কবিতা ও কাব্য সমালোচনায়
কবি ওয়ার্ডসওয়ার্থ কে নিশ্চয়
নতুন স্বীকৃ্তির দরকার পড়বে না।
তাঁর কথায় কবিতা হল,’’শক্তিশালী
অনুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ’’
যদি তাই হয়,তবে ২৬ শে জানুয়ারী
নিজেই এক বৃহৎ কবিতা সংকলন।


আনুভুতির প্রকাশ যদি শুধু অক্ষর
আর শব্দের সীমায় আটকে থাকত
তবে ভাষ্কর্য সৃষ্টি সম্ভব হত না,
সে তো জমাট বাঁধা নীরব অভিব্যক্তি।
সে অর্থে ২৬ শে জানুয়ারী...
এক অপূর্ব কাব্যময় ভাষ্কর্য।
অসংখ্য খণ্ড চিত্রের কোলাজ
স্পষ্টত বিমূর্ত তাঁর সর্বাঙ্গ জুড়ে।


বুকের বাঁ দিকটাতে যে রক্তিম গ্রাফ
তা রক্তের মুল্যে কেনা অহিংস ভাষ্কর্য।
দু’গালে ,ললাটে, বুকে ও পিঠে
বসন্তের দাগের মত দাগগুলো
চিনতে পারলে না?
ওতো জালিয়ানওয়ালাবাগে আঁকা
বুলেটের আলপনা।


কণ্ঠ থেকে ঝুলন্ত ললন্তিকা
যেন হিরোয়িক কাপলেট-এ লেখা
ফাঁসি মঞ্চের জয়গাঁথা।
সমগ্র কপাল জুড়ে যে
আলোআঁধারি আবছা চিত্র
তা সান্ধ্য ভাষায় লেখা
নেতাজীর অন্তর্ধান ইতিকথা।


আর বুক চিরে বিষুব রেখার মত
যে কালশিটে দাগটা দেখতে পাবে
তা দেশ বিভাগের যন্ত্রনায় লেখা
এক বিয়োগান্ত কবিতা।


তবে এ সব কিছুর ঊর্ধ্বে
আকাশের ঐ হিল্লোলিত তেরঙ্গা
সমাধির বুকে মোমবাতির মত
নিজেকে ঘিরে রাখা অন্ধকার লুকিয়ে
আলোর পথ দেখায়।


হাজার ব্যাথা আর অপমানে
ন্যুব্জ আমরা তবু
রবীন্দ্রনাথ কে গুনগুনাই
‘’আমরা সবাই রাজা
আমাদের এই রাজার রাজত্বে।‘’