রোজ সকালে অফিস যাই
দেশশুদ্ধ লোক ড্যাবডেবিয়ে দেখেন;
চশমার মোটা পাওয়ারের মধ্যে দিয়ে
বস ও দেখে নেন নির্ভুল ভাবেই;
তবু, ব্যাপারটা অফিসিয়াল তাই
খাতায় কলমে অ্যারাইভাল চাই।


হাজার চোখের সমুখে চলে কাজ
দিন ভর,তার পর বাজে ছুটির ঘন্টা;
খালি টিফিন বাক্স আর ব্যাগের বোঝা,
এসব নিয়ে ক্লান্ত শরীরেও যেতে হয়
বন্ধ দরজার আগল ঠেলে বসের ঘরে
লিখিতভাবে জানাতে যে ‘চললাম’; কেন?
ব্যাপারটা অফিসিয়াল আগেই তো বললাম।


লিখিত,সবই লিখিত-মুখের কথা কিচ্ছুটি নয়
সেবা,পরিষেবা যত না হয়,তার ঢেড় বেশি
বসের হয়ে ফাইল ভর্তি কাগজই কথা কয়।
বসের দেওয়া তুচ্ছ নোটিস খানি
দেখেছো যে, স্বাক্ষর,তারিখে জানাজানি;
উনি যে বস,মানুষটা যে ভীষণ মানি!
এখানে মুখের কথা,কোনো কথাই নয়
চোখের দেখা, দেখাই নয়,আর বিশ্বাস?
তাও আবার অধঃন্তনকে-এক্কেবারে নয়।


কিন্তু বসকে?আরে সে তো বিশ্বাস করতেই হবে;
ভয়ে হোক কিংবা মধ্যবিত্ত চক্ষু লজ্জায়;না হলে?
বছর ভোর বুঝবে ঠেলা, মজ্জায়-মজ্জায়।
দরখাস্ত দিতে চাও,দিয়ে যাও বিশ্বাস করে,
প্রাপ্তি স্বীকার!অসম্ভব;তাঁর মুখের কথাই সব।
দু’বার বললে ঘোর অপমান যে তাঁর
তোমার কি ভাই মস্তিষ্ক বিকার!
অন্যায়ের প্রতিকার! তাও আবার লিখিত!
এতো কতৃপক্ষের বিরোধিতা করা!
আপনার মাথার ঠিক আছে তো?


এমনি চলে বছর ভোর,নিয়ম,কানুন এটিকেট
কখন দরজা হবে বন্ধ, কিংবা কখন খুলবে গেট,
সব তিনিই জানেন,মানেন বা না মানেন।
ভালো-মন্দ ,গায়ে গন্ধ,কখন কার সঙ্গে দ্বন্দ্ব,
কার কপাল কখন মন্দ-তিনিই শুধু জানেন।


কি বললেন?বিচার!আরে দাদা, পাবেন,
হয়ত নায্যের চেয়েও কিছু বেশি পাবেন।
কখন?এলেম চাই দাদা, এলেম!
যোগ্যতা?আরে ধুর ধুর!
আপনি দেখছি এক্কেবারে গেঁয়ো ধুর।
থাকে যদি মোটা কোনো দাদা কিংবা মামা।
নেই!কী মুশকিল,তবে আরও একটা পথ আছে,
বিবেক টা বন্দক রেখে, ধরে থাকুন ধামা।
কি বললেন?
এমন যে হয় সভ্য দেশে, নেই আপনার জানা!
বাস্তব জ্ঞান নেই দেখছি,দুধে দাঁতে দিচ্ছেন হামা।