হিমশৈল
         অচিন্ত্য সরকার


তোমার মনে হয়,হিমশৈল মাথা ন্যূয়ে আছে?
ও নির্বিকার?আসলে এটা তোমার মনের বিকার।
ও ঋষিবৎ জ্ঞানী আর বিনয়ী,পাষব তেজে উদ্ধত
নয়,অপরাধী নয়,দুর্বলও নয়।
বিজ্ঞাপনেও ওর নেই কোন দরকার।
তোমার টাইটানিক ভর্তি অহংকার নিয়ে,
তুমি গ্যাস বেলুন হয়ে থাকো।
ঐ জৌলুসে ওর ঈর্ষা হয় না,
ফিরেও চায় না আড়চোখে একবার।


ওর মুরোদ নেই বলে গালি দিলে দাও।
সে তোমার ভাষা,তোমার রুচি।
দেখোনি,ফুলের সুগন্ধে ঘুম আসেনা মেছুনীর?
সে তো মাছের গন্ধে হয় শুচি।
তুমি তোমার গুটি সাজাও,
ওর ঘুম নষ্ট করতে,বিজ্ঞাপনী মোহে,
নিজের ঢাকটা জোর করে বাজাও,
ভিতরের কুৎসিত দৈত্যটা ঢাকতে
নিজেকে উর্বশীর সাজে সাজাও।


অকারণ হিংসায় শরীর জ্বলে গেলে,
ওর মাথা থেকে খামছে এক মুঠো
বরফ নিয়ে আইচক্রিম করে খাও।
অন্তর জ্বালা যদি তাতেও না মেটে,
ওর বন্ধু পরিজনদের গায়ে,
তোমার চোখের হলুদ কাজল লেপটে দাও।
সুখ কিনতে,ধরা-ছাড়া-কেনা-বেচা,
পালিশ-মালিশ-নালিশ-শালিস,
যা মনে চায়,তাই করো,
দেখো,যদি একটু শান্তি পাও।


শুধু,অকারণে ওকে মাড়িয়ে যাওয়ার মোহে,
ওর উপর চড়াও হয়ো না।
তোমার সাধের টাইটানিকের
সলিল সমাধি ডেকে এনো না।