'যখন নীরবে দুরে' গানে একটা প্রশ্ন ছিল "মরীচিকা না ধ্রুবতারা"
সাহিত্যের ক্ষেত্রে, বিশেষত কবিতার ক্ষেত্রে এই কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, অন্তত আমার কাছে।
সত্যিই কি "সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই?"
একটু তলিয়ে দেখা যাক। কখন কোন মুহুর্ত, সুখের বা দুঃখের, যাই হোক না কেন, অমর হয়ে যায় লিপিবদ্ধ রূপে। কোন বিশেষ ভাব মনে নিয়ে আসে অনেক অনেক কথা, যা কবির মননে চেতনে হয়ে ওঠে কবিতা। হয়তো সে লেখা পড়ে পাঠক বলে ওঠেন, 'এই তো, এই তো, আমার কথাই বলেছে। এরম তো আমারও হয়।' কিম্বা "হায়রে, পড়ে মনটা ফাঁকা হয়ে গেল।" কখনো কখনো তরবারীর চেয়েও শক্তি নিয়ে কলম ছিন্নভিন্ন করে, মরমে নেয়, উসকে দেয় হাজার হাজার মন করে, কিছু লেখা কালজয়ী হয়ে বিভিন্ন মানুষের মনে দোলা দেয় বহু দিন ধরে।  হয়তো দেখা গেল, কোন কবির লেখা পড়ে পাঠক হেসে উঠলেন, সেসময় কবি হয়তো যন্ত্রণায় কাতর। আবার এমনও হয়েছে, কবির যৌবনকালীন আবেগে লেখা কবিতা বহু তরুণের রক্ত গরম করে, বিদ্রূপে জর্জরিত হয়েছে কায়েমী স্বার্থ আর কবি অস্তিত্ব রক্ষায় বা অভিলাস পূরণে বিকিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীনের কাছে।
তাহলে, এসব লেখায় যা ধরা দেয়, যা বেড়ে ওঠে এগুলো কি? তাই কি সত্য, যা মুহুর্তের তরে দেখা দেওয়ায় ধরা পড়ে গেছে যুগ যুগান্তরের জন্য? নাকি তা বারবার ফিরে আসা মায়া? মরীচিকা?
তাই যদি হয়, তাহলে কেনই  এত জনের মন, এতদিন ধরে বলে ওঠে 'এ যে আমার, এ যে আমারই কথা।"