অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাপক সামাজিক দুর্বিপাকের সম্মুখীন হয়েও প্রত্যুত্তর দেওয়া যায় না, চেপে যেতে হয়। তবুও কবিরা মহান মানব। কবি নজরুল লিখে ফেলেন ‘আমার কৈফিয়ত’ এর মত কবিতা। এরকম আরো হয়তো অন্য কেউ অন্যভাবে লিখেছেন।
একদা এক সাপের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামবাসীর এক ঋষির কাছে যায়। ঋষি সাপটিকে তার দাপট থামাতে বলেন। অন্যথা ভয়াবহ শাপ দেওয়ার হুমকি দেন।এরপর সাপটি পাড়ার ছেলেদের ঠেলায় নিজেই বিপন্ন হয়ে পড়ে। গর্ত থেকে বেরনোও বন্ধ হয়ে যায়। তখন ঋষি তাকে বিধান দেন, এরকম জ্বালাতন করলে সে ফোঁস করে উঠতে পারবে।
এখন আমরা সেই রকমই ঋষির শাপের ভয়ে আতঙ্কিত। তবুও কেউ কেউ করে উঠি ফোঁস। আমাদের আসরের কবিদেরও ফোঁস করে উঠতে দেখা গেছে। কখনো সরকারী নীতি, কখনো সেই ফাঁক ফোকরে আশ্রয় নেওয়া অনেক অসাধু বা কখনো আন্তর্জাতিক বিষয়।
তাই এক্ষেত্রে এই কথাই কি সত্যি?
‘আমিও বলি, তুমিও বল সোজাসুজি না’
অবশ্য সোজাসুজি বললে আর কাব্যিকতা থাকে কোথায়?