এই সাময়িক জগৎ মাঝারে
অদ্ভূত এক আমি-সত্তা,
যত্রতত্র যারে খুঁজে হয়রান
সেই সুখই দেয় না মোরে পাত্তা।
ঘুমহীন রাতের সুখহীন আমি-সত্তা
অন্ত প্রান্তেও সুখের হিসাব খসে,
যেদিন বিছানায় পিঠ লেগে যায়
খালি দেখে জীবন সুখের রসে।
দল-বল কোথায় তোরা?
আয় না আমার ঘরে,
আমি-সত্তার সুখ পায় স্বজনে
আমি মরি আজ সুখ অনাহারে।
দেখিসনি তোরা?
সুখের তরে ডানে-বামে
অসহায় পেলেও অত্যাচার করেছি,
পচা সম্পদের পাহাড় গড়তে
মজুরের পায়েও কামড়ে ধরেছি।
নামি-দামি-সুখী হইব বলে
চোখ রাঙালেই মানুষ সব দিত হাতে,
যারে ধরেছি শক্ত হাতে
সুখ জোটেনি তার সংসার পাতে।
টাকার ঘ্রাণে কত ন্যায় বিচার-আচার
ঘুরিয়ে দিয়েছি অন্যায় পথে,
সমাজের সামনে অপমান-অপবাদ দিয়েছি
সহজ-সরল-খাঁটি মানুষের কাঁধে।
নিজের সুবিধার তরে পরের জমি
ছলে-বলে এনেছি দখলে,
বাধা-বিপত্তি যে জন করেছে
আঘাত এনেছি তার জানে-মালে।
আহ! চোখের সামনে আজ দৃশ্যমান
ধোঁয়াশা-কুয়াশা-নিরাশার পথ,
সন্তান-সন্ততি সবে সুখে আছে
কেবল আমি-সত্তার মহাবিপদ।
আমি-সত্তা সুখের পিছে ঘুরে
সাময়িক স্বাদ লুটে,
বড়ই আক্ষেপের বিষয় প্রকৃতি বলে
আমি-সত্তার পিছে আজ কে হাটে?