ক্ষুধার্ত এক শহরে মানুষের বসবাস
সবে নিজেকে ভাবে অসহায়,
অচিনপুরের অচেনা সুখের খোঁজে
সবে পড়ে আছে ঘোর নেশায়।
সবে মনের স্বপ্ন সুখের খোঁজে
একা একা নিরবে জ্বলে,
সংসারের হালে  মায়াজালে পড়ে
নিজের তৃষ্ণা-সুখও ভুলে।
ক্ষুধার্তের হাহাকার অন্তরে-অন্তরে
সুখ নাকি নেই কপালে,
কেউ বলে না পরম সুখে আছে
বলে বিপদের মহাকূলে।
মানুষ বিশাল ধনের ধনী হলেও
হিসাব ঘুমাতে দেয় না,
কর্মজীবী ধনহীনের ঘুৃম হলেও
পেটে ক্ষুধা সয় না।
এই সংসারের মায়াত্যাগী সন্ন্যাসী
ক্ষুধায় মানুষে হাত পাতে,
জনবিচ্ছিন্ন কাণ্ডজ্ঞানহীন পাগল
ক্ষুধায় খাবার খোঁজে নর্দমাতে।
ছোট ছোট টুকটুকে কচি শিশু
কৌশলে-চিৎকারে বায়না ধরে
শখের জিনিসের ক্ষুধায়,
তরুণের বুকে আগুন জ্বলে
স্বপ্ন পূরণের আশায়।
প্রবীণ হিসাবের পুরনো খাতা খুলে
আফসোসের হিসাব কষে,
মহৎকাজে জীবন উৎসর্গ করিব
যৌবনে ফিরে এসে।
ক্ষুধার্ত শহরে নিতান্তই গরীব
মানুষের অক্লান্ত চাহিদা,
যত আছে সুখ তত ভাবে দুঃখ
মিটে না সুখের ক্ষিদা।