শ্রাবণ বৃষ্টির দিনে বই-খাতা কাগজে মুড়িয়ে
বুকে আগলে ধরে স্কুলে যাওয়ার দিন কোথায়!
ছুটির শেষে হুড়াহুড়ি বৃষ্টি ভেজা পিছিল রাস্তায়;
মন চায় আবার আনন্দের সেদিনে ফিরে যায়।


বর্ষার জলে ডুবন্ত স্কুলপথ নৌকায় করে
পাড়ার সবে পাড় হওয়ার সে দিন কোথায়!
ফিরে দেখি বাড়ির ঘাটে নৌকা নাইরে ;
মন চায় আবার বই উপর তুলে সাঁতার দেয়রে।


গ্রীষ্মের দিনে বাড়ি ফেরার পথের পুকুরে
বই-জামা রেখে গোসলের সেদিন কোথায়!
একলা পিছে  চুপে এসে বন্ধুদের বই-জামা;
মন চায় আবার ঝোপ-ঝাড়ে রাখি লুকিয়ে।


স্কুল মাঠে টিফিন ফাঁকে খেলাধুলার আনন্দে
বন্ধু সবে মেতে উঠার সেদিন কোথায়!
আহারে! একজনের হাতে ঝালমুড়ি দেখে ;
মন চায় আবার সবে হুড়াহুড়ি করে খায়।


সামনের আসনে কে আগে বসিতে পারে
আগে যাওয়ার মনোভাবের সেদিন কোথায়!
মন খারাপের দিনে টিফিনে পালিয়ে আসা ;
মন চায় আবার লুকিয়ে স্কুল পালিয়ে যায়।


সবে পড়া না পারায় একে অপরের কানে ধরে
দাঁড়িয়ে থাকার মধুর সেদিন কোথায়!
দুষ্টামির কারণে স্যারের ধমকে চুপ করে থাকা ;
মন চায় আবার দুষ্টামি করে ঘুরে বেড়ায়।


কতদিন ধরে ছুটির শেষে একসাথে বের হয় না
বৃহস্পতির হৈ-হুল্লোড়ের সেদিন কোথায়!
যদি সুযোগ থাকিত পুরনো এক সময়ে ফেরার;
মন চায় আবার স্কুল সময়ে ফিরে যায়।


কালের আবর্তনে বারেবার সময় বদলে গেলেও
স্কুলের আনন্দ-উল্লাসের বন্ধুময় সময় বদলায়নি,
সেকালের চেনা সব মুখ আজও হৃদয়ে সতেজ
জীবন্ত স্মৃতিতে গাঁথা তোরা কভু মন-প্রাণ ভুলেনি।