বাবা তোমার কর্মঠ শক্ত হাতের
নরম ছোঁয়ায় মোরে করলে ঋণী,
ত্যাগে-দুঃখে জীবন গড়লে তুমি
সুখেরি জীবন মোরে দিতে বুনি।
লোকচক্ষুর লজ্জা-শরম ভুলে গিয়ে
কৃষক-শ্রমিক-মজুরের তখমা নিলে,
রোদ-বৃষ্টি-শীতলে দেহ বিলীন করে
মোরে করলে যতনে বড় তিলে তিলে।
অফিস-আদালতের কর্মে দিন সঁপে
বাবার অন্তর-রাত সঁপে আমার তরে,
কোনকিছু চেয়ে না পাওয়ার অনুভব
কোনদিন হয়নি মনে জগৎ-সংসারে।
অন্ধ-বিকলাঙ্গ-অসুস্থ সরল বাবা
তবুও আমার কাছে সুখময় পৃথিবী,
আদরে-যতনে রেখেছে বুকে আগলে
আমারে ভাসিতে দেয়নি দুঃখের জলে।
জীবন প্রাতে যে রেখেছে নয়নে-নয়নে
আজও সুখে-দুঃখে থাকে এই জীবনে,
তাঁরে কেমনে মহাসুখে রাখি জানি না
তবে বাবার চাঁদমাখা মুখের সুখহাসি
দেহে প্রাণ থাকিতে মলিন হতে দিব না।