কবি খায়রুল আহসান আমার ' নীরব বসন্তের লেখিকাকে' কবিতাতে এক দীর্ঘ অনুসন্ধানসমৃদ্ধ মন্তব্য করেছেন। তাতে অনেক কিছু তথ্য জানতে পারলাম যা আগে জানতাম না।
হঠাৎ করেই লক্ষ্য করলাম বেশ কিছু মানুষকে নিয়ে লিখে ফেলেছি। এর মধ্যে কিছু সাম্প্রতিক(ও চা ওয়ালা, মিকি কোহেন আপনাকে), কিছু ঐতিহাসিক(ডঃ বিধানচন্দ্র রায়, চৈতন্যদেবের প্রতি কালাপাহাড়) ও কাল্পনিক(রবি বিশ্বাসের যাত্রা [মূল অণুপ্রেরণা : কবি শ্যামলেন্দ্র চক্রবর্তীর 'শান্তিমাসী']) চরিত্রও আছেন।
কবিতা বা কাব্য সাহিত্যে কারো চরিত্র ফুটিয়ে তোলা খুব বিরল নয়। অনেকেই কবিতায় শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে অসামান্যভাবে তাঁর চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। দেশবন্ধুর প্রতি বিশ্বকবির শ্রদ্ধাঞ্জলি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নজরুলের 'মরু ভাস্কর' এক অনন্য প্রয়াস ছিল। এছাড়াও এই বাংলার মাটিতে 'মঙ্গল কাব্য' গুলি এক ধরণের চরিত্র চিত্রণই। (অন্তত আমার ক্ষুদ্র বোধ তাই বলে।) আর বাংলা সাহিত্যের কলকাতা অধ্যায় শুরুর আগে এক বড় অংশ জুড়েই ছিল শ্রীচৈতন্যের জীবনী আলোচনা। কৃষ্ণজীবনীও অন্যতম প্রভাব বিস্তার করেছিল। ছোটবেলায় পড়া 'Solomon Grandy' বা 'এক ছিল সাতুরায়' ছড়া গুলোতেও ঐ জাতীয় চেষ্টা আছে।
গদ্য সাহিত্যে চরিত্র চিত্রণ কিছুটা ব্যাপকতর। বনফুলের বেশ কিছু ছোটগল্প তো অসামান্য বললেও কম বলা হয়। কেউ কি ভুলতে পারবে পাঠশালার কঠোর অথচ ছাত্রবত্সল পন্ডিতকে? কিম্বা হুমায়ূন আহমেদের 'দেয়াল' বা 'জোছনা ও জননীর গল্প' যাঁরা পড়েছেন তাঁদের পক্ষে কোন বাস্তব চরিত্রকেই দাগ কাটতে না দেওয়া অসম্ভব।
কিন্তু পদ্য সাহিত্যে তা বড় দুরূহ ও দুর্লভ। অনেক ক্ষেত্রেই বক্তব্য আর সৌন্দর্য্য মিল খায় না সাবলীলতার অভাবে।
এ ব্যপারে কবি বন্ধুরা কি বলেন?