আজ আমাদের আসরের অন্যতম বিশিষ্ট জন যিনি আমাদের আত্মার আত্মীয়ও বটে, সেই মহীরূহ কবি জনাব কবীর হুমায়ূন সাহেবকে নিয়ে লিখতে বসেছি। এই পল্লবিত সাহিত্যকাননে তাঁর ছায়ায় আসর স্নিগ্ধ।
তাঁর ছন্দজ্ঞান ও ছন্দপ্রয়োগের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। আমরা কেবল গুণমুগ্ধ হয়ে পড়ি। আর তাঁর সাংগঠনিক উদ্যোগের গুণগ্রাহী আমরা সকলে। কোথা থেকে শুরু করব, তিনি প্রথমে ঢাকার কবিদের সম্মেলন দিয়ে শুরু করে এই আসরকে নিছক এক ওয়েবসাইট থেকে পরিবার বানিয়ে তুলেছেন। একুশে বইমেলায় 'শতরূপে ভালোবাসা' প্রকাশে তাঁর উদ্যোগ অবিস্মরণীয়। এছাড়াও বিভিন্ন কবিদের হাল-হকিকতের খোঁজ-খবর রাখায় তাঁর অফুরান প্রয়াস পেয়েছি, কবি মোঃ আবদুল মান্নানের অসুস্থতার সময়ে নিজের মূল্যবান সময় ব্যয় করে তাঁকে দেখতে গেছিলেন, তাঁর খবরাখবর আমাদের দিয়েছিলেন।
তাঁর যথার্থ মূল্যায়ন আমি করতে পারবো না, তাই আসরের আরেক জন বিশিষ্ট কাব্যব্যক্তিত্ব কবি বোদরুল আলমের কথা ধার করতে হচ্ছে,
"স্বনামধন্য বিশিষ্ট কবি কবীর হুমায়ূন (আজকেরটা নিয়ে ৫৭৭টি কবিতায় সমৃদ্ধ করেছেন আসরকে) তো এই আসরের এক মহীরুহের মত আসরকে এক অদৃশ্য শক্তিতে শুধু যে বেঁধে রেখেছেন তা' নয়, আসরকে আলোকিত করে চলেছেন নিরন্তর। কবিতার ছন্দতা নিয়ে উনার সহৃদয় মনোভাব, প্রয়োগ ও কার্যকলাপ আসরের সৃজন ও মননকে আলাদা মাত্রা দিয়ে চলেছে।"
(এই মন্তব্যটি বেশ কিছুদিন আগের, তাই কবিতার উল্লিখিত সংখ্যাও তৎকালীন।)