বাড়িটা বড় হলো
     অচিন্ত্য সরকার


বাড়িটা বড় হলো,মার্বেল বসলো,
দামি রঙের প্রলেপ পড়লো দেওয়াল জুড়ে।
বড় বড় জানালায় নকশা করা শৌখিন কাঁচ।
ভেলভেটের সোহাগী পরশ গলে,
শরীর পেল দক্ষিণ বাতাসের আঁচ।


বার্থরুমের কথা কি বা বলি,
তার সোনার শরীর জুড়ে নব বধুর সাজ,
ভেতরে ঢুকে মনে হয়,সোহাগে অঙ্গ চুমি,
না করে কোন অকাজ।


আর কিচেন,আহা যেন সাজানো শোরুম,
অঙ্গে অঙ্গে সাঁটা,হেলদি-টেস্টি লেবেল,
দামী ব্রান্ডের সব কিছু,লবণ কিংবা তেল।


মিস্ত্রির পর মিস্ত্রি এলো,
ইট-কাট-পাথর-রঙ-জল-কল।
বাড়িটা বড় হলো কিন্তু মনটা...
এঁদো গলির ফাঁদে এখনও বিকল।


সারা বাড়ি জুড়ে ছড়ানো রঙধনু সুখ।
তবু,মনের প্রকোষ্টগুলো জানালার
ব্যস্তানুপাতে আটকে আছে হৃদয়ের মুখ।
তাই বুকের ব্যাথাটা আরও বাড়ে...
চন্দন পালঙ্ক গুমরে খোঁজে
ফেলে আসা খাটিয়ার সুখ।