সভ্যতা শিখড়ে, সরলতা সংকটে
         শিক্ষায় মাথামোটা সমাজের উঁচু ঘরে,
আত্মসম্মানবোধে ঘাড় নিচু হতে না মানে
         সুসম্পর্ক হাহাকার করে মরণফাঁদে পড়ে।


অভাবে নিংড়ানো সেই দুর্দশার দিনেও
         দুর্ভেদ্য হাত বদল ছিল না,
উঁচু-নিচু সবার উপস্থিতিতে
        পরিমার্জিত আপ্যায়ন হউক এই ছিল কামনা।


নিমন্ত্রণের হেরফেরে রক্তের আপনজনে
        গাল ফুলা রাগের জটিল রোগে মরে,
হাতে-পায়ে ধরে তৈলাক্ত মিনতি করে
         রাগ ভাঙ্গানোর লোকও এই যুগে গেল অবসরে।


উপঢৌকন সমান তালে পালাবদল করে
         যত আসে এই ঘরে আবার তত যায় সে ঘরে,
খালি হাতে উদর ভরে আসিলে
         নামে লাল দাগ পড়ে তীক্ষ্ণদৃষ্টির সুনজরে!


সম্পর্কের উন্নতি-অবনতি এসে ঠেকল
         অনুষ্ঠান-উপঢৌকন-খাওয়ার ওপরে,
স্বজনপ্রীতি সমাজে আহত হয়ে
         চিত হয়ে আছে মনুষ্যত্বের ভিতরে।


আবার সেই সমাজের সরলতা
         চলমান সমাজে আসুক ফিরে,
আচার-অনুষ্ঠানে আপামর সম্মিলনে
         সুসম্পর্ক-স্বজনপ্রীতি আসুক ঘরে ঘরে।