সন্তানের নরম সুরের চিৎকারও
মানতে-শুনতে রাজি নয়
শীতে উষ্ণ,ভ্যাপসা গরমে স্নিগ্ধ
কেবলই পরম আপন পিতামাতা।
সযত্নে-প্রযত্নে বুকে আগলে রাখে
অযত্ন শব্দটি তাঁদের অভিধানেই নেই,
কোন সে শক্তিতে অবিচল আদর-সোহাগে
সারাজীবন সুখে মন-প্রাণ ভরে দেয়।
সন্তানের জীবনগল্প সুখ দিয়ে সাজাতে
নিজেদের গল্প দুঃখ দিয়ে সাজায়,
আদর্শ-সবল মানুষ রূপদানে
নিজেদের আত্মসম্মানও জলে ভাসায়।
বাহুর জোর অবিরত চালায়
সন্তানের চাহিদা পূরণে,
শীতের দিনেও শরীরে ঘাম ঝরায়
সন্তানের সুখ আহরণে।
বিপদ-আপদ যেন ছুঁইতে না পারে
সন্তানের তরে চোখ-কান জাগ্রত রাখে,
অরক্ষিত জীবনের কান্ডারী হয়েও
সর্বদা সন্তানের সুখ পথে চেয়ে থাকে।
বৃষ্টি-রোদ সংমিশ্রিত শক্ত কর্মঠ হাতে
সন্তানের শখ মিটাতে মরিয়া উঠে,
অসহায়ত্বের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েও
আমরণ প্রচেষ্টায় থাকে মুখে হাসি ফুটাতে।
যাদের অক্লান্ত আদর-স্নেহে তোমার শাণিত জীবন
তাঁদের তরেই গাও প্রেমের গুণকীর্তন,
অনন্ত প্রেম-ভালোবাসা দিতে যদি হও দ্বিধাগ্রস্ত
তুমিই কেবল তাঁদের স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ-দুর্জন।