতি নিয়ে
তরুণ ছুটুক রেগে, স্বপ্নের পথে ধেয়ে;
তরুণ ছুটুক তরুণ
দিন-রাত শুধু খুঁজে চলুক রক্তরঙা অরুণ,
যুগের বদান্যে ষোলতেই ছোটে তরুণ
ধ্বংসের পথ পাড়ি দিতে হবে বদনখানি করুণ ৷


তরুণ! তরুণ!
অজানার পথ ধরুন;
দায়-ভার নিয়ে কাঁধে,
তরুণ ছুটুক আকাশে-পাতালে বিজয়গাঁথার সাধে ৷
তরুণ চলুক আঁধার চিরে সন্ধানে নতুন ভোর,
জগৎ জুড়ে অপরাধ ভরে, আঁধার নেমেছে ঘোর;
স্বপ্নের ফেরি পাথারে পড়েছে, কে জানে কোথায় কূল
তরুণ-ই পারে ভাঙতে নিয়ম-অনিয়মের যত ভুল ৷
চারিদিক সব হাহাকারে আজ অশ্রু ঝরিয়ে বলে,
তরুণ যেন মুখ ফিরে চায়, হেঁটে যেন না চলে ৷
গঞ্জের যুবা নগর ঢুঁড়ে দেশ-দেশান্তরে
মুঠো ভরে পণ, করে পথ নিরূপণ আশা ভরে অন্তরে ৷
কিভাবে যেন কোন পথ ধরে তমাসা গিয়েছে ছেয়ে,
হিংসার আগুন, ধ্বংসের ছায়া ভরেছে দেশের গায়ে ৷
তীব্র ক্ষুধা-তৃষ্ণায় আজও সহদরা কাঁদে ঘরে,
তরুণ তুমি বেঁচে আছো তবে, কেন কিসের তরে?


তরুণ! তরুণ!
কি দুঃখ নিদারুণ
অত্যাচারের আস্তরণে ভরেছে ভুবন
একে একে ক্ষত প্রদাহে দেশের প্রতিটি কোণ;
ক্লান্তশ্বাস করে নিঃশেষ তরুণ তোমাকে চায়,
জীবনের আশা হয়েছে নিরাশা, বোন ডেকেছে ভাই ৷
তরুণ! তোমাকে ডাকে মা, শয্যাশায়ী দেশ,
বুক ফেঁড়ে আনো মনের গহিনে বেঁচে থাকা যত দ্বেষ ৷


তরুণ! তরুণ!
তুমিই নবারুণ
কেন আজ দুটো অন্ন জোটে না, নুন-ভাত দুটো পাতে,
দেশটা কেন বিপথে আজও? চলছে কাদের হাতে ?
এ মহাভার বইবে না তুমি, তবে তুমি কেন তরুণ?
আবার কেন ক্ষমতার ঘরে সাদ্দাদ কিংবা কারুণ ?
বহু বেদনায়, দুখের সাগরে, অভিমান, অনুরাগে
বিবাহিত জুড়ি সজল চোখে, ভয় কেন মনে জাগে?
সবুজ শ্যামল শস্যভূমি, সুখের স্বর্গের ঠোটে,
হাসির রেখা হারিয়ে যাবে সূর্য যদি না ওঠে ৷


তরুণ তোমার পথ,
বিপ্লবী মন ক্ষয়ে গেল কোথা ?
হারিয়ে ফেলো না জীবনের মহাশপথ;
জীবনের সব রাত্রি নিধনে তুমি হলে দিবাকর,
অরুণ প্রান্তের নির্ভীক বীর নিশঙ্ক নিশাচর ৷
আর কত দিন সহিলে জ্বালা পোহাবে জ্বাহেলী রাত?
আঘাতের পরে দেখতে চাই আজ তরুণের প্রতিঘাত ৷


তরুণ! তরুণ!
হাতে ধরো ধারালো নরুণ
বিক্ষত করো মানব ছালে আছে পশু যত,
আগুন জ্বালিয়ে আগুন নিভিয়ে ভুচর করো শান্ত
মিনতি যত তারুণ্যের প্রতি শত কোটির মুখ
ডুবন্ত তরীর তুমি ধরো হাল বুকে ভরে দাও সুখ
সব পরাজয় মেনে নিয়েও বলি পরাজিত হয়ো না তুমি
তরুণ-তুর্কি পরাজিত হলে পারাজিত হবো আমি ৷
                
২৩০৯২০১৮
কুলগাছি
(আল-ওয়াদি পত্রিকায় প্রকাশিত)