কত শত-হাজার সুখময় কথার ভিড়ে
শেষের কথাই বারবার মনে পড়ে,
কল্পনাতে নয়, অসহ্য কষ্ট মনে লাগে
চোখের সামনে দিয়ে চলে গেলে ওপারে।

ঘর থেকে বাহির হওয়া মানেই
না ফেরার কথা ছিল না;
ফিরে আসার বাস্তব কথা ছিল,
স্বল্প দূরে গিয়ে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া
দেখ,এমনটা কেউ মেনে নেয় না।

ধনুকের তীরে বুকের পাজর কণ্টকাকীর্ণ হয়ে
মৃত্যুর তরে মাটিতে লুটে পড়িলেও
এত বুকফাটা কষ্ট লাগিত না,
যতটা তুষের অনলের আঘাত লাগিল মনে
হঠাৎ তুমি অল্প-স্বল্প সময়ে,গল্প-কথা বলে
সুখের পরশে চোখের আড়ালে সুখনিদ্রায় গিয়ে।


ভরসার শেষ আশ্রয়হীন, কূলহীন সাগরে
অসহায়ত্বের বেদনার চাদর মুড়িয়ে
তোমার স্মৃতির পাতা খুলে দেখি
এমন আপন আর কেউ নেই ভবে।


তুমি যে নেই বিশ্বাস ধরে না এই  মনে
এই তো দেখছি তুমি চোখের পুতুলি,
চোখের সামনে দিয়ে যাচ্ছ তুমি
শেষ পালকি কেদারায় বসে।


জান,সবকিছুতে আজ বিস্বাদের কারাগারে
খাবারের চিরচেনা স্বাদ লাগে না মুখে,
মায়াভরা কথার চিরন্তন স্বাদ কে ভুলিবে?
তোমার বিয়োগে সবাই কাঁদে ধুঁকে ধুঁকে।


আবার দেখা হলে বলব করজোড়ে
ক্ষমা করো হে আমায়,
প্রেম-ভালবাসা শুধু নিয়েছি তোমার
কিছুই দিতে পারিনি তোমায়।