বিত্ত-বিভবে মাত হে শীর
      লালসায় হে মন,
ছি; ধিৎকার করি হে বীর
       ধিৎকার করি শোন।


একটু লালসা-স্বচ্ছন্দে আকুল তুমি
       যোষস্বী সাধনা শত,
ব্যাকুল হৃদয় স্নায়ুতন্ত্রী
        নতজানু পরাজিত।


পর দুখে তৃষ্ণায় মাতে শরীর
        আনন্দে রে মন,
ছি; ধিৎকার করি হে বীর
         ধিৎকার করি শোন।


ন্যায়-নিতিকথা ভাবলি না?


আনন্দে আপনা ঢাকি
       উচু করে শীর,
শ্বাপদ -শঙ্কাকুলে
      রাখিলি বধির?


আপনাতে শোভা আকিঁ লালিত কলায়
বাধিতে সুফলা স্বপ্ন শ্যামলি ধরায়।


হাজারো স্বপ্নের রেখা টেনে বধিলি পরান?
ছি; ধিৎকার করি হে বীর
        ধিৎকার করি শোন।


সুখে জাল পাতি সুখের লাগি
     সংসার সারঙ্গনে সাজিলি অধিপতি,
ভিকারির ঝোলা কেড়ে রাজকোষে
      অমিয় সাগর গড়িলি।


নিঃসতার অনলে পুড়ে তারা
      ধুঁকে ধুঁকে হয় ছাই,
ছলনাময়ী এ সংসারে যারা
      দুস্থ,নিঃস,বড় একাই।


বল তোমাতে কেমনে সাজিল এই রণ?
ছি; ধিৎকার করি হে বীর
      ধিৎকার করি শোন।


তাহাদে পানে একবারও চাহিলি না?