যতদিন মানুষ থাকবে, ততদিন রাজনীতি থাকবে। যতদিন মানুষ থাকবে, ততদিন চেতনা থাকবে। আর চেতনা থাকলেই কবিতা থাকবে।
অতএব,সিদ্ধান্তে আসা গেল। মানুষ থাকলে রাজনীতি ও কবিতা থাকবে।
রাজনীতি থাকলে তার সমর্থনে কিছু মানুষও থাকবে। তাই মানুষ থাকলে কবিতাও থাকবে।
এই ওয়েবসাইটেও কবিতার বিষয় হিসেবে দেখানো 'দেশাত্মবোধক কবিতা', 'মানবতাবাদী কবিতা', 'যুদ্ধের কবিতা' প্রকৃতপক্ষেতো রাজনৈতিকই। বিশেষ করে শেষেরটাতো বটেই।
বিভিন্ন রাজনৈতিক সমর্থনে কবিতারা অনেক ক্ষেত্রেই প্রবাদ হয়ে গেছে। শামসুর রাহমান, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়রা অনেক ক্ষেত্রেই সরব হয়েছেন রাজনৈতিক দাবীতে। স্বাধীনতা পুর্ব যুগে কাজী নজরুল ইসলামের বলিষ্ঠ প্রকাশ ভঙ্গি আজো অনুপ্রেরণা।


শুধু ছাপানো কবিতাই কেন, শ্লোগান গুলোই কম কিসে।
যেমন,
"ঘাম যার, দাম তার
লাঙ্গল যার, জমি তার।"
১৯৩৭ সালের নির্বাচনে ফজলুল হকের সমর্থনে এই শ্লোগানটি চিরকালের জন্য অমর হয়ে গেছে।
এছাড়াও, ৬০ ও সত্তরের দশকে পশ্চিমবঙ্গে পুলিশী অত্যাচারের উত্তরে দুর্বলের প্রতিবাদ ছিল,
"পুলিশ লাঠি তুমি যতই ধর
মাইনে তোমার একশ বারো।"
ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কিছু কিছু শ্লোগান বার বার ফিরে ফিরে আসে, যেমন
"তোমার আমার ঠিকানা
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা।"


তাই মানুষ থাকবে, চেতনা থাকবে, রাজনীতিও থাকবে, থাকবে রাজনৈতিক কবিতারাও।