এখানে ঈশ্বর গুপ্ত এর সম্প্রতি কিছু কবিতা যোগ হয়েছে। তাঁকে নিয়ে অনেক গুণীজন অনেক কিছু বলেছেন, পরেও বলবেন। এর মধ্যে আমি ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে কিছু বলতে চাই। পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর বঙ্গ তথা ভারতে এক নয়া অধ্যায় শুরু হয়। এই অধ্যায় শুরুর অন্যতম কারিগর ছিলেন বিশ্বাসঘাতক কৃষ্ণচন্দ্র। নদীয়ার জমিদারিতে তাঁকে এবং গোপাল ভাঁড়কে নিয়ে বহু গল্প আমরা শুনে এসেছি। তাঁর এক সভাকবি ছিলেন রায় গুণাকর ভারতচন্দ্র। এই অন্নদামঙ্গলের কবিকেই ঈশ্বর গুপ্তের প্রধান পূর্বসূরী বলা যায়।
ভারতচন্দ্রকে নিয়ে লেখা হয়েছিল,
'ভারত ভারত খ্যাত আপনার গুণে'
অন্যদিকে লেখা হল
'ঈশ্বর গুপ্ত কোথা, ব্যপ্ত চরাচর
যাঁর প্রভায় প্রভা পায় প্রভাকর'
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঈশ্বর গুপ্ত 'সংবাদ প্রভাকর' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
ইংরেজ শাসনের বহুমুখী ঘটনা প্রবাহ ও বহুমুখী দিকের মধ্যে একটা হল শহর কলকাতার উড়ান। শহর কলকাতায় সাদা ও কালো মানুষদের জন্য আলাদা বাসস্থান। অন্যদিকে রোগ ভোগ।
এই নিয়ে কবি লিখেছিলেন,
'রাতে মশা, দিনে মাছি
এই নিয়ে কলকাতায় আছি'
ঈশ্বর গুপ্তকে কলকেতা কালচারের জনক বললেও ভুল হয়না। কবিগানের খেউর, গুলিখোর পক্ষীরা, বাবুয়ানা যেন তাঁর কলমের কালি হয়ে উঠল। সিপাহী বিদ্রোহ সম্পর্কে তাঁর নানা লেখা মিলিয়ে নিলে এই উক্তির যথার্থতা বোঝা যাবে। পাঠকেরা দয়া করে দেখে নেবেন। তিনি ছিলেন এক কথায় Trend setter, সেই Trend ধরে চলেছেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সহ বহু কবি সাহিত্যিক। বলা চলে সাহিত্য সম্রাটের সাম্রাজ্যের প্রাসাদ গুলি ঈশ্বর গুপ্তই রচনা করেছিলেন। সাহিত্য সম্রাটের এই সাম্রাজ্যের অলিগলিতে অনেকেই চরে বেরিয়েছেন, এখনো বেড়াচ্ছেন। এস ওয়াজেদ আলির ভাষায় 'সেই ট্রাডিশন সমানে চলেছে'।


মাননীয় এডমিনকে অনুরোধ রইল ঈশ্বর গুপ্ত এর সিপাহী বিদ্রোহ বিষয়ক কবিতা গুলিও দয়া করে প্রকাশ করার।