কুলোটা
অচিন্ত্য সরকার      


আ‌মার কবিতার পুরুস্কার হিসেবে,তোমার পাঠানো দু'টো ফুল-যেই যে,একটা হোয়াট্স অ্যাপে,আর একটা মেসেন্জারে, অনেক আদর করে,তার পর যত্নে রেখেছি একান্ত ব্যক্তিগত ফোল্ডারে।সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে ডিলিট করতে চেয়েও পারিনি, মাথার কাছে হৃদপিন্ডটাকে অন্তত এবারের মতো হারতে দেয়নি।কবিতা লিখে পেয়েছি অনেক পুরুস্কার,অনেক স্মারক, অনেক শংসাপত্র,মুখবই এর দেওয়ালে দেওয়ালে দেখতে পাবে যত্রতত্র,সব কটাই অনেক মূল্যবান, দিয়েছে আমার যোগ্যতার মান।কিন্তু তোমার বুকে ফোটা প্রেমের গোলাপ, জীবন সঙ্গীতের প্রথম আলাপ,সে যে অমূল্য।মূল্য দিয়ে,ক্ষমতা দিয়ে,প্রলোভন দিয়ে, মাংসপিন্ডের উত্তাপ হয় তো পাওয়া যায়,সাতপাকি অভ্যাসের নির্মোহতায় কিংবা নেশার ঘোরে,পৃথিবীর প্রবেশ পথে সাবধানী পর্দা ছিঁড়ে,রক্তাক্ত  করা যায় পেলব গুহা,কাঠিন্যের জোরে।যেমন তোমরা গঙ্গার গোপন অঙ্গে ট্যানেল বোরিং মেশিন চালিয়ে ঢুকিয়ে দাও লোহার রেল,উন্নয়ের গর্বে উন্মত্ত হয়ে, আসলে দেখাও তোমাদের প্রযুক্তি ক্ষমতার মিরাকেল। কিন্তু আপন হাতে তুলে দেওয়া প্রেমের অঞ্জলি,সে তো পায় একমাত্র  কাননের অলি,বিধাতা যার জন্য পুষ্পের শরীরে দিয়েছেন যৌবনের কথাকলি।
ফুল তার আপন গন্ধে বর্ণে ডেকে ফেরে যারে প্রতিক্ষণ,যে তো সেই অলি,যার কাছে বাঁধা আছে মন।মনের কপাট খুলে প্রতিদিন লজ্জাবতী শরীরে পুলকিত কলাপ ফোটায় যে,তার সমুখে শরীরের আবরণ অর্থহীন ভণিতা।তাই তো আজও কাজল পরে রাই, কৃষ্ণ-কালো মেঘের পানে চেয়ে,স্বেচ্ছায় হতে চায় কুলোটা,সংসারি সুখের মুখে দিয়ে ছাই।